আন্তর্জাতিক

আফগান মেয়েশিশুদের ৩ জনে ১ জন প্রাথমিকেই ঝরে পড়ে

ডেস্ক রিপোর্ট: তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে ৩ জনের ভেতরে ১ জন মেয়েশিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারে না বলে জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দারিদ্র্যের কারণে ৩ জনের ভেতরে ১ মেয়েশিশু তাদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই ঝরে পড়ে।

এমনিতেই সে দেশের মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। ফলে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার পর আফগান মেয়েরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে না।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানভিত্তিক আমু টিভি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে দারিদ্যের কারণে সে দেশের ৩ জনের ১ জন মেয়েশিশু তাদের প্রাথমিকের লেখাপড়া শেষ করতে পারে না। প্রাথমিক শেষ করার আগেই তারা শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ে।

মেয়ে-শিশুদের স্কুলমুখী করতে হলে স্কুলে তাদের জন্য টিফিনের কর্মসূচি চালু করতে হবে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, আর্থিক সহায়তা না পেলে আফগানিস্তানে মানবিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দেবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আফগানিস্তানের তালেবান নারীশিক্ষার বিরোধীনীতি যদি চালু রাখে তাহলে তারা সেদেশে ত্রাণ সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করতে পারে।

ডব্লিউএফপি-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আফগানিস্তানের ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্যসংকটের মুখোমুখি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ লাখ শিশু, গর্ভবতী নারী ও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, এমন মায়েরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন।

এ প্রেক্ষিতে সংস্থাটি আগামী ৬ মাস পর কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে ৬শ ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা চেয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *