বিনোদন

ডিপজলের আক্রমণের জবাব দিলেন অনন্য মামুন

ডেস্ক রিপোর্টঃ পুরোদমে চলছে সুপারস্টার শাকিব খানের প্রথম প্যান ইন্ডিয়াস সিনেমা ‘দরদ’-এর শ্যুটিং। বানারসে এই সিনেমার গানের দৃশ্যে শাকিব খান আর বলিউডের নায়িকা সোনাল চৌহানের দুষ্টু মিষ্টি রোমান্স দর্শক খুব উপভোগ করেছেন। সিনেমাটির একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী। তিনি গতকাল ফেসবুকে এই ছবির সেটে শাকিব খানের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শুটিং সেটে অনেকের প্রচন্ড অসুস্থতা তারপর আস্তে আস্তে সুস্থ হয়েছে অনেকেই, তার মধ্যে ডিরেক্টর অনন্য মামুন ও নায়ক শাকিব খানও ছিলেন। তবুও কাজ বন্ধ থাকেনি। নতুন আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি সবাই তবুও অদম্য উদ্দমে টানা ১৮/১৯ ঘন্টা কাজ করেছেন শাকিব খান নিজেও। দরদ-এ আমার চরিত্রটা নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো।’

শুটিংয়ের এমন ব্যস্ততার মধ্যেও নির্মাতা অনন্য মামুনকে দিতে হলো ভিডিও বার্তা। কারণ তাকে নিয়ে বরাবরই আলোচনা-সমালোচনা হয়। এবার তাকে আক্রমন করেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক ডিপজল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মামুনের তো কিছুই নাই, ও এতো টাকা কোথায় পেল? ও কিভাবে এতো ছবি বানাচ্ছে? ইত্যাদি।

নির্মাতা অনন্য মামুন

মামুন সেইসব ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথাই বলেছেন ডিপজল ভাই। আসলেই আমার তেমন কোন অর্থ বিত্ত নেই। কিন্তু আমার আছে মেধা আর বুদ্ধি। সেটি দিয়েই ১৯৯৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাই। এরপর ২০০২ পর্যন্ত ৭২ টির মতো জাতীয় পুরস্কার আছে (যদিও এতো সংখ্যক জাতীয় পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি সব পুরস্কারকেই জাতীয় পুরস্কার হিসেবে গণ্য করেছেন হয়ত)। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু। ২০০২ সালে শুধুই সিনেমা করব বলে বগুড়া থেকে ঢাকা আসি। প্রথম তিনমাস আমি যাত্রী ছাউনিতে ঘুমিয়েছি। ওখান থেকে আমি আজকের এই জায়গায়।’

‘দরদ’ সিনেমার লগ্নি নিয়েও কথা বলেন এই নির্মাতা। তার ভাষ্যে, ‘এখন সিনেমা বানাতে টাকা লাগে না, লাগে বুদ্ধি। যেমন, দরদ সিনেমার বাজেট ১০ কোটি রুপির ওপরে। সেই টাকা একটি নয়, বরং বাংলাদেশ, কলকাতা ও মুম্বাইয়ের চারটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখন সিনেমায় প্রযোজনার বাইরেও নানা ধরনের ফাইন্যান্সারের বিষয়গুলো যুক্ত হয়েছে, যা ডিপজল ভাই, আপনাদের সময় ছিল না। দরদ সিনেমাতেও এমন কিছু ফাইন্যান্সার কোম্পনি রয়েছে। এবং আমরা দরদ-এর হিন্দি ভার্সনের ওটিটি স্বত্ত ইতোমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছি। এগুলো ডিপজল ভাই, আপনার জানা নেই। এভাবেই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মগুলো হচ্ছে।’

মুম্বাইয়ে দরদ সিনেমার সংবাদ সম্মেলন

ডিপজলের উদ্দেশ্যে মামুন আরও বলেন, ‘আপনার শেষ ৬-৭টি ছবির কথাই ধরুন। একটিও কোন সিনেপ্লেক্স চালায় না। বিষয়টি কি আপনার আত্মসম্মানে একটু লাগে না? যে, আমার সিনেমা কেন সিনেপ্লেক্সে চলছে না, ছবির মান কেন এতো নিচে নেমে গেল, দর্শক কেন দেখছে না! আপনার কোন সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তি পায় না। ফলে আপনার কোন ধারণা নেই, আমরা এসব থেকে কতো টাকা পাচ্ছি। সর্বশেষ হাওয়া সুপারহিট হয়েছে, ছবিটির ডিজিটাল স্বত্ত কতো টাকায় সনি লিভস অ্যাপে বিক্রি হয়েছে এটাও জানেন না। ফলে আপনাকে অনুরোধ করি না জেনে এসব কথা বলবেন না। আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। এমনকি আপনার ছবি ‘বাঁধা’ দিয়েই আমি সিনেমা থেকে প্রথম আয় করি ২৫০০০ টাকা, যা সে সময় আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার ছিল। সেটির স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলাম আমি। যদিও আমার নাম যাই নি, ডিপজল ভাইয়ের নাম গিয়েছিল। আর একটা কথা বলি, ডিপজল ভাই আর অনন্ত জলিল- এমন দুজন মানুষ যাদের কাছে কেউ সাহায্য চেয়েছি কিন্তু পায়নি, এমন হয়নি।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *