হিজবুল্লাহ হামলার পর দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর হামলার পর দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
রোববার(১২ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ ত্র জানা যায়। প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, লেবাননের সীমান্ত থেকে মাত্র ৮০০ মিটার (০.৫মাইল) দূরে ডোভেভ গ্রামের কাছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় “অনেক বেসামরিক লোক আহত হয়েছে”।
ইসরায়েল ইলেকট্রিক কর্পোরেশন জানায়, লেবানন থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রটি ডোভেভে থাকা কর্মচারীদেরকে আঘাত করেছিল। হামলার কারণে ভেঙে পড়া বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে হয়েছে।
ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে জানায়, তারা সীমান্তের কাছে “গোপন এবং গুপ্তচরবৃত্তির ডিভাইস” স্থাপনকারী একটি ইসরায়েলি দলের উপর গুলি চালিয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের পর থেকে, ইসরাইল প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে গুলি চালাচ্ছে।
ইসরায়েল গাজা হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। যার মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী এবং শিশু।গত পাঁচ সপ্তাহে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করতে বাধ্য করেছে৷
হিজবুল্লাহ ছাড়াও, হামাসের লেবানিজ শাখাও সাম্প্রতিক সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, রোববার লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের দিকে ১৫টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করা হয়।
কাসাম ব্রিগেডের লেবানিজ শাখা গাজায় “গণহত্যা ও আগ্রাসনের” প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলি শহর হাইফা, নাহারিয়া এবং শ্লোমিকে লক্ষ্য করে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েলি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
লেবানন থেকে আন্তঃসীমান্ত হামলায় অন্তত ছয়জন ইসরায়েলি সৈন্য এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে সেনাবাহিনী ও প্যারামেডিকস জানিয়েছে।
২০০৬ সালে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ এক মাসব্যাপী যুদ্ধে লিপ্ত হযয়েছিলো।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।