বর্ণাঢ্য আয়োজনে আমিরাতে সনাতন ধর্মানুসারী প্রবাসীদের দুর্গাপূজা উদযাপন
ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ণাঢ্য আয়োজনে আমিরাতে সনাতন ধর্মানুসারী প্রবাসীদের দুর্গাপূজা উদযাপন
আমিরাতে সনাতন ধর্মানুসারী প্রবাসীদের দুর্গাপূজা উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুর্গাপূজা পালন করেছে সনাতন ধর্মানুসারী প্রবাসীরা। দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বাজছে আনন্দের ঢামাঢোল। শুধু দেশ নয়, প্রবাসের মাটিতেও আয়োজন করা হয়েছে দুর্গোৎসবের। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মণ্ডপগুলোতে ছিলো উৎসবের আমেজ। মণ্ডপগুলো বাহারি ও চমৎকার সাজে সাজানো হয়েছে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুদূর কলকাতা থেকে এয়ার কার্গোযোগে দুর্গা দেবীর বিশাল বাহনসহ প্রতিমা এনে দেশটিতে পূজা উৎযাপন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিদেশের মাটিতে সানন্দে এমন আয়োজনে দুর্গাপূজা পালন করতে পারায় প্রবাসী হিন্দুদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
১৫ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশাল এই ধর্মীয় আয়োজন। ঢাকের তালে তালে নাচ আর নানা আনুষ্ঠানিকতায় আয়োজন করেন তারা। উলুধ্বনি আর প্রার্থনায় দেবী দুর্গার অসুর পথ মানুষের মুক্তির দিনটি উদযাপন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী আমিরাত প্রবাসীরা।
আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি, আজমান, আলআইনসহ প্রায় সাতটি প্রদেশেই ছোট-বড় পরিসরে দুর্গোৎসবের উদযাপন করেছে বাংলাদেশি সনাতন ধর্ম সম্প্রধায়। এ ছাড়া ভারতীয়দের আয়োজনও রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভারতীয় আয়োজনে সামিল হলেও স্বদেশিদের নিয়ে আয়োজনের কারণে এবারের উৎসবে ভিন্ন আমেজ বিরাজ করেছে প্রবাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদোর মাঝে।
আয়োজনকারীরা জানায় ২৩ অক্টোবর মহানবমী এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে নান্দনিক এই আয়োজন।
ইসরায়েলি নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণে সতর্কতা
ছবি: সংগৃহীত
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ ইসরায়েলি ভ্রমণকারীদের জন্য অনিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় নিজ নাগরিকদের মালদ্বীপে ভ্রমণ না নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই নির্দেশনায় মালদ্বীপকে ইসরাইলিদের জন্য ‘অনিরাপদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই অভিযানের পর নতুন করে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হয় যা গত ১৫ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানানো দেশগুলোতে নিজ নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে ইসরাইল। তারই ধারাবাহিকতায় মালদ্বীপ ভ্রমণে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, হামাসকে অর্থায়ন করছে মালদ্বীপ। এছাড়া চলমান সংঘাতে বিপুল পরিমাণ অনুদান সংগ্রহ করে দেশটি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন খবর সামনে আসার পরই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতোই মালদ্বীপ বারবার ইসরাইলকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখলদারিত্ব বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়ে আসছে।
৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির বৈঠক চলাকালেও মালদ্বীপ প্রতিনিধিরা বলেছেন, ফিলিস্তিনের জনগণকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রেখে তাদের অস্তিত্ব, পরিচয় মুছে ফেলার একটি অন্তহীন চক্রের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
এছাড়া ফিলিস্তিনে শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে মালদ্বীপের দৃঢ় অবস্থান জানানোর পাশাপাশি দেশটির প্রতিনিধিরা গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামো রক্ষার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের প্রশাসনের সময় মালদ্বীপ প্রথম ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। গাজায় ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করার পর সমস্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাতিল করেন তিনি। বর্তমান প্রশাসনও তার সেই সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যুদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ। এছাড়া উত্তর গাজার ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক লোককে দক্ষিণে স্থানান্তরিত করার ইসরাইলি নির্দেশ প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য অবরোধ তুলে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
;
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা উন্মোচন করল চীন
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা উন্মোচন করেছে চীন। দেশটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুর একটি আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত একটি প্রতিরক্ষা ইনস্টিটিউটে কাজ করতেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) চীনের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি প্রতিবেদনে জানায়, চীনা নাগরিক হাউ (ছদ্মনাম) একটি প্রতিরক্ষা ইনস্টিটিউটে কাজ করতেন। সে ২০১৩ সালে একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং স্কলার হিসাবে যায়। যেখানে তাকে চীনা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যম ওয়েচ্যাটে একটি বিবৃতিতে জানায়, গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম প্রতারণা, প্রলোভন এবং ষড়যন্ত্রের সাথে মিলে যায়।
সিসিটিভি বলেছে, হাউ-এর ঘনিষ্ঠ একজন মার্কিন অধ্যাপক তাকে এমন একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন যিনি নিজেকে একটি পরামর্শদাতা সংস্থার কর্মচারী বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু আসলে তিনি একজন আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন।
পরবর্তীতে তারা যখন আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাউকে তার কোম্পানির পরামর্শক বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। তাকে এ কাজের জন্য ৬০০-৭০০ ডলার পারিশ্রমিক প্রস্তাব করে।
কয়েক মাস পর হাউ-এর স্ত্রী এবং ছেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করলে, আমেরিকা আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে এবং তাদের সহযোগিতা করার প্রস্তাব করে। সিসিটিভি বলছে, হাউ তার স্ত্রী এবং ছেলের নিরাপত্তার ভয়ে তাদের প্রস্তাবে সম্মত হন।
প্রতিবেদন বলা হয়, ২০১৪ সালে হাউ চীনে ফিরে আসার পরও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের সময় তিনি মার্কিন গোয়েন্দাদের সাথে দেখা করার কথাও সিসিটিভি জানিয়েছে। তিনি নিজের উদ্যোগে জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সামরিক শিল্পের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যও সরবরাহ করেছিলেন।
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে চীন সরকার হাউকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আটক করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে কয়েক ডজন চীনা এবং বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার ও আটক করেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি, চীনের গুপ্তচর সংস্থা চলতি বছরের শুরুর দিকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিক সম্পর্কে নতুন বিবরণ প্রকাশ করেছে।
;
ইরানি কিশোরী আরমিতা গেরভান্ড ব্রেইন ডেড
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে কর্মকর্তাদের সাথে কথিত সংঘর্ষে কোমায় চলে যাওয়া কিশোরী আরমিতা গেরভান্ডকে ব্রেইন ডেড (মস্তিষ্ক অচলাবস্থা) বলেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। রবিবার (২২ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, কুর্দি-ইরানি হেনগাও-এর মতো ডান গোষ্ঠীগুলোই সর্বপ্রথম আরমিতা গেরভান্ডের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা ১৬ বছর বয়সী মেয়েটির ছবি প্রকাশ করে। যেখানে তাকে একটি শ্বাসযন্ত্রের টিউব এবং তার মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে অচেতন অবস্থায় দেখা যায়।
আরমিতার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ ফলোআপ অনুসারে চিকিৎসা কর্মীদের চেষ্টা সত্ত্বেও তার মস্তিষ্কের অচলাবস্থা নিশ্চিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
এক্ষেত্রে আরমিতারও মাহসা আমিনির মতো একই পরিণতির হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। গত বছর ইরানের নৈতিক পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এতে দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জন্ম দেয় যা ইরানের শাসকদের জন্য সবচেয়ে সাহসী চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি ছিল।
এর আগে গত ১ অক্টোবর তেহরানের মেট্রোতে বাধ্যতামূলক ইসলামিক ড্রেস কোড প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে আরমিতা আহত হয়েছেন। কিন্তু ইরান সরকার তা অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের বিপ্লবে ধর্মনিরপেক্ষ এবং পশ্চিমা-সমর্থিত শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইরানের ধর্মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান মহিলাদের পোশাকের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আইন অনুসারে মহিলাদের তাদের চুল ঢেকে রাখা এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়েছে।
এই আইন লঙ্ঘনকারীরা জনসাধারণের তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়। এ ঘটনায় কঠোর ইসলামিক ড্রেস কোডকে অমান্য করে আমিনির মৃত্যুর পর থেকে নারীরা সারা দেশে মল, রেস্তোরাঁ এবং দোকানের মতো পাবলিক প্লেসে উন্মোচিত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
;
ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভ
ছবি: আল জাজিরা
গাজায় ইসরায়েলের চলমান বোমা হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরের স্বাধীনতা স্কয়ারে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী স্থানীয় এনজিও ভিভা প্যালেস্টিনা মালয়েশিয়া (ভিপিএম) ও মাইকেয়ারের আয়োজিত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়।
অনেক বিক্ষোভকারী প্যালেস্টাইনের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ কেফিয়াহ পরিধান করে সমাবেশস্থলে আসেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন তারা।
সাইকিন সামসুদ্দিন (৪০) আইটি বিশেষজ্ঞ সমাবেশে আল জাজিরাকে বলেন, সেখানকার ভিডিওগুলো দেখাও কঠিন, কারণ … আমি কল্পনাও করতে পারি না যে, সেখানে চারপাশে বোমা নিয়ে বসবাস করা কেমন লাগে।
তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিশ্বের বেশিরভাগ শান্তিপূর্ণ জায়গার মধ্যে এমন একটি জায়গা আছে (ফিলিস্তিন) যেখানে এটি দখল করা হয়েছে এবং সেখানে বর্ণবাদ রয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
৩৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী হুসেইন আবুজাইনেহ বলেন, পশ্চিম তীরে তার পরিবার উচ্চ সতর্কতায় একটি মসজিদে অবস্থান করেছিল। সেখানেও ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে সামরিক কর্মকর্তারা জানায়, মসজিদটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আবুজাইনেহ আল জাজিরাকে বলেন, এ নৃশংসতা আরও আক্রমণাত্মক বা চরম পর্যায়ে ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের সমর্থন দেখানোর জন্য যা করতে পারি তাই করছি। ফিলিস্তিনের প্রত্যেকের প্রতি, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি আমাদের ভালবাসা পাঠাতে পারি। শেষ পর্যন্ত সবাই শান্তিতে থাকতে চায়, চারপাশের সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চায়।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ করতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। যদিও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সোচ্চারভাবে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করেছেন এবং গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের নিন্দা করেছেন।
গত সপ্তাহে আনোয়ার ঘোষণা করেন, মালয়েশিয়া গাজাকে মানবিক সহায়তায় ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিত অনুদান দেবে।
মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ মুসলিম। দেশটির ইসরায়েলের সাথে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সমর্থন করে।
গাজা পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সাথে কুয়ালালামপুরের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।