লালমনিরহটে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের পঞ্চম দফায় ডাকা দুইদিন ব্যাপী দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ। বিএনপি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা কর্মসূচির তোয়াক্কা না করে রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার গাড়ি। তবে পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রী সংকটের কথা জানালেও রুট ভিত্তিক কিছু কিছু রোডের যাত্রৗর ভালো চাপ আছে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখ সায়দাবাদ বাস কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়দাবাদ বাস কাইন্টারের সব দূরপাল্লার কাউন্টার খোলা রয়েছে। অধিকাংশ কাউন্টারের সামনে দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাড় করে রাখা হয়েছে। কিছু কিছু কাউন্টারের ভেতরে যাত্রীরা বসে আছেন।
এছাড়া সায়দাবাদ দূরপাল্লার বাস কাউন্টার এলাকায় যাত্রী খুঁজতে পরিবহন শ্রমিকদের হাঁকডাক ছাড়তেও দেখা গেছে।
ঢাকা ফেনী রুটের স্টার লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. সাইদ বলেন, সকাল থেকে ফেনী রুটে আমাদের ৫-৭ টা বাস ছেড়েছি। প্রতিটা বাসেই মোটামুটি যাত্রী ফুল।
শ্যামলী এন আর পরিবহনের সায়দাবাদ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার বিকাশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের গাড়ি সকাল থেকে এখনও ছাড়ে নাই। কোন যাত্রী এখনও পাই নেই। দুই একজন যে যাত্রী আসছে তাদের নিয়ে গাড়ি ছাড়ার মতো না। কাউন্টারে গাড়ি লাগানো আছে যাত্রী হলেই গাড়ি ছেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, তবে ৩ টা থেকে যাত্রী না পেলেও গাড়ি ছাড়বে।
ঢাকা হবিগঞ্জ রুটের দিগন্ত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল থেকে আমাদের একটা গাড়ি ছেড়েছি। যাত্রী ছিলো ৩০ জন। এখন আরেকটা গাড়ি ছাড়া হবে। যে যাত্রী পেয়েছি তা মোটামুটি অনেক ভালো।
শ্যামলী এসপি পরিবহনের নজরুল ইসলাম জাবেদ বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের মোট ৫টি গাড়ি ছেড়েছি। তুলনামূলক ভালো যাত্রী পেয়েছি।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. হারুন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত বরিশাল রুটে ২টি, চট্টগ্রাম রুটে একটি গাড়ি ছেড়েছি। আরেকটা গাড়ি কুয়াকাটা যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার মাস্টার নাজমুল হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমাদের শুধুমাত্র ফরিদপুরের গাড়ি চালু আছে। এই রুটে যাত্রীর চাপ আছে। সকাল থেকে ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। পরের গাড়ি ৫টির সময় ছাড়বে।
এছাড়া বিভিন্ন দূরপাল্লার কাউন্টারে কথা বললে তারা বার্তা২৪. কম’কে জানান, যাত্রীর সংকট রয়েছে। ফলে সকাল থেকে দুই একটি গাড়ি ছেড়ে গেছে। ফলে যাত্রী সংকটে শিডিউল বিপর্যয়ে ছেড়ে যাচ্ছে গাড়ি।
এদিকে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানান জামায়াতে ইসলামী।
একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দল দুটি। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরে চতুর্থ দফায় রবি ১৩ ও সোমবার ১৪ তারিখ অবরোধ পালন করে দলটি।
সবশেষ পঞ্চম দফায় ১৫ নভেম্বর বুধবার ও ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অবরোধের ডাক দেয় দলটি।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।