আন্তর্জাতিক

জেনিন থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা উপত্যকার জেনিন এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১০ দিন আগে গাজার ৪টি অঞ্চলে ইসরায়েলের একযোগে সামরিক অভিযান শুরুর পর এ সৈন্য প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটলো।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিজনেস রিকোর্ডার এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, ১০ দিন ধরে সামরিক অভিযান চালিয়ে গাজা উপত্যকার জেনিন অঞ্চল অবরোধ করে রাখে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে শুক্রবার সেখান থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও এএফপির সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, সে এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় ফিরে আসছেন।

খবরে আরও বলা হয়, ১২ মাস ধরে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন বলেছেন, আমরা ইসরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছি।

ব্লিনকেন বলেন, আমি ধারণা করি এবং আমরা যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে শতকরা ৯০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, না না, এখনো যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি পৌঁছানো যায়নি।

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাস চায়, গাজা উপত্যকার সব এলাকাসহ মিশরের সঙ্গে যোগাযোগের স্থলপথ ফিলাডেফি থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল।

অন্যদিকে, ইসরায়েল গাজার সব এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে রাজি হলেও ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। কারণ হিসেবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলাডেলফি করিডোর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য গাজার ভেতরে থাকা অনেক টানেল ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। এই সব টানেল দিয়েই হামাস মিশর থেকে অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাচার করতো।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *