সারাদেশ

যে ঘটনা ভুলতে পারছেন না তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

ডেস্ক রিপোর্ট: যে ঘটনা ভুলতে পারছেন না তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

সোহেল রানা, আবুল হায়াত ও সৈয়দ আব্দুল হাদী

দেশে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা অস্থিরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। বাদ যাননি সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরাও। আজ গোটা দেশ যখন অস্থির সময় পেরিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছেন তখন দেশর প্রখ্যাত তিন শিল্পী ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমে। কোন ঘটনা তাদের অন্তর থেকে সরাতে পারছেন সে কথা জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াতের বিল্ডিংয়ের একটা ছেলে মারা গেছে এই আন্দোলনে, নাম ফারহান ফাইয়াজ। তিনি এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। জ্যেষ্ঠ এই অভিনেতা-নির্মাতা বলেন, ‘১৮ জুলাই আমি কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল, কিছুতেই কান্না আটকে রাখতে পারিনি। আমি অসুস্থ, এখন বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকি, কোথাও বের হই না—আমি তো ভাবতেই পারি না, ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে এমনটা হতে পারে!’

কোটা আন্দোলনে অকালপ্রয়াত ফারহান ফাইয়াজ জ্যেষ্ঠ সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীও বিষণ্ণ প্রতিক্রিয়া জানান গত কয়েকদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যটি এসে ভিড় করে বার বার। হৃদয় কেঁদে ওঠে, ঘুম চলে যায়। মাথার ভেতর প্রশ্ন এসে পীড়া দেয়, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও এই দৃশ্য দেখতে হলো? আমার দীর্ঘ জীবনে একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া এমন মৃত্যুর মিছিল তো দেখিনি। এটা তো আমেরিকার গৃহযুদ্ধও নয় বা ফরাসি বিপ্লব নয়। সন্দেহ নেই দেশের প্রতিটি সংবেদনশীল মানুষের অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সন্তান হারানো প্রত্যেক পিতা–মাতার প্রতিটি অশ্রুফোঁটার মূল্য দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ, সমাজের সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাসের প্রতিফলনই পারে এই মূল্য পরিশোধ করতে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত প্রযোজক-অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল রানা আবু সাঈদ হত্যার বিচার চান তিনি। তার ভাষায়, ‘অনেক জায়গায় না হলেও একটা বিষয় আমরা এবার খেয়াল করেছি, তা হলো রংপুরে আবু সাঈদ নামে যে যুবকটি মারা গেছেন, তার পেছনে কোনও লোকজন ছিলো না। তিনি খোলা হাতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যুবকটি পুলিশকে ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন–আমাকে গুলি করো। তখন একজন দারোগা তাকে গুলি করলেন! তাকে তো জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। ওই দারোগাকে জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। দেশে তো আইন আছে। সাঈদের বিষয়টি তদন্ত করার কিছু নেই। এটি তো প্রকাশ্যে হয়েছে।’

কোটা আন্দোলনে অকালপ্রয়াত আবু সাঈদ এদিকে কোটা আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ (২৪ জুলাই) থেকে খুলছে অফিস-আদালত-কারখানা। তবে কারফিউ বহাল রয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে আজ বুধবার এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার কারফিউ বহাল থাকবে। তবে এ দুদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

গুলিবিদ্ধ তানজিন তিশার সহকারী

তানজিন তিশার সঙ্গে ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো থমথমে। অনেক মানুষের জান-মালের অপরিসীম ক্ষতির খবর এসেছে। তবে শোবিজের কারও ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি সৌভাগ্যক্রমে। অবশেষে তেমন খবরও এলো। শোবিজের কোন তারকা বা কলা কুশলী না হলেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আলামিনের। দুটি গুলি লেগেছে তার।

এ খবর অভিনেত্রী নিজেই গতকাল রাতে তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে ঘটনাটি কবে ঘটেছে কিংবা এখন তার সহকারীর অবস্থা কি তা তিনি স্পষ্ট করেননি। দেশে টানা কয়েকদিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হয়তো অভিনেত্রী এই খবরটি সবাইকে জানাতে দেরী করেছেন। যেই না গতকাল কিছুটা সময়ের জন্য ইন্টারনেট সেবা চালু হয় তখন আর দেরী না করে তিশা তার সহকারী আলামিনের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে খবরটি জানিয়েছেন।

তানজিন তিশার সঙ্গে ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন তিশা লিখেছেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও কিন্তু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সাথেই থাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কি লাগবে, আপু কি খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখত।’

তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন, সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মত আমার পাশে বসে থাকতো। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাবো, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কি করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

তানজিন তিশার সঙ্গে ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন সবশেষে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আলামিন কোন দল অথবা কোনকিছুর সাথে জড়িত ছিলো না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোন পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

;

কৃতকের্মর জন্য ঐশ্বরিয়ার কাছে ক্ষমা চাইবেন ইমরান হাশমি

ইমরান হাশমি ও ঐশ্বরিয়া রাই

সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও একাধিকবার দুনিয়ার সেরা সুন্দরী’র তকমা পাওয়া অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইকে ‘প্লাস্টিক’ বলে এক সময় বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিলেন ইমরান হাশমি।

২০১৪ সালে করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’-এর অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইমরান হাশমি। এই শোতে অতিথিদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব করেন সঞ্চালক করণ জোহর। অতিথিদের মধ্যে যিনি ভালো উত্তর দেন, বিজয়ী হিসাবে তাকে বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে নিয়মানুযায়ী ইমরানকে কয়েকটি শব্দ বলেন করণ। শব্দগুলো শোনার পর যে তারকার কথা প্রথমে মনে আসবে, সেই নামই জবাবে বলতে হত ইমরানকে। করণ যখন ‘প্লাস্টিক’ শব্দটি উচ্চারণ করে ইমরানের দিকে তাকান, তখন অভিনেতা চটজলদি ঐশ্বরিয়ার নাম উল্লেখ করেন।

ইমরান হাশমি এ নিয়ে সে সময় ইমরানকে শুনতে হয়েছিল নানা কটু কথা। বলিউডে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। যদিও বিষয়টির জন্য ঐশ্বরিয়ার কাছে ক্ষমা চান অভিনেতা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল লালনটপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন ইমরান হাসমি। জানিয়েছেন, কখনও সামনাসামনি দেখা হলে ক্ষমা চাইবেন তিনি।

সাক্ষাৎকারটিতে ইমরান হাশমি বলেন, ‘এমন মন্তব্যের জন্য আমি খুবই বিব্রত। তবে বিষয়টিকে যদি কেউ সেই অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটের বাইরে নিয়ে যান, তাহলে তা ঠিক হবে না। আসলে বিষয়টি সেই অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে নিছক একটি রসিকতা ছিল।’

ঐশ্বরিয়া রাই ইমরান হাশমি জানান, তিনি ঐশ্বরিয়ার অনেক বড় ভক্ত। অভিনেত্রীর ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ আর ইমরানের ‘কাসুর’ সিনেমার শুটিং চলছিল পাশাপাশি। ঐশ্বরিয়ার দেখা পেতে তিন ঘণ্টা তার ভ্যানিটি ভ্যানের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমরান। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে কখনো ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়নি ইমরান হাশমির। কখনো দেখা হলে ক্ষমা চাইবেন বলেও জানান অভিনেতা।

;

রিচা-আলীর ঘরে এলো ফুটফুটে কন্যা

তারকা দম্পতি আলী ফজল ও রিচা চড্ডা

বাবা-মা হলেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি আলী ফজল ও রিচা চড্ডা। আজ এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে অভিনেত্রী রিচা ও তার স্বামী অভিনেতা আলী ফজল জানান, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ১৬ জুলাই আমরা এক সুস্থ কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছি। আমাদের দুই পরিবারও খুব খুশি। ভালোবাসা ও আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য আমাদের শুভাকাক্সক্ষীদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’

২০২২-এ আলি ফজলকে বিয়ে করেন রিচা। চলতি বছরের গোড়ার দিকে সন্তানধারণের খবর ঘোষণা করেছিলেন অভিনেত্রী।

তারকা দম্পতি আলী ফজল ও রিচা চড্ডা রিচাকে সর্বশেষ দেখা যায় সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’তে। এই সিরিজের প্রচারণায় গর্ভবতী অবস্থাতেই একাধিকবার ক্যামেরার সামনে আসেন রিচা। ‘হীরামন্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। অন্যদিকে চলতি মাসেই মুক্তি পেয়েছে আলী ফজল অভিনীত আলোচিত সিরিজ ‘মির্জাপুর ৩’।

;

কোটা সংস্কারের পক্ষে রাজপথে নামলেন আরশ খান

কোটা সংস্কারের পক্ষে রাজপথে আরশ খান

সাধারন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একাত্ব ঘোষণা করছেন। শোবিজ তারকারা সমাজে খুব সহজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের একটি কথা কিংবা বার্তা মানুষকে দ্রুত অনুপ্রেরণা দেয়। তাই শোবিজ তারকারা দেরীতে হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বার্তা তুলে ধরছেন। তবে সরাসরি আন্দোলনের মাঠে শিক্ষার্থীদের বাইরে কাউকে দেখা যায়নি।

আজ অল্প হলেও দু-এক শোবিজ তারকাকে রাজপথে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের সারিতে দাঁড়াতে। তাদের মধ্যে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির আঘাতও পেয়েছেন। এছাড়া দেখা গেছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর সৌভিক আহমেদ ও ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খানকে।

কোটা সংস্কারের পক্ষে রাজপথে আরশ খানসহ নাটকের অভিনেতা কলাকুশলীরা আজ দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে পোস্টার হাতে একসঙ্গে দেখা যায় আরশ খান, নির্মাতা ইমরাউল রাফাত, তপু খানসহ আরও কয়েকজন নাটকের অভিনেতা কলাকুশলীকে। সে সময় আরশ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘আমি একজন থিয়েটারকর্মী। আমার অভিনয়জীবন শুরু মঞ্চে। লোকনাট্য দলের ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকে আমি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। ৩০০ তম শো পর্যন্ত আমি ছিলাম গ্রুপের সাথে। আমি তখন শিশুশিল্পী। প্রথম ১০০ তম শো পর্যন্ত বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসেনি। সে সময় এই নাটকে অভিনয় করতে কতোটুকু ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়েছে তা আমি জানি, আমার পরিবার জানে, লোকনাট্য দলের সদস্যরা জানে। এই নাটক করে আমি বা আমার পরিবার ২ টাকা কোনোদিন ঘরে আনিনি। নাটকে অভিনয় করতে করতে কখন বঙ্গবন্ধুকে ভেতরে ধারন করে ফেলেছি তা বলতে পারবো না। কিন্তু তার আদর্শে বেড়ে ওঠা আমি আজ অনেক কিছুই নিতে পারছি না।’

আরশ আরও বলেন, ‘আমার স্কুল, আমার কলেজ, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়াররা তাদের দাবি নিয়ে আজ রাস্তায়। তাদের উপর যে আক্রমণ তা কোনোভাবেই একজন মানুষ হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে, একজন ছাত্র হিসেবে আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি খুব সাধারণ পরিবারের ছেলে। আমার মা একজন শিল্পী, আমার বোনও একজন শিল্পী। সাধারণ আরশকে অসাধারণ বানিয়েছেন এই ছাত্ররা, তাদের মা, তাদের বাবা, তাদের পরিবার, দেশের সাধারণ জনগণ। এমন দিনে আমার পক্ষে আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব না। তাই আমি খালি হাতে বেরিয়ে পড়েছি। কারণ আমার আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে না। আমার চাওয়া একটাই ‘আর কোনো ছাত্র বা ছাত্রী রক্তাক্ত হবে না’। আমি জানি না কাল আমার সাথে কি ঘটবে, আমি জানি না পরবর্তীতে কি ঘটবে। কিন্তু আমি জানি এই দেশ আমার, দেশের মানুষ আমার। খেটে খাওয়া মানুষ আমি। শূণ্য থেকে উঠে এসেছি আবার হয়তো শূণ্যে মেলাবো কিন্তু আর কোনো আবু সাইদের মৃত্যুর স্বাক্ষী হতে চাই না।’’

আরশ খান

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *