সারাদেশ

আনুগত্য কমিশনের অধীনে জনগন কোন নির্বাচন চায় না: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ

ডেস্ক রিপোর্ট: আনুগত্য কমিশনের অধীনে জনগন কোন নির্বাচন চায় না: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, বর্তমান সরকারের আনুগত্য করে নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে তা দেশের জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। আওয়ামী লীগের এই দলদাস কমিশনের অধীনে জনগন দেশে আর কোন নির্বাচন দেখতে চায় না।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে গণ মিছিল পূর্ব জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জনদাবী উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দেশের সকল জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এই একতরফা তফসিলের কারণে অন্ধকার সরকার নিজেই অন্ধকারে ডুবে মারা যাবে। সকল বিরোধী দলের দাবীকে উপেক্ষা করে নির্বাচন করা হলে জনগন ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধে মাঠে নামতে বাধ্য হবে। শেখ হাসিনার সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। অতীতে শেখ হাসিনার অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাদের নেতৃত্বে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা থেকে হাবিবুল আউয়াল কমিশন যদি পিছু না হটে, তবে দেশের সর্বস্তরের জনগন অবৈধ নির্বাচন প্রতিহত করতে মাঠে নামতে বাধ্য হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট রাজনৈতিক দল ও জমগন এই সরকার ও কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারের পাতানো কোন নির্বাচনে যাবে না । ক্ষমতাসীন সরকার উন্নয়নের কথা বলে পাতানো নির্বাচন করে জনগনকে ধোকা দিতে চায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তি চায়, জ্বালাও-পোড়াও, বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর করে না ও চায় না। ইউনুছ আহমাদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকবে না বলে তারা পাতানো নির্বাচন করতে চায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এর সভাপতিত্বে জমায়েতে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান,সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও প্রচার সম্পাদজ মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রমূখ।

বিএনপির চার দলছুট নেতার সংবাদ সম্মেলন, নিচ্ছেন নির্বাচনের প্রস্তুতি

ছবি: বার্তা২৪

বিএনপির নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব এবং অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন মনিরুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক যুবদল নেতা স্বপন সরকারের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দলছুট এই চার নেতা সহিংসতা পরিহার করে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের নামে যে ‘ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি’ পরিচালনা করছে, তাতে দ্বিমত পোষণ করেন তারা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন বর্জনের কোনো যৌক্তিকতা নেই, তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতেন চান।

বিএনপির এই চার নেতা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বিএনপি বা কোনো নতুন-পুরনো রাজনৈতিক দল নয়; তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫, অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২, মনিরুল ইসলাম মিন্টু টাঙ্গাইল-৮, সাবেক যুবদল নেতা স্বপন সরকার রাজশাহী-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চে যোগদান করেছেন। তবে এই মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে না। এটি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে ১০০-১২৫ জন সদস্য রয়েছেন। বিএনপির বাইরের কোনো দলের তেমন কেউ নেই। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করি নাই আমরা।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি উল্লেখ করে খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, আমরা মনে করি, বিএনপির ইলেকশনে যাওয়া উচিত। এই জ্বালাও-পোড়াও, অবরোধ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানো যায় নাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা যদি রক্ষা করতে হয় তবে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নাই। আর যদি নির্বাচনের বিকল্প কিছু হয় তবে সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় বা শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি বলে জানান বিএনপির এই চার নেতা।

বিএনপির সরকার পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি করছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা ঠিক না। আদালতের বিপক্ষে অবস্থান থাকার সুযোগ নাই। অ্যাপিলিয়েট ডিভিশনে যদি কোনো রিভিউ পিটিশন ফাইল করত বিএনপি তাহলে না হয় কথা বলা যেত।

নির্বাচনে যেতে সংলাপ ও নির্বাচনী পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে কথা বলেন খন্দকার আহসান হাবিব। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সমস্ত সংকটের সমাধান হতে পারে সংলাপে। সকল রাজনৈতিক দলের শর্তহীন সংলাপে বসা উচিত। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থায়ী সংস্কার দরকার। এই সংস্কার যদি না হয়, তবে প্রতিবার নির্বাচনের আগে যে সহিংসতা হয় তা থামানো যাবে না।

;

‘নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে বাধ্য’

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবেই, তারা তফসিল ঘোষণা করতে বাধ্য। তফসিল ঘোষণা ছাড়া তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে তফসিল ঘোষণা সম্পর্কে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কি হলো না হলো তাদের দেখার সুযোগ নেই, তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে আমাদের ধারণা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে বসা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে যদি তফসিল ঘোষণা করা হতো তাহলে বিষয়টা ভালো হতো। তারপরও এটা বলতে পারি, সরকার যদি পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নেই। তফসিল ঘোষণার পরও আলাপ আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তারিখ পরিবর্তন করার ‍সুযোগ রয়েছে, অতীতে এ রকম ঘটনার নজীর রয়েছে।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। নির্বাচন করার সমস্ত প্রস্তুতি রয়েছে। প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি, ফরম ছাপানো সব রেডি রয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ দেখছি না। হত ৫ বছরে যে সব নির্বাচন হয়েছে অনেক জোর জবরদস্তি করা হয়েছে, প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। জোর করে সিল মারা হয়েছে। এতে করে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলেন। আমরা আশা করিনি আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবে। মনোনয়ন দিয়েছি তারা কাজ করুক, দলকে সংগঠিত করুক। এই নির্বাচনও আওয়ামী লীগের লোকজন সহ্য করতে পারেনি। পাস করবে তারপরও তারা সিল মেরেছে। কারণ তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে সিল মারা।

এসব কারণে নির্বাচনে আমরা যাবো কি যাবো না, এই প্রশ্নের সামনে পড়ে গেছি। গতকাল কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা নেতিবাচক মত প্রকাশ করেছে। যদিও তারা চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যা হচ্ছে খুবই দুঃখজনক। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কোন ফরমুলা রেডি করতে পারি নি। এটা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের ও বিএনপির এক দফা, তাদের ইগোর সমস্যা। তাদের এই এক দফার কারণে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

জ্বালাও পোড়াও ভয়ের সংস্কৃতি জাতীয় পার্টি পছন্দ করে না। আমি মনে করি এখনও সময় রয়েছে। বড় দুই দলকে ইগো ছেড়ে সংলাপে বসুক। তবে সমস্যা হচ্ছে একদল আরেক দলের চেহারা দেখতে চায় না।

;

তফসিলের পর তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করবে বিরোধী দলগুলো

প্রতীকী ছবি

রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে সারা দেশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করবে বিরোধী দলগুলো। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

ইতোমধ্যে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর পঞ্চম দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন চলমান থাকায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া তফসিল বাতিলের দাবিতে আগামী রোববার (১৯ নভেম্বর) ও সোমবার (২০ নভেম্বর) হরতাল আসতে পারে।

বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবিসহ অন্যান্য কিছু দল। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে আমরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করব। পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। যদিও আমাদের আগে হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মানুষের মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তফসিল ঘোষণা করলে আমরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ করব।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা বৈঠকে বসেছি। তফসিল ঘোষণা হলে জোটের করণীয় কী হবে তা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।

;

‘একতরফা তফসিল ঘোষণা করা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল’ 

ছবি: বার্তা ২৪

সারা দেশব্যাপী যখন হরতাল-অবরোধ চলছে, দেশে যখন এতো সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি সরকার ডেকে আনছে। তখন যদি আপনারা (নির্বাচন কমিশন) একতরফা তফসিল ঘোষণা করেন এটা বাস্তবে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সরকারের পতনের দাবিতে পঞ্চম দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিল শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, গত দুটো নির্বাচনের পরে দেশের মানুষ আরেকটা একতরফা, পাতানো, সাজানো, তামাশার নির্বাচন দেখতে চায় না। সুতরাং সেই জায়গা থেকে আজকে থেকে যদি কোনো তফসিল ঘোষণা করেন তাহলে মানুষ ধরে নিবে আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এই পাতানো নির্বাচনের সহযোগী। আপনারা একটা নীল নকশার নির্বাচনের সহযোগী। দেশের মানুষ সরকারকে যেমন ক্ষমা করবে না তেমনিভাবে নির্বাচন কমিশনকেও কোনভাবে ক্ষমা করতে পারবে না। 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলব আপনারা আজকে তফসিল ঘোষণা বন্ধ করুন। বিবেকের দায়-নৈতিক দায়ের দিকে অবস্থান নিন। ভোটারদের প্রতি, জনগণের প্রতি, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আপনাদের যে দ্বায়িত্ব সেই দ্বায়িত্ব থেকে আপনারা তফসিল ঘোষণা বন্ধ রাখুন। আর সরকার যদি জবরদস্তি করে চাপাচাপি করে তাহলে হাবিবুল আওয়াল সাহেবকে এবং তার সহকর্মীদেরকে বলতে চাই আপনারা নির্বাচন কমিশন থেকে মান-সম্মান রেখে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন। আর যদি তা না করেন তাহলে ভোট ডাকাত সরকারের সহযোগী হিসেবে মানুষ আপনাদেরকে গণ দুশমনের তালিকায় চিহ্নিত করবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আমরা এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিলাম। এই নির্বাচন কমিশনের প্রধান এবং তার সহকর্মীরা চৌকোষ ভাষায় কথা বলে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য এক ধরনের একটি আবহাওয়া তৈরি করার চেষ্টা করেছে।

ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীসহ যেসব গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের জন্য আমরা শোকাহত। এই অবৈধ সরকার এবং পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করব যারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যাকারী সেসব অপরাধীদের বিচার করতে হবে।

বিজিবিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সীমান্তে এত চোরাচালানি হচ্ছে। গুলি করে মারা হচ্ছে। সেখানে আপনারা কিছু বলেন না। আপনারা পারেন শুধু জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনসহ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *