সারাদেশ

বিএনপির মনোনয়নে খালেদা নাকি ফখরুলের সই, জানতে চায় ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির মনোনয়নে খালেদা নাকি ফখরুলের সই, জানতে চায় ইসি

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র কার স্বাক্ষরে জমা দেওয়া হবে তা জানতে বিএনপিসহ নিবন্ধনকৃত ৪৪ দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে এনিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন। আর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাবন্দি।

এর আগেও গত ৪ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে বিএনপিকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তখনও মির্জা ফখরুল কারাগারে। তাই বিএনপি মহাসচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠি নয়াপল্টনে তালাবদ্ধ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে চিঠি রেখে আসে ইসি। যা নিয়ে পরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এবারও একই কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, বিএনপিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(৩ক) দফা(২) এর অধীন প্রত্যেক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী মাধ্যমে স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে যে, প্রার্থীকে ওই দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত থাকে, কোনো নিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে। একের অধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তাদের প্রার্থিতা অনুচ্ছেদ ১৬ এর দফা (২) সাপেক্ষ হবে।’

‘১৬(২) যেক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক এ ধরনের পদধারী কোনো ব্যক্তি থেকে স্বাক্ষরিত একটি লিখিত নোটিশ দিতে হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখে বা এর পূর্বে তিনি স্বয়ং বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারকে কোনো প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করবেন। ওই দলের অন্যান্য প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত হবে।

চিঠিতে ইসি জানায়, আপনার দলের যে পদধারীর স্বাক্ষরে কোন প্রার্থীকে আপনার দলের প্রতীকে কোন আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরপিওর আর্টিকেল ১২(৩এ)বি) এবং ১৬(২)(৩) অনুযায়ী মনোনয়ন প্রদান করা হবে, সে পদধারীর নাম, পদবী ও সত্যায়িত নমুনা স্বাক্ষর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে এগুলোর অনুলিপি পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।

টরন্টোতে সিবিসি টিভির ক্যামেরায় বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীর দেখা মিলিছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি’র একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

সিবিসি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্য এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়। ভিডিও ওই প্রতিবেদনে, পলাতক আসামি নূর চৌধুরীকে টরন্টোর এক রাস্তায় গাড়ি চালাতে দেখা যায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়া বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছেন নূর চৌধুরী। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থাতে ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

তবে এবিষয়ে ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (আইআরসিসি) সহ কানাডিয়ান সরকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন এবং তিনি কী করছেন তা জানা গেলেও কোনো তথ্য সামনে আসেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে একদল সেনা সদস্য গুলি করে হত্যা করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হওয়া একটি বিচারের পর, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনকে ২০১০ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়।জিম্বাবুয়েতে একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন পলাতক রয়েছে।

পলাতক আসামিরা হলেন- আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়।

এদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় এবং এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরো (এনসিবি)।

;

নাশকতা রোধে বাসের যাত্রীবেশে কাজ করছে র‍্যাব

নাশকতা রোধে বাসের যাত্রীবেশে কাজ করছে র‍্যাব

সড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থান করছেন র‌্যাব সদস্যরা। আগামীতেও হরতাল-অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধে র‌্যাবের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, অবরোধ চলাকালীন শুরুর সময় থেকে পরবর্তী সময় থেকে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহান ও তেলবাহী লড়ি মিলিয়ে ১৭ হাজারের বেশি গাড়িকে স্কট প্রদান করেছে র‌্যাব। ২০০ এর বেশি কনভয়কে স্কট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা এটা করছি যাতে অর্থনৈতিক চেইনটা ঠিক থাকে।

আমাদের এই স্কট চলমান রয়েছে। র‌্যাবের চার শতাধিক টহল টিম স্কটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবরোধে ৫০টির বেশি তেলবাহী লড়িকে স্কট দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, নাশকতাকারীরা স্থান কাল পাত্র ভেদে কিছু চোরাগুপ্তা হামলা করছে। এসব হামলা প্রতিরোধে র‌্যাব সদস্যরা বিভিন্ন যায়গায় ছদ্মবেশে অবস্থান করছে, গণপরিবহনে যাত্রীবেশে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে আমাদের সফলতা রয়েছে, আমরা বেশ কয়েকজনকে নাশকতার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, সাদাপোশাকে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থানে র‌্যাবের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া, আমরা হামলার জায়গাগুলো শনাক্ত করছি, বাস মালিকদের সঙ্গে বসছি, যারা যে সহায়তা চায় দিচ্ছি। এরফলে চলন্ত গাড়িতে কিন্তু অগ্নিসংযোগ কমেছে। বাস মালিকদের অনুরোধ করব যাতে নির্জন স্থানে যানবাহন না রাখে, তাহলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ দূর হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়েছে, সংবিধানের ১২৬ ধারা অনুযায়ী সকল নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন সহায়তা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত বিভিন্ন নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এ সময়টাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে, যারা চিহ্নিত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

;

গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিও পাঠানো হতো নেতাদের: র‌্যাব

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আবু তালেব মাসুম(৩৭)। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তিনি। অবরোধ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন স্থানে একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় মাসুম। তার নেতৃত্বে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও বটিমে ভিডিও পাঠাতেন মাসুম। এমনকি গণমাধ্যমেও ভিডিও পাঠিয়েছেন। যাতে করে তাদের প্রচার-প্রচারণা হয়।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী। এ সকল নাশকতা ও সহিংসতার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। র‌্যাব এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল শুক্রবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে নাশকতায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহাসড়কসহ নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্তকৃত নাশকতার অন্যতম মূলহোতা এবং প্রায় ১৫টি মামলার পলাতক আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগি নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতাররা তাদের দলীয় শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় মাসুমের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। গ্রেফতার মাসুম গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরবর্তীতে রাজধানীর পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।

গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা মাসুম শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা অবরোধ করে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করে। মাসুমের পরিকল্পনা মোতাবেক তার অনুসারীরা লাঠিসোটা হাতে মিছিল করে সোডাউন দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, তারা যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে তাদের সমমনা অন্যান্য অনুসারীদের নাশকতা সৃষ্টিতে প্ররোচিত করতো। তাদের দলের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও দলের প্রতি নিজেদের আস্থার প্রতিদান দিতে তারা এ সকল নাশকতা ও সহিংসতার ভিডিও ধারণ করে তাদের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নিকট প্রেরণ করতো বলে জানা যায়।

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দায়েরকৃত ৪টি নাশকতার মামলায় মাসুম পলাতক ছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আগেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় ১০টির অধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতার মাসুম ও অনুসারীদের এ সকল নাশকতার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় সেখানে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।

গ্রেফতার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৪টির বেশি মামলা রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’তে নিখোঁজ ১৮ জেলে জীবিত উদ্ধার

ছবি: বার্তা ২৪

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কব‌লে প‌রে গভীর সমু‌দ্রে হা‌ড়ি‌য়ে যাওয়া ১৮ জে‌লে‌কে জী‌বিত উদ্ধার ক‌রে‌ছে কোস্ট গার্ড। শ‌নিবার (১৮ ন‌ভেম্বর) কোস্ট গার্ডের মি‌ডিয়া উইং রু‌বেল বার্তা ২৪. কম‌কে এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রেন।

তি‌নি জানান, কক্সবাজার গভীর সমুদ্র থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে নিখোঁজ ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করছে কোস্ট গার্ড জাহাজ ’মনসুর আলী’।

এর আ‌গে শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বিকাল ৩ টায় উপকূল অতিক্রম  করে এবং দুর্বল হয়ে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করে।

এ সময় গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থা‌কে।

প‌রে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর (পুন:) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর পুন: ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হ‌য়ে‌ছি‌লো।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *