ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। ভোর রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীত আসার লক্ষণ হলো বৃষ্টি। কারণ শীতের পূর্বশর্তই হল আকাশ পরিষ্কার থাকতে হবে। সে হিসেবে বলা যায়, এই বৃষ্টির পর হালকা শীত শীত অনুভূতি হতে পারে। তবে দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়সহ প্রান্তিক পর্যায়ে কিন্তু ইতিমধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।