সারাদেশ

চারদিন পর স্বাভাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম

ডেস্ক রিপোর্ট: চারদিন পর স্বাভাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম

চট্টগ্রাম বন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, প্রাণহানি, সহিংসতার পর স্বাভাবিক রূপে ফিরছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এরমধ্যে ইন্টারনেটসেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় চারদিন স্থবির ছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। 

বুধবার (২৪ জুলাই) চলমান কারফিউ শিথিলের সময় বৃদ্ধি ও ইন্টারনেটসেবা চালুর পর চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম।

এদিকে বিকল্প ব্যবস্থায় আমদানি-রফতানি নতুন চালান শুল্কায়নের মাধ্যমে পণ্য খালাস ও রফতানি পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে জানিয়ে বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমও চালু হয়েছে। কাস্টমস থেকে যেসব পণ্য শুল্কায়ন হচ্ছে, সেগুলো আমরা ডেলিভারি দিচ্ছি। এ জন্য কাস্টমসের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার ইমাম গাজ্জালী বলেন, মঙ্গলবার থেকে ম্যানুয়ালি পচনশীল পণ্য শুল্কায়ন শুরু হয়। বুধবার ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। কারো পে-অর্ডার ও চালান না থাকলে আমরা অঙ্গীকারনামা নিয়ে মাল খালাস করে দিচ্ছি।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশে চলমান কারফিউ পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় রোববার ও সোমবার বন্দর থেকে কনটেইনারের কোনো পণ্য খালাস হয়নি। তবে আমদানি পণ্যভর্তি ১৫২৫ টিইইউএস’স (২০ফুট এককের) কনটেইনার বন্দর থেকে বেসরকারি ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। ইপিজেডগুলোতে (রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল) নেওয়া হয়েছে ৬৫ টিইইউএস’স কনটেইনার।

চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে আমদানির ৪২ হাজার ১২০ একক কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। সেখানে মঙ্গলবার ৪০ হাজার কনটেইনার ছিল। এতে নতুন করে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠা-নামা ও স্থানান্তরে কিছুটা জট দেখা দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও লাইটারিং চলছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহির্নোঙর থেকে সোমবার রাতেই ৭৯ হাজার টন এবং তার আগে রোববার ১ লাখ ১৬ হাজার টন পণ্য খালাস হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব অংশীজন চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল রাখার জন্য প্রস্তুত। চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে পণ্যের শুল্কায়ন করে দিলে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

খালাস পণ্য যানবাহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে পৌঁছানোর জন্য নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

পেরোডুয়া গাড়ি বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হাজনাহ মো. হাশিমের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালয়েশিয়াকে তাদের পেরোডুয়া ব্র্যান্ডের গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির সুযোগ স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে মালয়েশিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

বৈঠকে হাজনাহ মো. হাশিম বলেন, স্থানীয় পিএইচপি মোটরস এখানে মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড পেরোডুয়া গাড়ির এসেমব্লিংঙ হচ্ছে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পিএইচপি পরিবারের পিএইচপি মোটরস মালয়েশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল ব্র্যান্ড পেরোডুয়ার সাথে তাদের গাড়ি ও এসইউভিগুলো বাংলাদেশে একত্রিত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করেছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বিদ্যমান সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।

ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, সে বিষয়ে হাশিম প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে আপনার সামর্থ্যের ওপর আমার আস্থা আছে। আপনি পরিস্থিতি সম্পূর্ণরুপে ও ভালোভাবে মোকাবেলা করছেন আর এটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়।’

মালয়েশিয়ান দূতের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘তিনি দেখছেন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে- যা মূলত দু’টি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি রবি ও এডটকো বাংলাদেশ দ্বারা চালিত হয়েছে এবং তারা এখানে তাদের মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মালয়েশিয়ার বেশ কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
এ বিষয়ে হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য সুবিধা তুলে ধরে দূত বলেন, তাদের অনেক হাসপাতাল সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি। তবে চিকিৎসা সেবা বিবেচনা করলে খরচ সে তুলনায় কম। তাই, বাংলাদেশিরা সেখানে স্বাস্থ্য সুবিধা নিতে পারেন। কারণ, সিঙ্গাপুরের ৭০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মালয়েশিয়ার।

অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রাম কাস্টম: ‘বন্ধেও’ ১৩ জাহাজের পণ্য খালাস

চট্টগ্রাম কাস্টম

দেশে চলমান অচলাবস্থার মধ্যেও সীমিতভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম। গত পাঁচদিনে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলেও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল না। এই সময়ে ম্যানুয়েলি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। গত তিন দিনে মোট ১৩টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে সবকিছু আগের মতোই চলবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম সূত্র জানায়, ২১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৩টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়। এর মধ্যে ৮টি বাল্ক ও পাঁচটি কনটেইনার জাহাজ। কনটেইনার জাহাজগুলোর মাধ্যমে ২১ ও ২২ জুলাই দুই দিনে ৩ হাজার ৪৩৯টি কনটেইনারে ৭১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য এবং বাল্ক জাহাজে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের (কয়লা, পেট্রোলিয়াম ওয়েল, পামালিন ওয়েল, বাল্ক ওয়েল) পণ্য খালাস হয়। এ ছাড়া পঁচনশীল পণ্য আঁদা, রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, ফলমূল, শিল্প কারখানার কাঁচামাল ম্যানুয়েলি পণ্য খালাস হয়। ২১-২২ জুলাই দুদিনে ৫৫টি আমদানি চালানের বিপরীতে ৭৬ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য এবং ৯ হাজার ৭১৪টি রপ্তানি চালানের বিপরীতে ১৮ হাজার ৮০৯ মেট্রিক টন পণ্য চালান শুল্কায়ন করা হয়।

ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২৩ জুলাই থেকে ল্যান কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে আমদানি চালান রপ্তানি চালান পুরোদমে দাখিল করা সম্ভব হয়। এতে ওইদিন (২৩ জুলাই) ৯৯৩টি আমদানি চালান এবং ৩ হাজার ৮২৩টি রপ্তানি চালান শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়।

তবে বুধবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসে সব ধরনের কাজ শুরু হয়েছে। আগের মত প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দরেও।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে জানিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. মাহফুজুল আলম বলেন, ‘বুধবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুল্কায়নসহ কার্যক্রম করা যাচ্ছে। কোনো অসুবিধে হচ্ছে না।’

;

যে কোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখার ঘোষণা

অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

যশোর জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।

জেলা প্রশাসক বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যা যা করণীয় আমরা করবো। যে কোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর চালু রাখা হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক বলেন, যশোরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। যশোরবাসী শান্তি চায়, এজন্য সহিংসতা হয়নি। সরকার কারফিউ জারি করেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।

এ সময় পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, রাষ্ট্রকে কেউ হুমকি দিলে কোনো ছাড় দিবো না। সরকারের বিরদ্ধে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতি করতে চায়, তারা দেশের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলতি আইনেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী প্রথম বুলেট ছুড়েছে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পুলিশ বাহিনী পথহারাবে না। পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে দেশের কল্যাণে কাজ করবো।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যশোরে নাশকতা হয়নি। পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। চলমান কারফিউ প্রত্যাহার অথবা শিথিল করার দাবি জানান ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।

সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সিভিল সার্জন ডা.মাহমুদুল হাসান, যশোর জিলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, জেলা আনসার কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সাহা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনীর উপপ্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এএইচএম মু্যহারুল ইসলাম মন্টু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দৌলা, সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন-জেইউজে সভাপতি মনোতোষ বসু, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোয়াইব হোসাইন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর হাফিজ উদ্দিন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, পাবলিক প্রসিকিউটর এম ইদ্রিস আলী, যশোর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, এমইউসি ফুডের নির্বাহী পরিচালক শ্যামল দাস, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সনি, সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় থেকে রিচার্জ নিলেন ২ লাখের বেশি গ্রাহক

বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় থেকে রিচার্জ নিতে গ্রাহকদের ভিড়

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কারণে ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ হয়ে পড়ায় বিদ্যুতের হাজার হাজার প্রিপেইড গ্রাহককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ব্যালেন্স শেষ হয়ে অনেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। সংযোগ বিছিন্নের শঙ্কায় পড়েন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে নগরীর পিডিবির বিতরণ কার্যালয়গুলোতে রিচার্জ সেবা কার্যক্রম শুরু করে। বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিচার্জ করে গ্রাহকেরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় শনিবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার বিতরণ কার্যালয়গুলোতে রিচার্জ সেবার আওতা বাড়ানো হয়। গত শনি, রবি ও সোমবার তিন দিনে এসব বিতরণ কার্যালয়গুলো থেকে রিচার্জ করেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬২৩ জন। রিচার্জের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এর বাইরে গত মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি গ্রাহক রিচার্জ করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রাত ৮টায়ও অনেক বিতরণ কার্যালয়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন থাকায় এদিন রিচার্জ করা গ্রাহকের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি। সব মিলিয়ে এই চার দিনে দক্ষিণাঞ্চলের অধীন বিতরণ কার্যালয়গুলো থেকে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি গ্রাহক রিচার্জ করেছেন।

পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক চৌধুরী জানান, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিতরণ কার্যালয়গুলো থেকে ২ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক রিচার্জ করেছেন। মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে আমাদের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা এই কঠিন সময়েও রাত দিন কাজ করেছেন। যারাই রিচার্জ করতে এসেছেন প্রত্যেককে সেবা দেয়া হয়েছে। কাউকে ফিরে যেতে হয়নি।

পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রিপেইড মিটারে আগেই রিচার্জ করা জমা টাকা শেষ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রাহকের। ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জে সমস্যা হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ নীতিগতভাবে সম্মতি দিলেও ইন্টারনেট না থাকায় সফটওয়‍্যারে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন না করার বিষয়টি সংশোধন করতে যায়নি।

তাই বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় থেকে রিচার্জের ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের এ রিচার্জ সুবিধা চালু রাখার নির্দেশনা দেয় তারা। এর ফলে যতক্ষণ গ্রাহক থাকছেন, ততক্ষণ সেবা দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়। তবে প্রথম তিন দিনের (শনি, রবি ও সোমবার) চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার গ্রাহকের ভিড় ছিল তুলনামূলক কম।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *