নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকছে না
ডেস্ক রিপোর্ট: নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকছে না
ছবি: সংগৃহীত
মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকছে না। ফলে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাজনও থাকবে না।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেওয়া চিঠিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন না থাকার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা জারির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সিলেবাস নির্ধারণ করবে এনসিটিবি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
যেভাবে ঘটল ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা
ভৈরবে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে ক্রসিং–ত্রুটিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছন দিকে ধাক্কা দেওয়ার কারণে মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় ও প্রধান কর্মকর্তা পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল প্রশাসন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এছাড়া ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ভৈরবে পৌঁছেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্তনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ৩টার দিকে ছেড়ে ভৈরব স্টেশনের ৩ নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এরপর সেখানে ট্রেনটির ইঞ্জিন ঘোরানো হয়। তার আধঘণ্টা পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ভৈরব স্টেশন ছাড়ে। ঢাকার দিকে যেতে ৩ নম্বর লাইনকে ক্রস করে ১ নম্বর লাইন দিয়ে যেতে সিগন্যাল দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে পেছনের দুটি বগি ছাড়া বাকি বগিগুলো ক্রস পয়েন্ট অতিক্রম করে।
তখন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন দিয়ে আসছিল। মালবাহী ট্রেনটিও স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল পায় এবং ক্রস পয়েন্ট সেইভাবে প্রস্তুত ছিল। এগারোসিন্ধুর ট্রেনের শেষে দুই বগি ক্রস করার সময় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনটি ক্রস পয়েন্ট ঢোকে। তখনই এগারোসিন্ধুর ট্রেনের পেছনের দুটি বগিকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের দুটি বগি লাইন থেকে ছিটকে উল্টে যায়। বেশ কয়েকজন যাত্রী বগি থেকে ছিটকে বাইরে পড়ে যান। বগির ভেতরে যাত্রীরা একজন অপরজনের অপর চাপা পড়েন। দুর্ঘটনার পর উভয় ট্রেনের চালক পালিয়ে যান। গা ঢাকা দেন স্টেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মরতরাও। মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের অংশ খুলে পড়ে যায়।
উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, জেলা পুলিশ ও বিজিবি ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে ঢাকা থেকে যাওয়া বিশেষ উদ্ধারকারী দল, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
এই দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালকের কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০১০ থেকে এ পর্যন্ত রেলে দুর্ঘটনায় শতাধিক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ‘মহানগর গোধূলি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হন। ২০১৪ সালে ১৪৭ দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। ২০১৫ সালে ৮৮টি রেল দুর্ঘটনায় মারা যান ১৫ জন।
;
ভেতরে লাশের সারি, বাইরে অপেক্ষায় স্বজনরা
ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের খুঁজে ঘটনাস্থলে এসেছেন পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভিড় করছেন তারা। একের পর এক লাশ বের হচ্ছে আর তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আশপাশের পরিবেশ।
ভাইয়ের খোঁজ নিতে আসা ভৈরব আগানগর এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই বিদেশ যাবে বলে ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। হঠাৎ শুনি ট্রেন দুর্ঘটনা। এর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছি না।’
নানির খোঁজ নিতে আসা মো: সফিকুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার নানি ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন আগে বেড়াতে আসছিল। আজকে ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার জন্য এগারসিন্ধু ট্রেনে রওনা দেন। স্টেশন অতিক্রম করার পর শুনি দুই ট্রেনের সংঘর্ষ। এখন আমার নানির সন্ধান পাচ্ছি না। বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তা জানা নেই।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনের আওটার এলাকায় মালবাহী ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের বহু হতাহতের দুর্ঘটনা ঘটে।
;
ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত
ছবি: বার্তা২৪.কম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পারিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহের নান্দাইল গ্রামের মো. সুজন মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা (৩০), দুই ছেলে; সজীব (১৪), ইসমাইল (১০)। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চারজনই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তারা এগারসিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
নিহত সুজনের ভাই মো, মিজান মিয়া দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নিহতদের মরদেহ সনাক্ত করেন। মরদেহ দেখে তিনি বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনা বেঁচে যাওয়া নিহতের অপর ভাই স্বপন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা তিন ভাই ঢাকায় থাকি। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গত শুক্রবারে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। আজকে আমিসহ ভাইয়ের পরিবার নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেন ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার অতিক্রম করার পর বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রেন সিগন্যাল অমান্য করে আমাদের ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মহূর্তে ছিটকে যায় আমাদের বগি। আমি বেঁচে গেলেও আমার পরিবারের চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। এই শোক কি করে সইব।’
;
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত বন্ধুদের
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত বন্ধুদের
ঢাকার সাভারে মতবিরোধের জেরে সিরাজুল ইসলাম (২৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করেছে তারই বন্ধুরা। বর্তমানে তিনি সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহত সিরাজুল ধামরাইয়ের ফোর্ডনগর এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং সাভার সরকারি কলেজের ডিগ্রী (বিবিএস) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মামলার আসামিরা হলেন, সাভারের বক্তারপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ইমন (২৮) এবং একই এলাকার নিলয় (২৪), সুজন (২৪), ও ফাহাদ (২৪)।
এদিকে মামলা দায়েরের চারদিন পার হলেও এখনো অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আহতের বাবা ও মামলার বাদী বাদশা মিয়া (৫৮) জানান, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আমার ছেলের ফোনে কল করে বাড়ি থেকে সাভারের বক্তারপুর মাঝিপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযুক্ত ইমনের অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে বাকী অভিযুক্তরা মিলে আমার ছেলে ওই অফিস থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী একটি বালুর গদিতে নিয়ে গিয়ে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে আমার ছেলের বুকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। আহতের পরিবারের দাবী আগের কোনো বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা এলাকা ছাড়া তবে তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।