বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়েও তোপের মুখে চঞ্চল চৌধুরী
ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে সারাদেশে যে প্রভাব পড়েছে, তা দেখা গেছে বিনোদন অঙ্গনেও। অভিনেতা থেকে শুরু করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, অস্থিতিকর সময়ে নিরব থাকা সকল শিল্পীর প্রতি আক্রোশ প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা।
ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় সাধারণ জনগণসহ সিনেমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও রুষ্ট হয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর উপর। ভক্তদের রাগ যে কমে নি, তার প্রমাণ পাওয়া যায় এখনো। বর্তমানে দেশ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে রয়েছে। বন্যায় দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক শিল্পীই বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে।
চঞ্চল চৌধুরীও এমন দুর্যোগে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন তিনি। তবে এই পোস্ট দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেতা।
বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়ে চঞ্চল চৌধুরীর পোস্ট / ছবি: ফেসবুক
প্রথমে তিনি বন্যার্তদের জন্য সাহায্য এবং বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যোগাযোগ করার মাধ্যম সম্পৃক্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেন। পোস্টের কমেন্ট বক্সে তার সমালোচনা করে নানারকম কটুক্তি করে মানুষ। এতদিন দেশে চলমান কোনো ব্যাপারে মন্তব্য না করায় তার উপর ভক্তদের রাগ ফুটে উঠেছে। কেউ কেউ তাকে বহুরূপী বা আয়নাবাজ বলেও আখ্যায়িত করছে।
এরপর দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সাহায্য করার ছবি শেয়ার করেন চঞ্চল। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্স অবশ্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পূর্ববর্তী সকল পোস্টেই হাজারের উপর ‘হা হা’ রিয়েক্ট পড়ছিল। তাছাড়া একাংশ জনগণ তার বিরুদ্ধে নানা কমেন্ট করছিল, যেখানে তাকে ‘দালাল’ এবং ‘সুবিধাবাদী’ও বলা হয়।
চঞ্চল চৌধুরী / ছবি: ফেসবুক
ড. ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণ করার পরদিন মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন চঞ্চল। সেখানে তিনি এও জানান, তিনি কোনো গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেননি। অভিনেতার নামে কোনো গণমাধ্যমে কিছু ছাপানো হলে সেটা তার দায়ভার নয়। চঞ্চল আরও বলেন, তিনি কেবল শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনোকিছুর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নয়। সেই পোস্টেও অনেকেই তাকে বিরোধিতা করে মন্তব্য করেন।
যদিও আন্দোলন চলাকালে অভিনেতা আমেরিকায় ছিলেন প্রায় ২০ দিন। ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর খবর পাওয়ার পর তিনি হতবাক এবং শোকাহত হওয়ার কথা জানিয়ে একটি পোস্টও দেন। সেখানে চঞ্চল বলেন, ‘সমাধানের অন্য কোন পথ কি খোলা ছিলো না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না? যা ঘটে গেলো এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক,মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত!’
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী / ছবি: ফেসবুক
এছাড়াও তিনি শহীদ এবং তাদের পরিবারের ব্যাপারে চিন্তা প্রকাশ করেন। তার সাথেই নোংরা রাজনীতি বন্ধেরও আহ্বান জানান। তবুও সশরীরে আন্দোলনে না নামার কারণে এখনো তাকে সাধারণ জনগণের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।