সারাদেশ

যুদ্ধাপরাধ: জামালপুরের শামসুল হকের সাজা কমে ১০ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট: যুদ্ধাপরাধ: জামালপুরের শামসুল হকের সাজা কমে ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের শামসুল হককে (বদর ভাই) আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এ দিন কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বরে ছিল। গত ১৮ অক্টোবর এ মামলায় শামসুল হকের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আইনানুসারে এক মাসের মধ্যে আপিল করেন শামসুল হক।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৫ নম্বর বাদে বাকি তিনটি প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের মধ্যে আশরাফ হোসেন, আব্দুল মান্নান ও আব্দুল বারী ২ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য দুই অভিযোগে (৩ ও ৪ নম্বর) দুবার করে আমৃত্যু কারাদণ্ড পান। শরীফ হোসেন তিনটি অভিযোগে এবং মো. আবুল হাশেম, শামসুল হক ও এসএম ইউসুফ আলী একটিতে (তিন নম্বর) এবং মো. হারুন একটিতে (দুই নম্বর) আমৃত্যু কারাদণ্ড পায়।

পিটার হাসকে হুমকি: মামলার আবেদন খারিজ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা করা হয়। এ মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপটার-এর প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়।

এ মামলার আবেদনে অন্য আসামিরা হলেন-চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাত, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৬ নভেম্বর বাঁশখালীতে এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী সকল আসামির উপস্থিতিতে এবং সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং অশালীন মন্তব্য করেন। যা ৮ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড. ইউনূস সম্বন্ধেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা হাজার কোটি টাকার মানহানির শামিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

;

ছাত্র নির্যাতন: উইলস লিটলের ৭ শিক্ষকসহ নয়জনের জামিন

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ শিক্ষকসহ নয় জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) তারা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ২৩ অক্টোবর পলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনম সামসুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান, প্রিতীষ বিশ্বাস এবং সিকিউরিটি গার্ড জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ছত্রের বাবা এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

বাদী অভিযোগ করেন, তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের ৯ম শ্রেণি মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র ছিল।

শফিকুর রহমান গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী শফিকুর রহমান। নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বরাবর এক প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।

এরপর থেকে আসামিরা তাকে ও তার ছেলে নাহিয়ানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তারা কারণে-অকারণে নাহিয়ানকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা, ছোট করে কথা বলা, অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতেন। একপর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

পিটার হাসকে হুমকি: আ. লীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপটারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম সরকার।

মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাত, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী সকল আসামিদের উপস্থিতিতে এবং সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন। তিনি পিটার হাসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং অশালীন মন্তব্য করেন। যা ৮ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড. মোহাম্মদ ইউনূস সম্বন্ধেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা হাজার কোটি টাকার মানহানির শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

;

চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা: জামিন পেলেন আশিষ চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশীষ রায় চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলা ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আসামিরপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা আর তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় ও সেলিম আশরাফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ৬ মাসে বিচারকাজ শেষ না বিচারককে শোকজ করেন আপিল বিভাগ। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। ওই সময় পর্যন্ত এ মামলার আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছিল।

২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক আসামি আশীষ রায় চৌধুরীকে (৬৩) গ্রেফতার করা হয়।

গুলশানের ওই বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

পরদিন র‌্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিনই তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওই ঘটনায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মামলা শুরু হলেও নথি গায়েব হয়ে যাওয়ায় বিচারে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *