সারাদেশ

সৌদি আল-রাজি ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান পুনঃনির্বাচিত

ডেস্ক রিপোর্ট: রাত সাড়ে ১২টায় হঠাৎ ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হওয়ার নোটিফিকেশন পেলেন তন্ময় আহসান। দুদিন পরই সেমিস্টার ফাইনাল। গভীর রাত অবধি অনলাইনে যুক্ত হয়ে পড়াশোনা করছিলেন কয়েক বন্ধু মিলে। এতো রাতে রিচার্জ করতে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই; আবার পছন্দের ডাটাপ্যাক কেনার জন্য ফোন বা বিকাশ অ্যাকাউন্টেও নেই প্রয়োজনীয় ব্যালান্স। এমন সময় মাত্র দুই মিনিটেই ‘কার্ড টু বিকাশ অ্যাড মানি’ করে বিকাশ অ্যাপ থেকেই কিনে নিলেন দরকারি ইন্টারনেট প্যাকেজ।

‘ওই রাতে বাসা থেকে বের হয়ে গলির মাথায় গিয়ে রিচার্জ করে আবার ফিরে আসতে হয়তো আধা ঘণ্টারও বেশি লেগে যেতো। তার ওপর পাঁচতলায় ওঠা-নামা তো আছেই। বিকাশের বিভিন্ন ফিচার সময় বাঁচিয়ে জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে, বলছিলেন আহসান।

এদিকে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুমাইয়া সুমি নিয়মিত কেনাকাটা করেন বিভিন্ন অনলাইন শপ ও ফেসবুক পেজ থেকে। তিনি বলেন, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেক সময় কার্ড পেমেন্টের অপশন থাকে না। এক্ষেত্রে সমাধান বিকাশ পেমেন্ট; খুব সহজে কার্ড থেকে ইন্সট্যান্ট বিকাশে টাকা এনে পেমেন্ট দিতে পারছি। শুধু কেনাকাটা না, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, বাচ্চাদের স্কুলের ফি দেওয়া- সবই করা যাচ্ছে বিকাশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে সক্রিয় ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লাখ আর ক্রেডিট কার্ড ২২ লাখের কিছু বেশি। অনেকের কাছেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকলেও বিপণি-বিতান, রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস্) না থাকা, শহরের ব্যস্ত এলাকার বাইরে এটিএম বুথের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে থাকেন। এদিকে বিকাশ-এর আছে দেশজুড়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্টের বিশাল এক নেটওয়ার্ক। গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে খুব সহজেই হাঁটা দুরত্বে অবস্থিত এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। আবার দেশজুড়ে বিকাশ-এর রয়েছে ৫৫০,০০০-এর বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট যেখানে কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকরা।

বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা বা মাস্টারকার্ড থেকে বিকাশের সাত কোটি ত্রিশ লাখ গ্রাহক কোনো চার্জ ছাড়াই তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যেকোনো সময় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা আনতে পারছেন অ্যাড মানি সেবার মাধ্যমে। এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি কার্ড থেকে বিকাশে তাৎক্ষণিক টাকা এনে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, অফলাইন/অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দেয়া, বাস-ট্রেন-বিমান-এর টিকেট কাটা, বিভিন্ন ধরণের সরকারি ফি পরিশোধ, সেভিংস, ইনস্যুরেন্সসহ অসংখ্য সেবা খুব সহজেই নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।

ভিসা বা মাস্টারকার্ড থেকে যেভাবে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনা যায়:

বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘অ্যাড মানি’ আইকনে ট্যাপ করে ‘কার্ড টু বিকাশ’ বাছাই করে ‘ভিসা’ বা ‘মাস্টারকার্ড’ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর শুরু থেকেই দেওয়া থাকবে, নতুন করে টাইপ করতে হবে না। তবে অন্য কারো নম্বরে টাকা পাঠাতে চাইলে, সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরটি টাইপ করতে হবে। তারপর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ভিসা/মাস্টারকার্ড কার্ডের নাম্বার, মেয়াদ এবং ভিসা কার্ডের ক্ষেত্রে সিভিএন বা মাস্টারকার্ড কার্ডের ক্ষেত্রে সিভিভি নম্বর (কার্ডের পেছনে থাকা ৩ বা ৪ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড) দিতে হবে। পরের ধাপে ফোন নম্বরে পাঠানো ওটিপি কোড দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। অ্যাড মানি সম্পন্ন হলে কনফার্মেশন মেসেজ চলে আসবে। পরবর্তী লেনদেনের সুবিধার জন্য কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন গ্রাহক। এক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ওটিপি কোড দিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে।

একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করা যাবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ বার অ্যাড মানি করতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক। এভাবে প্রতি মাসে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২৫ বার এবং সর্বমোট দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করতে পারবেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *