বন্যাদুর্গতদের পাশে পুলিশ, প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় যোগাযোগের আহ্বান
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০০৬ সালে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের ৭৫৭ জন এসআই ও সার্জেন্টকে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগের অজুহাতে ২০০৭ সালে বাতিলকরণ করা হয়। বাতিলকৃত এসব এসআই ও সার্জেন্ট এর নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুলিশের বাতিলকৃত এস আই, সার্জেন্টরা।
পুলিশের নিয়োগ বঞ্চিতদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম সুজন চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদ ও বেনজীর তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য শুধু ‘দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ’ অজুহাতে ১১ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ তারিখে ৫৩৬ জন এসআই ও সার্জেন্টসহ মোট ৭৫৭ জনের চূড়ান্ত নিয়োগ বাতিল করেন যা অত্যন্ত অমানবিক ছিল।
বাংলাদেশ পুলিশের এস আই পদে নিয়োগের জন্য ২০ ডিসেম্বর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সকল রেঞ্জ ডিআইজিদের তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ তারিখে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২২ সেপ্টেম্বর হতে ১২ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ২২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ২২ অক্টোবর হতে ০৫ নভেম্বর ২০০৬ সালে সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে ১৪ এপ্রিল ২০০৫ সালের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের সার্জেন্ট পদে নিয়োগের জন্য ২ জুলাই ২০০৫ সালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২৭,২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৫ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ০২ আগস্ট ২০০৬ পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে সম্পন্ন করে।
নির্বাচিত সকল প্রার্থীগণ কর্মরত বিভিন্ন চাকুরী হতে অব্যাহতি নিয়ে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে যোগদানের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু বিনা কারণে হঠাৎ করে আমাদের চাকরিতে যোগদান বাতিল করে দেন তৎকালীন পুলিশ প্রধান। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। চাকুরিতে যোগদান করতে না পেরে পরবর্তীতে আমরা উচ্চ আদালতে রীট করেছিলাম। উচ্চ আদালতেও আমরা নিয়োগবঞ্চিত ৭৫৭ জন চাকরিপ্রার্থী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় বলে দাবি করেন তারা।
তিনি বলেন, চাকরি হারিয়ে আমাদের অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানে ঢুকলেও বেশিরভাগই মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এসময় তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস এর কাছে নিয়োগ বঞ্চিত চাকরী প্রার্থীগণের ন্যায় বিচার ও চাকুরীতে পুনর্বহাল করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাকরি বঞ্চিতদের সমন্বয়ক সাহেদুল ইসলাম দিপু, লোকমান হোসেইন, জাকির হোসেনসহ আরও অনেকে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।