আন্তর্জাতিক

শনিবার বন্যাদুর্গত এলাকা পরির্দশনে যাচ্ছেন চরমোনাই পীর

ডেস্ক রিপোর্ট: বন্যাদুর্গত এলাকা পরির্দশন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে শনিবার (২৪ আগস্ট) ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা যাচ্ছেন ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের’ আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ খুলে দিয়েছে। ভারতের পানি আগ্রাসন রুখে দিতে হবে।

তিনি বলেন, যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ভারতের কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি। এর মধ্য দিয়ে বিগত সরকারের মতো অন্তর্র্বতী সরকারও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে চলছে কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়ে দিয়েছে।

বিবৃতিতে মুফতী রেজাউল করীম আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে ৫৪টি নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে ভারত। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে মরুকরণের ঝুঁকিতে পড়ছে। তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে মারছে ভারত। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশবাসীকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বিবৃতিতে বলেন, ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়িসহ ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বানভাসি মানুষকে উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া ও পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রদানের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি দাবি জানান পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব চরমোনাই আল্লাহর সাহায্য কামনার পাশাপাশি বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করার আহ্বান জানান। দলের প্রায় হাজারের ওপরে স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণ তৎপরতা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যা দূর্গত এলাকা পরির্দশন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে চরমোনাই পীর শনিবার ফেনী নোয়াখালী ও কুমিল্লা যাচ্ছেন। এ সময় আরও উপস্থিত থাকবেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এসব অঞ্চলের ক্ষসতিগ্রস্ত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তা করবেন তিনি।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *