আন্তর্জাতিক

জনমানবশূন্য আল-শিফা হাসপাতাল

ডেস্ক রিপোর্ট: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ঘণ্টার আল্টিমেটামের পর এখন সেটি জনমানবহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) হাসপাতালটি ছেড়ে ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। এর আগে বর্বর হামলা পরিচালনার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে রোগীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে কয়েক ডজন শিশুসহ মুমূর্ষু শত শত রোগী ছিলেন। তারা এখন হাসপাতালের চত্বরে এবং করিডোরে পড়ে আছেন। অনেকে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

আল-শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে তিনিসহ অল্প কয়েকজন স্টাফ ও রোগী আছেন। বাকিরা হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।

আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালটি এখন পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়েছে। রোগী ও ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ করিডোরে শুয়ে আছেন। হাসপাতালের মূল কেন্দ্র ইসরায়েলি সেনারা ঘেরাও করেছেন। এই হাসপাতালের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। এমনকি হাসপাতালে থেকে যাওয়া একেবারে অল্প কয়েকজন চিকিৎসাকর্মীসহ আমরা এই মুহূর্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, রোগীদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে সদ্যজাত শিশু ও কিডনি রোগীও রয়েছেন। সরিয়ে নেওয়া না হলে শিগগিরই তারা মারা যাবেন। হাসপাতালের খাবারও ফুরিয়ে যাচ্ছে।

আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক ওমর জাকৌত বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষসহ সবাইকে আল-ওয়েহদা সড়ক দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেল ভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিচালক সেখান থেকে চলে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিরাপদ পথ তৈরি করে দিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ করেছেন। রোগীদের স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ বলেছেন, প্রায় ৪৫০ জন রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে ১২০ জনের মতো রোগী এখনও আছেন।

তাদের চিকিৎসার জন্য পাঁচজন চিকিৎসক ও কয়েকজন রয়েছেন। এই রোগীরা মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন বলে জানায় মুনির আল-বারশ।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *