সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি, যেকোনো সময় গ্রেফতার আদম তমিজি

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি, যেকোনো সময় গ্রেফতার আদম তমিজি

ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলের পদ হারিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কটুক্তি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করছে র‍্যাব। এই মামলায় তমিজিকে গ্রেফতার করতে গত ২৪ ঘন্টারও বেশি ধরে তার বাড়ি ঘিরে রেখেছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার হবেন এই ব্যবসায়ী। 

রাজধানীর উত্তরার দক্ষিনখান থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান নাঈম বাদী হয়েছেন।

মামলার পর একাধিকবার তমিজি হককে গ্রেফতারে অভিযান চালায় র‍্যাব। তবে এখনো তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। 

র‍্যাবের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে ঢুকে গ্রেফতার করা হলে আত্মহত্যাসহ নানা হুমকি দিচ্ছেন তমিজি। এমন কি ধারালো অস্ত্র দেখাচ্ছেন।

তমিজি হক গ্রেফতারের বিষয় র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদম তমিজীবর বাসা ঘিরে রেখেছে র‍্যাব। তিনি বাইরে বের হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তমিজী স্বাভাবিক হলে এবং তার ভূল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করলে ভাল। যতক্ষণ না তিনি বের হচ্ছেন ততক্ষণ র‌্যাব বাসাটি ঘিরে রাখবে। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবেই তমিজীকে গ্রেফতার করতে।

দক্ষিণখাঁন থানায় দায়ের হওয়া মামলার কপি এসেছে বার্তা২৪.কমের হাতে।  কাউন্সিলর আনিস মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর, মানহানিকর, উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন আদম তমিজী হক। বিভিন্ন সময় আদম হকসহ বেশ কয়েকটি নামের ফেসবুক পেইজ লাইভে এসে হুমকি ও কটুক্তি করা হয়। এই অভিযোগে  সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৭/২৯ ধারায় দক্ষিণখান থানায় মামলাটি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান আজাদ মসজিদের বিপরীত পাশে ১১১ নম্বর রোডে আদম তমিজী হকের ৮ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। মধ্যরাতে অভিযানকালে আদম তমিজী হক তার বাসার একটি রুমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। র‌্যাব তাকে বাইরে বের হতে বললে তিনি আত্মহত্যা করবেন এবং তার স্ত্রীকে হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। এরপর র‌্যাব রাতে অভিযান অসমাপ্ত রেখে বাসাটির চারপাশ ঘিরে রাখে। শুক্রবারও আদম তমিজী হকের বাসার চারপাশ ঘিরে রাখে র‌্যাব সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাসাটি এখনো ঘিরে রেখেছে র‍্যাব।

এর আগে, গত মাসে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানাসহ একহাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। এই দ্বন্দ্বের কথা জানিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন তমিজি হক। এরপর আরেক লাইভে এসে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে আলোচনার জন্মদেন এই ব্যবসায়ী। মাঝে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে অবস্থানকালেও একাধিকবার ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন তিনি।

জানা গেছে, আদম তমিজী হক গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর রাত ৩টার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।

২০১৭ সালে আদম তমিজী হক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ঢাকা মহানগর উত্তর তাতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। পরে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ এবং দলীয় শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করার দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এ দিকে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে আদম তমিজি হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বার্তা২৪.কম। তবে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী তার ব্যক্তিগত সহকারী বাদশার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি তমিজি হকের সঙ্গে এখন আর কাজ করছেন না। রাজনৈতিক পদ হারিয়ে আলোচনায় আসার আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তার সঙ্গে  কোনো যোগাযোগ নেই বাদশার।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে গাছচাপায় শিশু ও বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বাতাসে গাছ চাপা পড়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক বৃদ্ধ ও মিরসরাইয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে পৃথক ঘটনায় তাদের তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের হানিফ মাস্টার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব (৭১) এবং মিরসরাই জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা (৩)।

শিশু মুনতাহার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফ উদ্দিন আরজু বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় একটি বড় গাছ উপড়ে শিশু সিদরাতুল মুনতাহার ওপর পড়ে। এতে গুরুতর আহত হয় সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে আব্দুল ওহাবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহেদ সারোয়ার শিমুল জানান, শুক্রবার স্থানীয় মসজিদে আসর নামায পড়ে ফেরার সময় ঘরে প্রবেশের মুহূর্তে বাতাসে একটি গাছের ঢাল ভেঙে পড়ে। ওই ঢালের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে চট্টগ্রামে। ওইদিন রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়।

;

ঘূর্ণিঝড় মিধিলিঃ আমন ধানের ক্ষতির শঙ্কায় ফেনীর কৃষকরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফেনীতে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বইছে। তীব্র বাতাসে জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাজার হাজার হেক্টর আমন ধান জমিতে নুইয়ে পড়েছে। একমাসের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা। তবে মিধিলির প্রভাবে বেশীরভাগ জমির ধান জমিয়ে নুইয়ে পড়ায় শেষ মূহুর্তে এসে ক্ষতির শঙ্কা করছেন জেলার কৃষকরা।

বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীসহ ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলাসহ প্রায় সকল উপজেলার কৃষকদের আমন ধান জমিতে নুইয়ে পড়েছে। জমির উপর উপড়ে পড়েছে গাছপালা, অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে ফসলী জমিতে।

ছাগলনাইয়ার নিজকুঞ্জরা এলাকার কৃষক মমিনুল হক বলেন, ফলন ভালো হলেও আমন ধান ঘরে তুলতে পারব কি না জানি না। বাতাসে ১৫ শতকের বেশি জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। এছাড়া সকাল থেকে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। রাতে সবকিছু স্বাভাবিক না হলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। 

পরশুরামের বীরচন্দ্র নগর এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, বাতাসে ২০ শতকের বেশি জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। এক মাস পরেই ধান কাটার কথা কিন্তু শেষ মূহুর্তে এসে এমন বিপর্যয় আশা করিনি। জানি না ফসলের কেমন ক্ষতি হবে, তবে বেশকিছু লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।

ফুলগাজীর কৃষক আবু জাফর বলেন, ফসলী জমির ধানের পাশাপাশি রবি শস্য রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আজকের পর আবাদ আরও পিছিয়ে যাবে। সময়মত ফলাতে না পারলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার কৃষক আবু মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিতে আমার ১০ শতক জমির ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।  

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট না হলেও চরচান্দিয়া ইউনিয়নে ফসলী জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। ৭৮ হেক্টরের আমন ধানের মধ্যে ৫৫ হেক্টর ধান নুইয়ে পড়ার খবর পেয়েছি। তবে জলাবদ্ধতা না হলে ফসলের খুব বেশী ক্ষয়ক্ষতি হবেনা বলে জানান তিনি।

ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ একরাম উদ্দিন জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাজার হাজার হেক্টর আমন ধান জমিতে ঢলে পড়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কারণে ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও রবিশস্য আবাদ পিছিয়ে যেতে পারে।

;

নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলনে মেতেছে কৃষক

ছবি: বার্তা ২৪.কম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এবার আলু উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। এবার দেশে এ অঞ্চলের প্রথম আগাম আলু উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে বগুড়া, ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ আলু চড়া দামে বিক্রি করছে কৃষকেরা। আগাম সুখবর এনেছে এ আলু। এ উপজেলা আগাম আলু সূতিকাগার খ্যাত।

বাজারে চাহিদা আর দাম থাকার ফলে আগেভাগে উচু সমতলভূমিতে চাষ করেন কৃষকরা। ফলে আগাম আলু উত্তোলনকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেত মজুর ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা যায়, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বপন করেন। বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর আগাম আলু উত্তোলন করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলুর মাঠে কেউ মাটি খুড়ছে, কেউ কুড়াচ্ছে। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে ওজন। ক্ষেতের মাঝে ভর্তি হচ্ছে ভ্যান, ট্রলি, ট্রাক। ক্ষেতের মধ্যে আলু তোলার এমন দৃশ্য উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে। উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল আলীম মাষ্টার ২২শতক জমিতে ৭৮টাকা কেজি দরে আলু ব্যবসায়ী নিকট জমিতে বিক্রি করেছে। তিনি খরচ বাদে দিগুন লাভের আশা করছেন। একই গ্রামের হজরত আলী ৬২ শতক জমিতে আগাম আলু উত্তোলন করছেন।

কৃষক হযরত আলী বলেন, বরাবরের মত চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে বুননকৃত জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ২৫জন শ্রমিক কাজ করছে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।

কৃষক নুরুল আলীম মাষ্টার জানান, আগাম আলু চাষ করে ভাল লাভবান হই। এ বছরো ঊর্দ্ধমূখী দামের আশায় আগাম আমন ধান কাটামাড়াই করে সেই জমিতে আগেভাগে আগাম আলুর বীজ রোপণ করেছি। ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে আলু কিনে নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করছেন।

ব্যবসায়ী মতিন বলেন, আমি এখান থেকে আলু ৭৮ টাকা কেজি দরে কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে। চলতি বছর অনূকুল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। আগাম আলু আগাম ধান এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনছেন।

;

রামচন্দ্রপুর খাল এখন ময়লার ভাগাড় 

ছবি: বার্তা ২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালটি যেন এক ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন অসংখ্য ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালটির অনেকাংশই ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

মোহাম্মদপুর বছিলার লাউতলা থেকে রামচন্দ্রপুর খালের শুরু। খালটি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান, সাত মসজিদ আবাসিক এলাকা হয়ে চন্দ্রিমা হাউজিং ও বসিলা গার্ডেন সিটির মধ্য দিয়ে বুড়িগঙ্গাতে গিয়ে মিশেছে। সংশ্লিষ্ট তথ্য থেকে জানা গেছে খালটির দৈর্ঘ্য ৩.১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ কোথাও ২০ ফুট আবার কোথাও ৩০ ফুট।

বছর খানেক আগে খালটিতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হলেও বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং অতিরিক্ত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই খালটি মোহাম্মদপুর এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খালটিতে অতিরিক্ত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। প্রতিদিনই ফেলা হচ্ছে কঠিন ও তরল বর্জ্য। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খালের বিভিন্ন অংশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমে আছে। খালের আশেপাশে থাকা বাসিন্দারা নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে করে খালের গভীরতা কমে গেছে। খালের দুই পাশে বিভিন্ন রকমের আগাছা জন্মেছে। মানুষ চলাচলের কোনো সুব্যবস্থা নেই। খালের পাশে থাকা গরুর খামার থেকেও বর্জ্য ফেলতে দেখা গেছে।

আলমগীর নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বার্তা ২৪ ডট কমকে বলেন, সিটি করপোরেশন যখন খালটি খনন করে তখন খালটি অনেক প্রশস্ত ছিল।  কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালের দুই পাশে থাকা মাটিগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেঙে খালে গিয়ে পড়েছে। এতে খালটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। 

মারুফ নামে আরেক বাসিন্দা  বলেন, প্রায় ৭ থেকে ৮ দিন আগে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা খালটি পরিষ্কার করেছে। কিন্তু ভালোভাবে পরিষ্কার না করার কারণে খালটিতে আবারও ময়লা আবর্জনা জমে গেছে। খালটির আশেপাশে যে আগাছা গুলো জন্মেছে সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বার্তা ২৪ কে বলেন, খাল রক্ষার জন্য যে ধরনের জনবল ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, তা সিটি করপোরেশনের নেই। বড় বড় কথা ও লোক দেখানো প্রচার চালিয়ে খালের পানি প্রবাহ ধরে রাখা যায় না।

তিনি আরও বলেন, খাল ভালোভাবে খনন করে নদীর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। তরল এবং কঠিন বর্জ্য খালে পড়তে দেওয়া যাবে না। খালের দুই পাড়ে মানুষের হাঁটাচলার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করতে হবে। তখন মানুষ আর খালে ময়লা আবর্জনা ফেলবে না। খালের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, মানুষ যাতে খালে ময়লা আবর্জনা না ফেলে সেজন্য আমরা মানুষকে সচেতন করছি। এ বিষয়ে আমরা সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালু রেখেছি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *