টেকনাফে যুবক অপহরণ, ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট: চলছে সনাতন ধর্মীলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। রাজশাহীতে এবারও পূজায় নতুনত্ব এনেছে মহানগরীর টাইগার সংঘ পূজামণ্ডপ। পুরোনো ডাক ভবনের আদলে তৈরি করেছে পূজামণ্ডপ।
এই পূজামণ্ডপের সামনে গেলেই চোখে পড়বে হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্যবাহী ডাক ভবনের চিত্র। এক সময়ের ডাক হকার হাতে হারিকেন, কাঁধে লাঠি আর চিঠির বস্তা নিয়ে চিঠি বিলির দৃশ্য।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পূজামণ্ডপের সামনে সংরক্ষিত করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ছাড়াও ২৪টি চিঠি। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে মওলানা ভাসানীকে একটি চিঠিতে সে সময়ের দেশের কথা তুলে ধরেছেন। চিঠি রয়েছে, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়ের হাতে লেখা চিঠি। চিঠিগুলো মণ্ডপের সামনে রাখা হয়েছে। ঢুকতেই দুই পাশে রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক ডাক টিকিটের ছবি। ডাক টিকিটগুলোতে গ্রামবাংলার চিত্র ছাড়াও দেশের নানা সাফল্য উঠে এসেছে। এই রকম বড় বড় দুই বোর্ডে ১২টি করে ২৪টি চিঠি রয়েছে।
সতানত ধর্মালম্বীরা বলছেন, এবারের পূজা সকল অমঙ্গল মুছে মানুষের কল্যাণ নিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। রানীবাজারের টাইগার সংঘ মণ্ডপ প্রতিবার একটি করে নতুন বার্তা দিয়ে থাকে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে বাঘ হারিয়ে যাওয়া এবং তা সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে বাঘের মুখ তৈরি করেছিলো। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর গিটারসহ বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছিলো। এবার হারিয়ে যাওয়া ডাক ভবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এক সময় মানুষের চিঠি আদান প্রদানের প্রধান বাহক ছিলো ডাক বিভাগ। ডাক পিয়ন বা ডাক হরকরা হাতে হারিকেন, কাঁধে লাঠি আর চিঠির বস্তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতো সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এসব চিত্র দেখে পরবর্তী প্রজন্ম পুরোনো ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবে বলে জানান তারা।
মণ্ডপ ঘুরতে আসা দর্শনার্থী পলি রানী প্রামাণিক বলেন, প্রতিবছর টাইগার সংঘ নতুন কিছু আমাদের উপহার দেয়। এ বছরও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
আরেক দর্শনার্থী কল্যাণ দত্ত বলেন, টাইগার মণ্ডপ মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। বরাবরই করে। কারণ তারা নতুন আইডিয়ায় ভিন্ন থিমের ওপরে মণ্ডপের নকশা করে। যা সকলকে অবাক করে। এ বছরও সবাইকে অবাক করেছে। রাজশাহীতে এমন থিমের মণ্ডপ আর কোথাও নেই। টাইগার সংঘের থিমটি ভালো লেগেছে সবার। তরুণ প্রজন্ম আগের দিনের চিঠির ইতিহাস কিছুটা হলেও জানতে পারবে।
মণ্ডপের পুরোহিত সুমন চক্রবার্তী বলেন, এবারের পূজায় মা দূর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে এবং ঘোড়ায় চড়েই গমন করবেন। সেই সঙ্গে অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে শুভশক্তি সঞ্চার করবেন।
পূজা উদযাপন কমিটি রাজশাহী মহানগর ও টাইগার সংঘ পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পার্থপাল চৌধুরী বলেন, প্রতিবার পূজায় ভিন্ন বার্তা আমরা দিয়ে থাকি। বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোনের এসএমএসের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া চিঠি আদান প্রদানের পুরোনো ঐহিত্য তুলে ধরতে আমাদের এই আয়োজন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।