সারাদেশ

আল-শিফা হাসপাতালে জিম্মি থাকার শক্তিশালী প্রমাণ ছিল: নেতানিয়াহু

ডেস্ক রিপোর্ট: আল-শিফা হাসপাতালে জিম্মি থাকার শক্তিশালী প্রমাণ ছিল: নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অন্যতম বড় হাসপাতাল আল-শিফায় জিম্মিদের আটক রাখার শক্তিশালী প্রমাণ ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করার একটি কারণ ছিল। সেখানে হামাস জিম্মিদের আটক করে রেখেছে বলে শক্তিশালী প্রমাণ ছিল।

ইসরায়েল বারবার আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের একটি বড় ঘাঁটি আছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এজন্য তারা বুধবার (১৫ নভেম্বর) সেখানে অভিযান চালায়। তবে বরাবরই তাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হামাস এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

নেতানিয়াহু বলেন, সেনাবাহিনী যখন হাসপাতালে পৌঁছেছিল তখন জিম্মিরা আর সেখানে ছিল না। যদি তারা সেখানে থাকত, তবে তাদের বের করে নেওয়া হয়েছিল।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র পিটার লার্নার বুধবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, হাসপাতালের অপারেশনটি অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তা এবং বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মূলত ইসরায়েল হাসপাতালটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সে কারণেই ইসরায়েলি সেনারা হামাসের অবকাঠামো থাকার অজুহাত দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলার পর থেকেই আল-শিফা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালের কাছাকাছি চলে আসলে অনেকেই সেখান থেকে সরে যান। তবে গত দুই তিন দিন ধরে হাসপাতাল ছাড়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর ড্রোন হামলা ও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল পুতিনের সমালোচনাকারী জেনারেলকে

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভ্লাদিমির স্ভিরিডভ। ছবি : সংগৃহীত

তৃতীয় শ্রেণীর বিমানবাহিনী পরিচালনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করা দেশটির বিমানবাহিনীর একজন সাবেক কমান্ডারকে
স্ট্যাভ্রোপল অঞ্চলে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

খবরটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউজ উইক।

গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) ৬ষ্ঠ এয়ার ফোর্স এবং এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস আর্মির সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভ্লাদিমির স্ভিরিডভের লাশ পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ভিরিডভের লাশ একজন নারীর মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেছে, যাকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে, রাশিয়ার অন্যান্য আউটলেটগুলো ওই নারীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছে।

রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তির উদ্ধৃতি দিয়ে নিউজ উইক জানিয়েছে, সহিংস মৃত্যুর কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি এবং মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাশিয়ার এই সাবেক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা রাশিয়ান ম্যাগাজিন টেক অফের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘মস্কোর পাইলটরা অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।’

তিনি বলেছিলেন, ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য একজন পাইলটের প্রতি বছরে প্রায় ১০০ ঘন্টা উড়তে হবে। তবে, এটি এখনও হয় নি। বিমানবাহিনীতে গড় ফ্লাইটের সময় বর্তমানে ২৫-৩০ ঘন্টা।’

অন্য একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন, ‘ভাল কেউ নেই বলে আমরা এমন অফিসারদের নিয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছি, যারা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত নয়। একই কারণে আমরা সামরিক একাডেমিতে তৃতীয় র্যাঙ্কিংয়ের পাইলটদের পাঠাচ্ছি। অতীতে এটি ঘটেনি।’

লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্ভিরিডভ তার কর্মজীবনে অর্ডার অফ দ্য রেড স্টারে ভূষিত হন এবং তিনি রাশিয়ার একজন সম্মানিত পাইলট ছিলেন।

তিনি রাশিয়ান পাইলটদের কম বেতন এবং নিম্নমানের আবাসনের কথা তুলে ধরে তরুণ অফিসারদের পাশাপাশি সমস্ত চাকুরীজীবীদের জন্য স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য পুতিনকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

;

‘বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান আগের মতোই’

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও বাংলাদেশ ইস্যুতে সম্প্রতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পর যেমন ছিল তেমনটাই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লিতে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একথা বলেন।

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বার বার আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি… সেই সঙ্গে আমরা বলেছি, এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে সমাধান বের করবে।

আমি মনে করি, আমি এটা অনেকবার বলেছি… নির্বাচন প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এর একটি সমাধান বের করবে বলেন তিনি।

অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ‘টু প্লাস টু’ সংলাপের পর আমাদের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাই এ বিষয়ে আমার আর কিছু যোগ করার নেই। বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান অনেক সময়েই প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধান একটি একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।

এর আগে, গত ১২ নভেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ভারত-মার্কিন মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পর মিডিয়াকে ব্রিফ করার সময় বলেছিলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল জাতির দৃষ্টিভঙ্গিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশ ইস্যুতে, তিনি বলেছিলেন যে ভারত সংলাপে মার্কিন পক্ষের কাছে খুব স্পষ্টভাবে দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংলাপের সময় তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

;

যুদ্ধ বৃদ্ধির আশঙ্কায় গাজার ৪ শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

বেসামরিক লোকদের বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের চারটি শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ ওই সব শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইসরায়েল বলেছে, তাদের বাহিনী হামাস শাসিত গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফাতে এখনও উপস্থিত রয়েছে।

যদিও বৃহস্পতিবার সকালে শিফায় ইসরায়েলের পরিস্থিতি যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। কারণ, বার্তা সংস্থাটি গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে হাসপাতালটির ভেতরের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে।

বিমান থেকে নিক্ষেপ করা লিফলেটগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রধান দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের পূর্ব প্রান্তে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং কারারা শহরগুলো ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

শহরগুলো সম্মিলিতভাবে এক লাখেরও বেশি লোকের বাসস্থান বলে জানা গেছে।

লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপনার বাসস্থানের এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে আপনার বসবাসের স্থানগুলো খালি করতে হবে এবং পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে।’

এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকাটি রাতভর প্রচণ্ড বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের শেষে স্থল অভিযানের আগে গাজার উত্তর অর্ধেক খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল।

বাসিন্দাদের অন্যত্র যাওয়ার জন্য ছয় ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘গাজা দখল করা ইসরায়েলের জন্য হবে একটি বড় ভুল এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানোর একমাত্র উপায় হল দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের বাস্তবায়ন।’

সান ফ্রান্সিসকোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের কাছে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি যে, তারা গাজা দখল করে গাজা রক্ষণাবেক্ষণ করবে, এটা ভাবা তাদের জন্য বড় ভুল। আমি মনে করি না তাদের ওই অভিপ্রায় কোনও কাজে আসবে।’

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে চার ঘন্টার শীর্ষ বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, ‘রক্তপাত বন্ধ করার একমাত্র উপায় হল দুই-রাষ্ট্র তত্ত্ব, যেখানে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি বসবাস করবে।’

;

হামাসের রাজনৈতিক প্রধানের বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলা

ইসমাইল হানিয়েহ। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়েহের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসরালের যুদ্ধবিমান একটি বাড়িতে বোমা বর্ষণ করছে।

ওই বাড়িটিকে ইসমাইল হানিয়েহের বাড়ি বলে দাবি করেছে তেল-আবিব।

প্রসঙ্গত, হানিয়েহ হলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান এবং গাজা শাসনকারী সংস্থার সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাকে হামাসের প্রধান হিসেবে গণ্য করে।

এনডিটিভি জানিয়েছে ইসরায়েল দাবি করেছে, হানিয়েহের বাড়িটি সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও আইডিএফ সেনাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য সিনিয়র হামাস নেতারা মিটিং পয়েন্ট হিসাবেও বাড়িটি ব্যবহার করছিলেন বলে দাবি তেল-আবিবের।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের শেষের দিকে লাইমলাইটে আসেন হানিয়েহ। তিনি ২০০৪ সালে ধর্মগুরুকে হত্যার আগে গাজায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ডান হাত হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

২০০৬ সালে হামাসকে বিজয়ী করার পর তিনি ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

হানিয়েহকে ২০১৭ সালে হামাস নেতা হিসাবে নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি গাজার বাইরে থেকে হামাসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা বৃহস্পতিবার হামাসের নৌবাহিনীর একটি অস্ত্রের ভাণ্ডারও খুঁজে বের করে ধ্বংস করেছে। সেখানে ডাইভিং গিয়ার, বিস্ফোরক ডিভাইস এবং অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *