সারাদেশ

নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মী খালাস

ডেস্ক রিপোর্ট: নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মী খালাস

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার এক মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকারসহ বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

১০ বছর আগে দায়ের করা এ মামলায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোহন মোল্লা নামে বিএনপির এক কর্মীর তিন বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন তিনি। মোহন মোল্লা পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রাজধানীর বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়।

খালেদা জিয়া ও হাজি সেলিম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: খুরশীদ আলম

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য, হাইকোর্টের এমন রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম কেউই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার এ সংক্রান্ত হাইকোর্ট প্রকাশিত রায়ে বলেছেন, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই। এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া, হাজি সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল সেটা ভিন্নকথা।

এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) একটি রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর দেয়া রায়ে ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

সংবিধানকে উদ্ধৃত করে হাইকোর্ট রায়ে বলেন, দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ের পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন।

;

দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অযোগ্য: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

রোববার (২২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

;

কাফনের কাপড় পাঠিয়ে তারেক-জোবায়দাকে সাজা দেয়া বিচারককে হত্যার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে সাজা দেওয়া বিচারক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দিয়ে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২২ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৭ অক্টোবর ডাকাযোগে মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিঠি দুটি আসে। এ বিষয়ে ওইদিনই রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরি একটি চিঠি প্রেরণকারী বগুড়ার শেরপুরের সাউদিয়া পার্ক সিটির জহির উদ্দিন। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, বাংলার যুব সমাজের আইকন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে নাটকীয় রায় দিয়ে সাজা প্রদান করেছো। অপেক্ষায় থাক। মাত্র ২ টুকরা কাপড় একটা তোমার নিজের জন্য, অপরটা তোমার পরিবারের। দেখি সরকার তোমাকে কতদিন রক্ষা করে। দেশপ্রেমিক।

অপর চিঠিতে চট্টগ্রাম সদর থানার বরইতলীর হাতেম আলী সওদাগর নামে একজন পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ মাননীয় ভণ্ড বিচারক মো. আছাদুজ্জামান (মহানগর দায়রা জজ), ঢাকা। আপনি অন্যায়ভাবে তারেক রহমান ও জুবায়দা রহমানকে সাজা দিয়েছেন। আপনাকে আমরা মৃত্যুদণ্ড দিলাম। অচিরেই বিচার কার্যকর করব। বাংলার যুব সমাজ।

গত ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক আছাদুজ্জামান। তারা দুজনেই লন্ডনে আছেন।

;

ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দীন রিমান্ডে, ৫০ জন কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রমনা থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দীন বাসিতের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ৫০ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

কাজী জিয়া উদ্দীন বাসিতকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন। অপর ৫০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন একই জোনের সাব-ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দীন মীর।

জিয়া উদ্দিনের রিমান্ড বাতিল এবং অপর আসামিদের জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জিয়া উদ্দিনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং অপর ৫০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আবু সাইদ মো. রায়হান জনি, রুবেল, জসিম উদ্দিন, নুরুল আমিন, মাঈন উদ্দিন, লিটন মিয়া, মঈন উদ্দিন, আরশেদ আলী, সুলদান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, জাহাঙ্গীর, আমজাদ হোসেন, মাহবুল, কামাল হোসেন, লিয়াকত, সাঈদ, সোহেল, আশরাফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, আলী আকবর, মনছুর তালুকদারসহ প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *