আন্তর্জাতিক

গাজায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৭৩, গত ৫ যুদ্ধে সর্বাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ এর নিচে। চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৭৩ শিশু প্রাণ হারিয়েছে যা গত ১৫ বছরের পরিসংখ্যানে সর্বাধিক।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান প্রকশি করা হয়।

২০০৮-২০০৯ সালের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ২৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এই দীর্ঘ যুদ্ধে অন্তত ৩৪১ জন শিশুর প্রাণহানি ঘটে। পরবর্তী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত হয়েছিল ২০১২ সালে। ৮ দিন স্থায়ী এই সংঘাতে মোট ৩৫ জন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।

২০১৪ সালের পরবর্তী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ৫০ দিন স্থায়ী সেই ভয়াবহ যুদ্ধে অন্তত ৫৩২ জন শিশুর মৃত্যু হয়। এরপরে ১১ দিন স্থায়ী ২০২১ সালের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে মোট ৬৬ শিশু প্রাণ হারিয়েছিল।

কিন্তু অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বর্তমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে মোট শিশু মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৭৩ এ। সংঘাত চলতে থাকলে এই সংখ্যা আরও বাড়তেই থাকবে। গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি শিশুদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৪৫ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই সহিংসতায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১,৮৭৩ জন শিশু, ১,১০১ জন নারী ও ১,৬৭৭ জন পুরুষ। আর সবমিলিয়ে আহত হয়েছে প্রায় ১৪,২৪৫ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানির অভাবে গাজার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে অন্য হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, যেগুলোতেও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। ওই হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার ১৫০ শতাংশ বেশি রোগী ভর্তি করা হয়েছে।

এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি হামলায় আরও কত শিশুকে প্রাণ হারাতে হবে তা সবার অজানা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *