সারাদেশ

কোটা আন্দোলনে সশরীরে যোগ দিয়ে আহত সালমান

ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা আন্দোলনে সশরীরে যোগ দিয়ে আহত সালমান

কোটা আন্দোলনে সশরীরে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির

শোবিজ তারকাদের মধ্যে সর্বপ্রথম কোটা আন্দোলনে সশরিরে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। এরইমধ্যে এই তারকার মাস্ক পরা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ছবি ছড়িতে পড়তে না পড়তেই দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সালমান।

তবে একটু আগেই সালমানের আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই তারকাকে কয়েকজন মিলে টেক কেয়ার করছেন। কারণ তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। কোটা আন্দোলনের সশরীরে অংশ নিতে গিয়েই কিছুটা আহত হয়েছেন তিনি।

কোটা আন্দোলনে সশরীরে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির একজন সালমানের সেই ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সো কলড পপুলার ফিগারদের মাঝে সরাসরি মাঠে নেমে আন্দোলনে একাত্ম হতে দেখলাম একমাত্র সালমান মুক্তাদিরকে। বেশিরভাগের কাছে যার পরিচয় ‘অভদ্র ছেলে’’।

সালমান মুক্তাদির সরাসরি মাঠে নেমে আন্দোলনে একাত্ম হওয়ার আগে ফেসবুকেও পোস্ট দিয়েছিলেন। গত ১৬ জুলাই সালমান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমন কোনো ছাত্র আছেন যিনি আক্রান্ত হয়েছেন অথবা হলে ঢুকতে পারছেন না? আমি আপনাদের খেয়াল রাখব। তবে লাখ লাখ মেসেজ বা পোস্টের মধ্যে ফিল্টার করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাই আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আপনাদের কোনো মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কিনা দেখেন এবং আমাকে নক করেন।’

সালমান মুক্তাদির তিনি আরও লেখেন, ‘আপনার যদি থাকার জন্য একটি জায়গা প্রয়োজন হয় অথবা আপনার চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়, আমি এখানে রয়েছি। এইমাত্র কিছু ভিডিও দেখলাম, যেখানে মানুষ তাদের হলে প্রবেশ করতে পারে না। যদি এটা যথেষ্ট না হয় তাহলে আবার ক্ষমা চেয়ে নিন। আমার সত্যিই হৃদয় ভেঙ্গেছে এবং বিব্রত। আমি সত্যিই জনপ্রিয় হয়েও কোনো কাজে না আসায় লজ্জা বোধ করছি।’

যথার্থ শিল্পীর মূল্যায়ন হয় না কখনোই : ক্যামেলিয়া মুস্তাফার মৃত্যুতে ফাহমিদা

সদ্যপ্রয়াত ক্যামেলিয়া মুস্তফা ও ফাহমিদা নবী

না ফেরার দেশে চলে গেছেন একসময়ের জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেত্রী ক্যামেলিয়া মুস্তাফা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি গতকাল ১৭ জুলাই সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও কম্পোজার রিপন খান।

দর্শকের মধ্যে ক্যামিলিয়া মুস্তাফাকে নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা ছিলো। অনেকেই মনে করতেন তিনি প্রয়াত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে ও অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার বোন। আদতে তার বাবা দেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। কন্যা ক্যামেলিয়ার জন্মের পর স্ত্রী হোসনে আরা বিজুর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় তার। পরে তাকে বিয়ে করেন প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। তারপর থেকে মুস্তাফা পরিবারেই বড় হয়েছেন ক্যামেলিয়া।

ক্যামেলিয়া মুস্তফা ফাহমিদা নবী আজ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ক্যামেলিয়া মুস্তফা একজন কবি এবং আবৃত্তিশিল্পী ছিলেন। অভিনয় করেছিলেন কিছু অল্প। উপস্থাপনা করেছিলেন বেশকিছু। গতকাল রাতে দেশে ফিরেই তার চলে যাওয়ার খবরটা শুনে অনেক খারাপ লাগছে। ২০০৭ সালের কথা, ক্যামেলিয়া আপার অসুস্থতার জন্য ‘শিল্পীর পাশে’ নামে একটি চিঠি প্রথম আলোতে লিখেছিলাম। তখন অনেকেই পাশে দাঁড়ান এবং কিছু অর্থ যোগানে তার অপারেশন হয়। সেই সময় থেকে তার বেদনা এবং অভিমান অভিযোগ অনেকেই শুনেছে। ডাক্তার আশীষ তার হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। কৃতজ্ঞতা ডাক্তার আশীষ। এরশাদুল হক টিংকু, শাহেদ ভাই আর আমি সে সময় অনেক দৌড়াদৌড়ি করি। ‘শিল্পীর পাশে’ নামটি এনামুল করিম নির্ঝরের দেয়া। তারপর ‘শিল্পীর পাশে’ উদ্যোগটি কি যেন হয়ে গেলো! বড় পরিসরে কিছু হবে বলে উধাও! কিছুই হয়নি আর।’’

ফাহমিদা নবী ফাহমিদা নবী আরও লিখেছেন, ‘হঠাৎ ক্যামেলিয়া আপার মৃত্যু অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলো। সত্যিকার শিল্পীর পাশে আসলে কেউ থাকে না। তার সার্ভাইভটা তাকেই করতে হয়! যথার্থ শিল্পীর মূল্যায়ন হয় না কখনোই। মাঝে মাঝেই দেখেছি তাকে রাস্তায়। পায়ে ভীষন রকমের ক্ষত, ঘাঁ নিয়ে হাটঁতেও কষ্ট। তার মধ্যেও অভিযোগ করেই যেতেন। মাথায় ব্যথা হতো, থামতে পারতেন না। শেষমেষ অসমাপ্ত অভিযোগের বাক্স নিয়েই চলে গেলেন কোন উপসংহার-উত্তর ছাড়াই। কি সুন্দর ছিলেন দেখতে, তেমন রুচিশীল, কথা বলার ধরনে আধুনিকতার ছোঁয়া। তার চাহনি ছিলো অপূর্ব। অনেকটাই লাবন্য চরিত্রের মতোন লাগতো। আমরা ছোটবেলায় পাশাপাশি থাকতাম এলিফ্যান্ট রোডে। মুস্তাফা চাচার বাসার পিছনের বাসাটাই ছিলো আমাদের। ক্যামেলিয়া আপাকে তখন যেভাবে দেখেছিলাম, এতো মর্ডান একজন হাসিমুখের মানুষ তেমনটাই মনে গেঁথে আছে। তার ক্ষত হৃদয়ের ব্যথা মিশে যাক মাটিতেই। এই দোয়া করি। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’’

ক্যামেলিয়া মুস্তফা পরিশেষে ফাহমিদা লিখেছেন, ‘আবারও জানলাম অভিযোগ করে কিছুই হয় না। নিজেকে নিজের তৈরী করতে হয়। টিকে থাকার যুদ্ধ করতে হয়। অভিযোগে অভিমানের অসুখ বাড়ে। সুখ হয়ে যায় ক্ষত। তারপর একদিন ক্ষত নিয়ে চলে যেতে হয়! কেউ মনে রাখে, কেউ ভুলে যায়। সময় থাকতে নিজেকে সুখী হৃদয়ের কথা বলো, আপসোস ছেড়ে দাও। ভালো থাকতে চেষ্টা করো। একজন ক্যামেলিয়া আপাকে যেভাবে হাসতে দেখেছিলাম ছোটবেলায় সেভাবে মনে রাখবো। তার একটা কবিতার বই পড়েছিলাম, দারুন তার লেখার হাত। কবিতা পড়ার কন্ঠ আর চোখের দৃষ্টি মনে রাখবো সবসময়। কোন প্রশ্ন উত্তর নয়, একজন মানুষ তার অতৃপ্তির বেদনা পৃথিবীতে রেখে চলে গেলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সে হিসেবটাও সময়মতো পরিশোধ করে দেবেন। আমিন’।

;

কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের স্ট্যাটাস মুছে ফেলার কারণ জানালেন ফারুকী

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তা আবার মুছে ফেলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এমনিতেই দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিল্পী সমাজ সেভাবে ভূমিকা রাখছেন না। তারমধ্যে ফারুকীর স্ট্যাটাস মুছে ফেলাটা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অবশেষে কেন তিনি সেই স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেছেন সে কথা জানালেন আরেকটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। গতকাল ফারুকী লিখেছেণ, ‘আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি কারণ, একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। লিখতে থাকলে যত বেশি এংগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না। আমার শরীর সুস্থ করার জন্য যে লড়াইটা সেটা এক দীর্ঘ লড়াই। সেই লড়াইটা করার অনুমতি নিশ্চয়ই পেতে পারি?’

এই ছবিটি পোস্ট করে কথাগুলো লিখেছেন ফারুকী তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমার স্ট্যাটাসটা সরিয়ে ফেলার পর থেকে আজকে পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন যে, আমি দালাল হয়ে গেছি এই কারণে চুপ হয়ে আছি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদ হচ্ছে আপনাকে প্রতিদিন প্রমাণ করতে হবে আপনি কে! আজকে রাষ্ট্র যে অবস্থায় এসেছে এ অবস্থায় আসার শুরু যখন হয়েছিল তখন থেকে তারা যদি আমার ফেসবুকের লেখাগুলো একটু গবেষণা করে দেখতো। তাহলে বুঝতে পারত আমি কে, আমি কি বলেছি এবং কি বলার কারণে আমি বারবার বিপদে পড়ি! কোন রিসার্চ নাই, জাস্ট ঢালাওভাবে দালাল বলে দাও।’

সবশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘আজকে যে বাইনারি চলছে, হয় তুমি আমার পক্ষে না হয় তুমি আমার বিপক্ষে। এই বাইনারির বিপক্ষে আমি ২০১৪ সালে লিখেছিলাম ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’, লেখাটি বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা হয়েছিল। মনে রাখতে হবে ওই সময় ছিল শাহবাগের সময়। ২০১৩ তে যখন শাহবাগে আন্দোলন শুরু হলো তখন বাইনারি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে বলতে শুরু হল ‘কিন্তু এবং যদি’ যে বলবে সেই রাজাকার, সেই ছাগু। সেই ছাগু ট্যাগটাকে আমি গলার মালা হিসেবে নিয়ে আমি লিখেছিলাম ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’। কিছুদিন আগেও আমি বলেছি, স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারাটাই স্বাধীনতা!’

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুধু ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দিয়েই ক্ষান্ত হননি ফারুকী। তিনি চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন, ‘আপনারা যারা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা শ্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা না। আসল মালিক জনগন। সেই জনগনকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয়না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও শ্লোগান আকারে শুনেছি। এই আন্দোলন মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস। শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।’

;

সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়, পারলে যেতাম : কবির সুমন

কবীর সুমন

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় বাঙালি গায়ক-অভিনেতা ও সংসদ সদস্য কবীর সুমন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না।’

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয় আসলে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন। তিনি বলেন, ‘ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‌‘কারার ঐ লৌহকপাট/ ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’

কবীর সুমন তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা-ভালবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি তা ভারতে পেয়েছি কবার? এ হেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্র-বাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন।’

কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আর কী বলি। আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তিরক্ষার জন্য আহবান করতাম। হানাহানি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।’

;

কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি দেখালেন তারকারা

সায়ান(বামে), শাওন(মাঝে), সোহেল রানা(ডানে) / ছবি : সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে গুরুতর চলমান সমস্যা কোটা আন্দোলন। মূলত ছাত্র আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও, বর্তমানে গুরুতর জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেশে ও বিদেশে সংবাদের শিরোনামে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। দেশের নাগরিক হিসেবে তারকারাও তাদের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।  

এর আগে আন্দোলনের প্রথম দিকেই সালমান মুক্তাদির ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। এছাড়া পরিচালক আশফাক নিপুণ, ওপার বাংলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি, সুপার স্টার শাকিব খান, অভিনেত্রী পরিমণি, অভিনেতা সুমন আনোয়ার, ছোটপর্দার অভিনেতা নিলয় আলমগীরসহ অনেকেই ছাত্রদের পক্ষে সমর্থন জানান। সকলেরই বক্তব্য যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা। 

সম্প্রতি ভিডিওসাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী সায়ান এবং প্রবীণ অভিনেতা সোহেল রানাও ব্যক্তিগতভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছে আলোচনায় এসেছেন। কোটা সংস্কারের পক্ষে দুজন যেমন মন্তব্য করেছেন, তেমন শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের জন্যও তারা দুঃখ প্রকাশ করেন। সায়ান বলেন,‘জয়ের বাংলা ভয়ের বাংলা কেন হবে? একটা বাচ্চা ছেলে বুক উচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। নিরস্ত্র ছেলেকে যে গুলি করে মারা হলো, এটার জবাব কে দেবে? আমি ছাত্রদের পক্ষে, আমার পেইজে গেলেই দেখতে পাবেন। কেউ রাজাকার তকমা চায়না। আমি তো চাই না। আমার দেশ অনেক কষ্ট করে অর্জন করা।’         

এছাড়া একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পার হয়ে গেছে। যদি একজন ১২ বছর বয়সেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে তার বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব। তিনি অবশ্যই সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে যাবেন না। যদি তার সন্তানের কথা চিন্তা করি, ২০ বছর বয়েসি কোনো যোদ্ধারও যদি ছেলে হয়, তার বয়স এখন ৪০-৪৫ বছর হবে। তিনিও অবশ্যই চাকরির পরীক্ষা দিতে যাবেন না। এই কোটা তাহলে আসলে কাদের জন্য?’

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ফেইসবুকে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন,   ‘বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না!’ এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে জানান, তিনি ছাত্রদের পক্ষে। এছাড়া এরপর তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘দয়া করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবার নিয়ে কোনো প্রকার বাজে মন্তব্য করবেন না।’

এছাড়া সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,‘মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতেই এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে নেওয়া উচিত।’  

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *