৭ প্রতিবন্ধীর সংসার চলে দোতারার সুরে সুরে
ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপজনিত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চট্টগ্রাম জেলার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দফতরের দফতর প্রধান, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়েন মতামত প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও (যেমন: কারিতাস, ব্র্যাক, ব্যুরো বাংলাদেশ) দুর্যোগ মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানান।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান; হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি কর্পোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সাথে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, বিদ্যমান ৬০৯ টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩ টি) আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সভাপতির নির্দেশক্রমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি সভায় উপস্থাপন করেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের নিকট ত্রাণ কার্যের জন্য ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদ, ২৪৪ মেট্রিকটন চাল, ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার গো খাদ্য, ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শিশু খাদ্য, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১০০০ পিস এবং ৪৭ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন মজুদ আছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমাদের বিভিন্ন টিম মাইকিং করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা আছে, পাশাপাশি শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সকল পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।