সারাদেশ

ভৈরবে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই

ডেস্ক রিপোর্ট: ভৈরবে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই

ছবি: বার্তা২৪.কম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই। ঘটনার পর থেকে প্রত্যেক লাশের পরিচয় জানতে কাজ শুরু করে কিশোরগঞ্জের পিবিআই এর একটি দল।

সোমবার (২৩) অক্টোবর রাত ১২ টা পর্যন্ত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে তারা।

নাম পরিচয় যাদের পাওয়া গেছে তারা হলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাধানগরের আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন (২১), ময়মনসিংহ জেলার ভারপাড়া এলাকার জুনাইদ মিয়ার স্ত্রী জোসনা আক্তার (১৬), কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার জিল্লুর রহমান এর ছেলে হুমায়ুন কবির, বাজিতপুর পিরিজপুর এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে আদির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রানিবাজার এলাকার প্রবোদ চন্দ্র শীলের ছেলে সনুজ চন্দ্রা শীল, একই উপজেলার শ্রীনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া, কিশোরগঞ্জের চানপুর এলাকার চান মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইচড়া এলাকার সুরত আলী মিয়ার ছেলে নিজাম য়ুদ্দিন সরকার, ঢাকা জেলার দক্ষিণ খান এলাকার আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার তইছ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া, কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলার হাবিবুর মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার কাশেম মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া, ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার শিরু মিয়ার মেয়ে ফাতেমা, সুজন মিয়ার ছেলে সজিব ও ইসমাইল।

কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো, সাজ্জাদ রুমন বার্তা২৪.কমকে জানান, বিকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমাদের দল ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করেতে কাজ শুরু করে। যাদের আঙুলের ছাপ পরিস্কার ছিল তাদের পরিচয় দ্রুত শনাক্ত করা গেছে। একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পিবিআই।

ভৈরবে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ১২ জনের পরিচয় মিলেছে

ছবি: বার্তা২৪.কম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চার জনের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আর একজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকেই নিয়ে গেছেন নিহতের স্বজনেরা।

সোমবার (২৩) অক্টোবর রাতে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বার্তা২৪.কমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ।

নাম পরিচয় যাদের পাওয়া গেছে তারা হলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাধানগরের আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন (২১), ময়মনসিংহ জেলার ভারপাড়া এলাকার জুনাইদ মিয়ার স্ত্রী জোসনা আক্তার (১৬), কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির, বাজিতপুর পিরিজপুর এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে আদির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রানিবাজার এলাকার প্রবোদ চন্দ্র শীলের ছেলে সনুজ চন্দ্রা শীল, একই উপজেলার শ্রীনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া, কিশোরগঞ্জের চানপুর এলাকার চান মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইচড়া এলাকার সুরত আলী মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন সরকার, ঢাকা জেলার দক্ষিণ খান এলাকার আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার তইছ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাবিবুর মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার কাশেম মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিহতদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখে যাচাই বাছাই করে মরদেহ হস্থান্তর করা হচ্ছে। যাদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি তাদেরও শনাক্ত করার জন্য কাজ করছে পুলিশ ও পিবিআই সদস্যরা।

;

নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকছে না

ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ থাকছে না। ফলে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাজনও থাকবে না।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেওয়া চিঠিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন না থাকার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা জারির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।

উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সিলেবাস নির্ধারণ করবে এনসিটিবি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

;

যেভাবে ঘটল ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা

ভৈরবে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে ক্রসিং–ত্রুটিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছন দিকে ধাক্কা দেওয়ার কারণে মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় ও প্রধান কর্মকর্তা পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল প্রশাসন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এছাড়া ঢাকা থে‌কে উদ্ধারকারী রি‌লিফ ট্রেন ভৈরবে পৌঁছেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্তনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ৩টার দিকে ছেড়ে ভৈরব স্টেশনের ৩ নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এরপর সেখানে ট্রেনটির ইঞ্জিন ঘোরানো হয়। তার আধঘণ্টা পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ভৈরব স্টেশন ছাড়ে। ঢাকার দিকে যেতে ৩ নম্বর লাইনকে ক্রস করে ১ নম্বর লাইন দিয়ে যেতে সিগন্যাল দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে পেছনের দুটি বগি ছাড়া বাকি বগিগুলো ক্রস পয়েন্ট অতিক্রম করে।

তখন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন দিয়ে আসছিল। মালবাহী ট্রেনটিও স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল পায় এবং ক্রস পয়েন্ট সেইভাবে প্রস্তুত ছিল। এগারোসিন্ধুর ট্রেনের শেষে দুই বগি ক্রস করার সময় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনটি ক্রস পয়েন্ট ঢোকে। তখনই এগারোসিন্ধুর ট্রেনের পেছনের দুটি বগিকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের দুটি বগি লাইন থেকে ছিটকে উল্টে যায়। বেশ কয়েকজন যাত্রী বগি থেকে ছিটকে বাইরে পড়ে যান। বগির ভেতরে যাত্রীরা একজন অপরজনের অপর চাপা পড়েন। দুর্ঘটনার পর উভয় ট্রেনের চালক পালিয়ে যান। গা ঢাকা দেন স্টেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মরতরাও। মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের অংশ খুলে পড়ে যায়।

 উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, র‍্যাব, জেলা পুলিশ ও বিজিবি ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে ঢাকা থেকে যাওয়া বিশেষ উদ্ধারকারী দল, রেলওয়ে পুলিশ, র‍্যাব, জেলা পুলিশ ও বিজিবি।

এই দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালকের কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০১০ থেকে এ পর্যন্ত রেলে দুর্ঘটনায় শতাধিক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ‘মহানগর গোধূলি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হন। ২০১৪ সালে ১৪৭ দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। ২০১৫ সালে ৮৮টি রেল দুর্ঘটনায় মারা যান ১৫ জন।

;

ভেতরে লাশের সারি, বাইরে অপেক্ষায় স্বজনরা

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের খুঁজে ঘটনাস্থলে এসেছেন পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভিড় করছেন তারা। একের পর এক লাশ বের হচ্ছে আর তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আশপাশের পরিবেশ।

ভাইয়ের খোঁজ নিতে আসা ভৈরব আগানগর এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই বিদেশ যাবে বলে ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। হঠাৎ শুনি ট্রেন দুর্ঘটনা। এর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছি না।’

নানির খোঁজ নিতে আসা মো: সফিকুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার নানি ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন আগে বেড়াতে আসছিল। আজকে ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার জন্য এগারসিন্ধু ট্রেনে রওনা দেন। স্টেশন অতিক্রম করার পর শুনি দুই ট্রেনের সংঘর্ষ। এখন আমার নানির সন্ধান পাচ্ছি না। বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তা জানা নেই।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনের আওটার এলাকায় মালবাহী ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের বহু হতাহতের দুর্ঘটনা ঘটে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *