অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখার নির্দেশনা ডিএমপির

ডেস্ক রিপোর্ট: ময়মনসিংহের নান্দাইলে ক্ষমতার জানান দিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়েছেন সাবেক-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (প্রাক্তন) মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম ও তার অনুসারীরা।

লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ ধরণের মহড়া বেআইনি বলছে প্রশাসন। বিষয়টি নজরে আসায় অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে পুরো নান্দাইল জুড়ে।

অস্ত্রধারী মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। কামরুজ্জামান সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের মেয়ের জামাতা জাহিদ হাসান প্রীতমের গানম্যান বলে জানা গেছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নান্দাইল পৌর এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘সাবেক এমপির নেওয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রতিবাদে ও বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (প্রাক্তন) মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের মেয়ের জামাইয়ের গানম্যানকে অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান শটগান হাতে মহড়া দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি আগে জানতাম না। জানার পর অস্ত্রধারী কামরুজ্জামানকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দূরে সরিয়ে দেই। কামরুজ্জামানের শটগানটি লাইসেন্স করা। তাছাড়া, কামরুজ্জামান মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের জামাতার জাহিদ হাসান প্রীতমের গানম্যান।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (প্রাক্তন) মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ দেখায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অস্ত্রটি (১২ বোর শটগান) কারো লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও তা প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, কারোর কাছে লাইসেন্সধারী অস্ত্র থাকলেও তা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করার সুযোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বর্মণ একটি আইনি নোটিশ দেন সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল আব্দুস সালামসহ (অব.) ৬ জনকে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদ্দিক হোসেনে পক্ষের নোটিশটি দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছিল ঋণখেলাপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের (অব.) সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাই সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় নেওয়া রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধা (শুল্কমুক্ত গাড়িসহ) ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়।

নোটিশটি নিয়ে গত ৩১ একটি একটি সংবাদমাধ্যম ‘সাবেক এমপির নেওয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল আলম রাসেল।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।