সারাদেশ

শেয়ারদর ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা খান ব্রাদার্সের

ডেস্ক রিপোর্ট: শেয়ারদর ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা খান ব্রাদার্সের

ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম গত কয়েক মাস ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ছয় মাসে শেয়ারটির দাম প্রায় ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধির পর লোকসানের তথ্য জানিয়েছে বিবিধ খাতের কোম্পানিটি। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) খান ব্রাদার্সের সমাপ্ত হিসাব বছরের (৩০ জুন, ২০২৩) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। পর্যালোচনা শেষে তা প্রকাশ করে কোম্পানিটি।

সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও লোকসান দিয়েছে খান ব্রাদার্স। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৬ পয়সা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মোট লোকসান হয়েছে ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯২ টাকা। ফলে ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।

জানা গেছে, গত চার বছর ধরে টানা লোকসান দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৯ সালের পর কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত আয়ে ফিরতে পারেনি। লোকসানে থেকে গত তিন বছর বিনিয়োগকারীদের নামমাত্র লভ্যাংশ দিলেও এবার তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ গত কয়েক মাস ধরেই শেয়ারটির দাম ছিল লাগামহীন। 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, গত ৩০ এপ্রিল খান ব্রাদার্সের প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছিল। এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ারদর। গত রোববার (১২ নভেম্বর) খান ব্রাদার্সের শেয়ার লেনদেন হয় ৬২ টাকায়। অর্থাৎ মাত্র সাড়ে ছয় মাসের ব্যবধানেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫১ টাকা ৬০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। শতাংশ হিসেবে সাড়ে ছয় মাসে দর বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশে।

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে মূলত খান ব্রাদার্সের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কয়েকগুণ বেশি দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। একই সময়ে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ছিল খান ব্রাদার্সের ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার। অপরদিকে জুলাইয়ের ৩১ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল প্রতিষ্ঠানটির ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার। এ সময়ে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ছিল ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে৷ বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই এক মাসে কোনো চক্র বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে তা পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ধরিয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দেশের শেয়ারবাজারের বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত হয় খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তালিকাভুক্তির পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছর শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে নামমাত্র ২ শতাংশ বা ২ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা করে আয় করলেও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি খান ব্রাদার্স। আর এবার ২০২৩ সালেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মানি চেঞ্জারগুলোকে ডলারের দাম মনিটরিংয়ের নির্দেশ

বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। এ অবস্থায় খোলাবাজারে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো বেশি দামে ক্রয় করছে মার্কিন এ মুদ্রাটি। ফলে ডলারের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত দরের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি দামেও সম্প্রতি খোলাবাজারে বিক্রি হয়েছে ডলার। এমন অবস্থায় মার্কিন মুদ্রাটির দাম নিয়ন্ত্রণে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনকে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংগঠনটিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল শিকদার বলেন, গতকাল কয়েকজন বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে, এমন অভিযোগ ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আমাদের মনিটরিং করতে বলেছে।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাংক মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে ১১৭ টাকায় ডলার ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্রি করতে বলেছেন ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায়। কেউ যেন এর থেকে বেশি দামে ডলার বিক্রি না করে সেটি খেয়াল রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

হেলাল শিকদার বলেন, ১২০ টাকা বা ১২২ টাকায় যারা ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ধরতে বলেছে। আর অনলাইনে যারা বেশি দরে ডলার বেচাকেনা করছে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এটা হলে তো ভালোই হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এ বৈঠকে অংশ নেন ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সারোয়ার হোসেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) প্রবাসী আয়ের দাম প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এরপরই খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১২৮ টাকা দরে লেনদেনের রেকর্ড করে৷ এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ চায় এবিবি। এরপর গত দুইদিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল (রোববার) মার্কিন মুদ্রাটি লেনদেন হয়েছিল ১২৩ টাকা দরে।

;

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ৩.৩ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন

ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রিন প্রোডাকশন এবং নবায়নযোগ্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপন করা হয়েছে ৩.৩ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট। যা দিয়ে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের দৈনিক মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ০৭.৮৬ শতাংশ পূরণ হবে। এর ফলে সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ খরচ, সুরক্ষিত হবে পরিবেশ।

ওয়ালটনের এই সোলার পাওয়ার প্রজেক্টে অর্থায়ন করেছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।

শনিবার (১১ নভেম্বর, ২০২৩) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন সদরদপ্তরে ৩.৩ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং ইডকলের চেয়ারম্যান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইডকলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আলমগীর মোরশেদ, হেড অব রিনেবল এনার্জি এনামুল করিম পাভেল, কোম্পানি সচিব এম মাফতুন আহমেদ, বাংলাদেশ এবং নেপালে নিযুক্ত কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল সামসার, ওয়ালটন হাইটেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান (অব.), ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন মজুমদার, আবদুল্লাহ-আল-মামুন, সোহেল রানা, ইয়াসির আল-ইমরান ও মো. মহসিন সরদার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. নাজমুল ইসলাম, খালেদ বিন কামাল, শাহানা আক্তার, মো. মহসিন আলী মোল্ল্যা প্রমুখ।

ইডকলের চেয়ারম্যান শরিফা খান বলেন, “ওয়ালটন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটা গর্ব। বাংলাদেশ কি করতে পারে তা ওয়ালটন দেখিয়েছে। ওয়ালটন ক্রমান্বয়ে গ্রিন প্রোডাকশন এবং নবায়নযোগ্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং ওয়ালটন সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের এক অংশীদার। ওয়ালটনের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস- ওয়ালটন অচিরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।”

বাংলাদেশে কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল সামসার বলেন, ওয়ালটনের উৎপাদিত পণ্যের উচ্চ গুণগতমান এবং কার্যক্ষমতা দেখে আমি অভিভূত। বাংলাদেশে সোলার পাওয়ার উৎপাদনের যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে তা ওয়ালটন দেখিয়েছে। তারা প্রতিষ্ঠানের ছাদ, ফুটপাথ ও অন্যান্য খালি জায়গা সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করছে। ওয়ালটনের এই উদ্যোগ আর্থিকভাবেই নয়; পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত লাভজনক।

হেডকোয়ার্টার্সে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এছাড়াও অতিথিরা ওয়ালটনের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, মোল্ড অ্যান্ড ডাই ইত্যাদি পণ্যের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাকশন প্ল্যান্টসহ পুরো হেডকোয়ার্টার্স ঘুরে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।

;

গো জায়ানে বিকাশ পেমেন্টে হোটেল ও বিমান টিকেট বুকিংয়ে ডিসকাউন্ট

গো জায়ানে বিকাশ পেমেন্টে হোটেল ও বিমান টিকেট বুকিংয়ে ডিসকাউন্ট

ভ্রমণের এই মৌসুমে প্রিয়জনদের সঙ্গে কিংবা নিজের মতো করে ছুটি কাটানো আরও আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী করতে গো জায়ানে বিকাশ পেমেন্টে রয়েছে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। নির্দিষ্ট হোটেল ও রিসোর্ট বুকিংয়ে গ্রাহকরা পাচ্ছেন এই আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট। পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বিমান টিকেট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও আছে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

১লা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অফারটি চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অফার চলাকালীন দেশের ভেতরের নির্দিষ্ট হোটেল ও রিসোর্ট বুকিংয়ে এবং দেশ-বিদেশের নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্স ও রুটের ক্ষেত্রে অফারটি উপভোগ করা যাবে।

গো জায়ান ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা বিকাশ ইন-অ্যাপ পেমেন্ট সার্ভিস ব্যবহার করে ডিসকাউন্ট উপভোগ করা যাবে। অফারটি পেতে পছন্দের হোটেল/রিসোর্ট বা এয়ারলাইন্স সিলেক্ট করে যাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভ্রমণের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করতে হবে। এরপর শর্তাবলি দেখে নিশ্চিত করলে পেমেন্ট অপশনে নিয়ে যাবে। পেমেন্ট অপশন থেকে বিকাশ-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।

বিকাশ গ্রাহক অফার চলাকালীন প্রাপ্যতার ভিত্তিতে যেকোনো তারিখে হোটেল ও রিসোর্ট বুকিং করতে পারবেন। ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন কিংবা রিফান্ড পলিসি নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী হবে।

বিকাশ অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে পেমেন্টে করে এই অফারগুলো নিতে পারেন গ্রাহকরা। এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বিকাশের ওয়েবসাইট https://www.bkash.com/campaign/go-zayaan-nov ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

;

শেয়ারবাজারে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি: বার্তা২৪.কম

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন গত তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন দেখেছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। দিনভর বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৪ দশমিক ০১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পাঁচদিনে এ সূচকটি ৩১ পয়েন্ট হারিয়েছিল। আজ লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ৬ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।

প্রধান সূচকের সঙ্গে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শরীয়াহ সূচকও বেড়েছে। দিনশেষে ‘ডিএসই এস’ সূচকে যোগ হয়েছে দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। তবে বাছাই করা কোম্পানিগুলোর ‘ডিএস ৩০’ সূচক এদিন ১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট হারিয়েছে।

দুই সপ্তাহ ধরে লেনদেনে আশা দেখিয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহেও দুই হাজার ১৯৫ কোটি টাকার লেনদেন হয় ডিএসইতে। তবে আজ এক্সচেঞ্জটিতে গত তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য বলছে, মঙ্গলবার এক্সচেঞ্জটিতে ৩১১ প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেনের এ পরিমাণ প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ডিএসইতে ২৯৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ ৯২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৫৮টির। বাকি ১৬১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আজ অপরিবর্তিত ছিল। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ মনোস্পূল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। একদিনে প্রতিষ্ঠানটির ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা মূল্যের ৪ লাখ ৪ হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

সোমবার ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ অপরদিকে সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ মনোস্পূল পেপার।

এদিকে, দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ‘সিএএসপিআই’ আজ ৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট হারিয়েছে৷ এক্সচেঞ্জটিতে এদিন ১৪২ প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে৷ মঙ্গলবার সিএসইতে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে ৪২টির। বাকি ৫৪ কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *