ঢাকায় আসছেন মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিন
ডেস্ক রিপোর্ট: পোশাক কারখানার শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা শুনে পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে আইনগত সহায়তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় সাভারের আশুলিয়ার নবীনগরের জয় রেস্তোরাঁয় বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এ সভার আয়োজন করে।
পোশাক কারখানায় অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন এক শ্রমিক। পাওনাদি দিয়ে তাকে ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ। এরপর অন্য কারখানায় চাকরির চেষ্টা করেন তিনি। তবে চাকরি মিলছিল না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ’কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে তাকে, যেখানে চাকরিচ্যুতির কারণ উল্লেখ করা ছিল।
পোশাক শ্রমিকদের পেশাগত প্রতিবন্ধকতা ও আইনগত সহায়তা প্রাপ্তি নিয়ে শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গটি উঠে আসে। এছাড়াও শ্রমিকদের নানা সংকট উঠে আসে এ সভায়।
এতে যোগ দেন সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিক নেতারা বলছেন, পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালনা করছে এমন একটি তালিকা। সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোতে কোনো শ্রমিক কালো তালিকাভুক্ত হলে বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানায় চাকরি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন ওই শ্রমিক। বিষয়টিকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা করা হবে বলে জানায় বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
এ সভায় পোশাক শ্রমিকরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের সহায়তা পাওয়া, আন্দোলন চলাকালে বহু কারখানায় ছুটি না দেওয়া, অনুপস্থিত থাকলে বেতন কর্তন, সাধারণ ছুটি না পাওয়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি যথাযথভাবে না পাওয়া, ওভারটাইমের বেতন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনাজনিত কারণে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া, কারখানায় চাকরিচ্যুত করার পর ফটকে ছবিসহ তালিকা টাঙিয়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন, বেতন বৈষম্যসহ কারখানা কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন।
এক নারী শ্রমিক উল্লেখ করেন, পারিবারিক অসুস্থতার কারণে ছুটি চেয়ে পাননি তিনি। পরবর্তীতে তার বেতন কেটে রাখা হয়। এ সময় ব্লাস্টের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে ছুটি চাওয়া ও প্রয়োজনে চিঠির মাধ্যমে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সভায় পোশাক শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি করার বিষয়ে আলোচনা করেন শ্রমিক নেতারা। ব্লাস্ট এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও তুলে ধরেন।
এছাড়া ব্লাস্টের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আইনগতভাবে কল কারখানা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন ও প্রয়োজনে ব্লাস্টের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় ব্লাস্টের ব্লাস্টের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মো. তৈয়্যেবুর রহমান, সিনিয়র স্টাফ আইনজীবী সিফাত-ই-নূর খানম, আউট রিচ স্পেশালিষ্ট মো. আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের (এমজিডব্লিউএফ) নেতা মো. সালেকসহ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও বিভিন্ন কারখানার অর্ধশত শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।