সারাদেশ

বাংলাদেশ-নেপাল-মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট: নানা জটিলতায় আজও চালু হয়নি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উপকারাগার। ফলে দীর্ঘ ৪২ বছরেও কয়েদির দেখা পায়নি কারাগারটি। উপকারাগারটি কয়েদিদের জন্য নির্মাণ করা হলেও সেখানে এখন বসবাস করছে হাঁস-মুরগি আর গরু-ছাগল। তবে কারগারটিকে কিশোর অপরাধ দমনে কিশোর শোধানাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তিত করার গুঞ্জন থাকলেও এখনো পর্যন্ত এর কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি ।

প্রায় ২ দশমিক ১২ একর জমির উপর আশির দশকে অত্যন্ত সুরম্য প্রাচীর বেষ্টিত কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এ উপকারাগারটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়।

সেখানে সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন স্টাফ স্বপরিবারে বসবাস করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, কারাগারটি যথাযথ ব্যবহার করা হোক।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-সিমেন্ট। প্রবেশপথের যেখানে কারারক্ষী থাকার কথা, সেখানে দেখা মেলে দুইটি ছাগল। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই বাম দিকে চোখে পড়ে মহিলা কয়েদির ওয়ার্ড, সেটিও ইট আর বাটামে ভরপুর। ভবনটির একটু সামনে গেলেই পুরুষ ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে কয়েকটি গরু আর গোবর। পাশেই রয়েছে মুরগি পালনের ছোট একটি কক্ষ। হাঁস, মুরগি, গরু আর ছাগল পালনের খামার হিসেবেই বর্তমানে কারাগারটি ব্যবহার করছে জেলা সমাজসেবা অফিসের একজন নাইট গার্ড।

জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে দেশের ১৭ টি জেলায় ২৩ টি উপকারাগার নির্মাণ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর মধ্যে একটি হলো কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার অরক্ষিত এই উপকারাগারটি। কারাগারটি বর্তমানে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই উপকারাগারটিতে রয়েছে একটি প্রবেশপথ, দুইটি কয়েদি রাখার হলরুম, দুইটি সাক্ষাৎকার কক্ষ, একটি স্টোর রুম, দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস রুম আর তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার। রয়েছে বেশ কয়েকটি টয়লেটও।

উপকারাগারটি নানা জটিলতায় আজও চালু হয়নি। তবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক উপকারাগারটি সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ বছরের চুক্তিতে বরাদ্দ দিয়েছে।

খোকসা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, উপকারাগারটি কিশোর শোধনাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, কিশোর অপরাধ দমনে এই উপকারাগটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *