সারাদেশ

আমিনবাজারে টিনশেড ঘরে আগুন, দগ্ধ ৭ 

ডেস্ক রিপোর্ট: আমিনবাজারে টিনশেড ঘরে আগুন, দগ্ধ ৭ 

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আমিনবাজারে একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সাত যুবক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমিনবাজার হিজলা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- বাড়িওয়ালার ছেলে রায়হান (২০), তার বন্ধু হাদিস (২০), নাহিদ (২০), জুয়েল (২২), মোনারুল (২২), আলামিন (২২) ও রুবেল (২৪)।

স্বজনরা জানান, দগ্ধরা কেউ পাত্তি মিস্ত্রি, ডায়নামো মিস্ত্রি, ভাঙারি দোকানের কর্মচারী আর কয়েকজন গার্মেন্টসকর্মী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। রাতে ৮ বন্ধু ওই ঘরটিতে ঢুকে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা সেখানে মুড়ি খাচ্ছিল এবং কেউ ধূমপান করছিল। তখন হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায়। এতে সাত জন দগ্ধ হয়।

খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ সাত জনকে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা জানার জন্য সাভার থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

শনিবারও যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি অনেকটাই কেটে গেছে। তবুও এর প্রভাব থাকতে পারে শনিবার (১৮ নভেম্বর) ও। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এমন পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। ঢাকায় পূর্ব/উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর থেকে ঢাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। রোববার (১৯ নভেম্বর) উজ্জ্বল সূর্যকিরণ মিলতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ভোলায় ২৪৯ মিলিমিটার, ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার।

;

দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

ছবি: বার্তা২৪.কম

দুপুর ৩ ঘটিকার সময় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে। এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার সময় পটুয়াখালীতে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০২ কিলোমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ২০০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ও ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া যায়নি। গত দুই দিন ধরে একটানা হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হলেও  শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০ টার পর থেকে বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সাগর।

সাধারণ লোকজন জানান, দিনের বেলা ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করার তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে রাত হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের পরিমাণ।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবা সূখী জানান, ঘূর্নিঝড়টি পটুয়াখালী অতিক্রম করায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছে। পরবর্তী কোনো নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

;

মধ্যরাতে যানজটের চিরচেনারুপে মহাসড়ক

ছবি: বার্তা২৪.কম

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশ পরবর্তী আহুত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর সঙ্গে দূরপাল্লার যান চলাচল সীমিত সংখ্যায় নেমে আসে। এরপর থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে মহাসড়কগুলোতে যানজটের চিরচেনা দৃশ্য দেখা যায়নি।

কিন্তু টানা হরতাল-অবরোধের বাইরে থাকা ছুটির দিন শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে গাজীপুর সিটির বোর্ডবাজার থেকে ভোগড়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত দেখা মেলে চিরচেনা যানজটের। দূরপাল্লার কিছু যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কাঁচামালবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে শুক্রবার মধ্যরাতে।

পরিবহণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলির আহুত হরতাল-অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনায় একধরণের ভীতি থেকেই পথে বাস বা পণ্যবাহী যান নামাননি তারা। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে সরকার পুলিশি টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশব্যাপী র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েনের ফলে ভীতি কিছুটা কমেছে। ফলে মহাসড়কে বেড়েছে যান চলাচল।

;

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) ঝড়ো হাওয়া আর মুশুলধারে বৃষ্টিতে রোপা-আমনের ক্ষতি হতে শুরু করেছে। 

পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে হেলে পড়েছে বাড়তে থাকা ফসল। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।

কালিকাপুর গ্রামের কৃষক কাওসার প্যাদা  বলেন, মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে, এই সময়ে বাড়তি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া যদি থাকে তাহলে ধান পানিতে হেলে পড়বে। আর এতে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ অতি বৃষ্টিতে ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে।

মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের লিমন সিকদার বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম ধানে ফুল এসেছে এই সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে তাহলে আমাদের ধান যখন ঘরে তোলা হবে তখন ধানের বদলে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। বেশি বাতাসে ধান পানিতে ডুবে থাকবে এতে করে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লক্ষ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে, তার মধ্যে ৫ ভাগ ধান পেকেছে, যেটা কৃষক কর্তন করতেছে, ২০ ভাগ দান আধা পাকা অবস্থায় আছে, এছাড়া ৭৫ ভাগ ধান ফুল অবস্থায় আছে, যদি ঝড় হাওয়া হয়,তাহলে এই ফুলে আমাদের চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সামনে দিনে কৃষকরা উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আশা করি না এই ঝড়ো হওয়া হোক এবং কৃষকের ধানে চিটা হোক। ফুল অবস্থায় ধান এখন কাটাও যাবে না, তবে যাদের ধান পেকেছে তারা যতোটুকু পারেন ধান কেটে ঘরে উঠাতে পারে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *