সারাদেশ

‘বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান আগের মতোই’

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েল গাজায় মানবাধিকারের যে ব্যাপক লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের দেশগুলোকে অবশ্যই গেজে উঠতে হবে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম খরাইশি।

তিনি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন একটি গণহত্যা।’

জেনেভায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর এক সমাবেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত খরাইশি বলেন, ‘আপনাদের জেগে ওঠা উচিত। এটি একটি গণহত্যা, যা আমরা টিভিতে দেখছি। এটি চলতে পারে না।’

এদিকে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বলেছেন, ‘এই বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন।’

ভলকার তুর্ক বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের একাধিক এবং গভীর লঙ্ঘনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর, যদি কেউ সেগুলো করে তবে কঠোর তদন্ত এবং জবাবদিহির সম্পূর্ণ বিধান রয়েছে।’

তুর্ক গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘উভয় পক্ষই মারাত্মক সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ করছে।’

জেনেভায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ওই ধরনের তদন্ত করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম প্রমাণিত হয় এবং যেখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।’

উল্লেখ্য যে, প্রবেশের অনুরোধ করা সত্ত্বেও ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেতে পারেনি তুর্ক।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাসের ওই হামলায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

এদিকে, হামাস প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে, যাদের মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

অনদিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানে ১১,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং হাজার হাজার শিশু রয়েছে।

তুর্ক বলেছেন, ‘সঙ্কট গাজা স্ট্রিপের বাইরেও প্রসারিত হয়েছে এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার তীব্রতা এবং গুরুতর বৈষম্য সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে এটি একটি সম্ভাব্য বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং আমি পরিষ্কার হতে চাই। আমরা প্রাথমিক সতর্কতার স্তরের বাইরে রয়েছি। আমি অধিকৃত পশ্চিমতীর সম্পর্কে সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরে অ্যালার্ম বেল বাজাচ্ছি।’

তুর্ক বলেন, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সকল পক্ষকে স্বীকার করতে হবে যে, সমস্ত মানুষের জীবনের সমান মূল্য রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রোধকে আমাদের নৈতিক কম্পাসে নিমজ্জিত হতে দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলিদের স্বাধীনতা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে আবদ্ধ। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিরা একে অপরের শান্তির একমাত্র আশা।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *