সারাদেশ

আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমিয়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল

ডেস্ক রিপোর্ট: আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমিয়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল

ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস পিএলসি সমাপ্ত হিসাববছরে (৩০ জুন, ২০২৩) সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আয় বাড়লেও এবার লভ্যাংশের পরিমাণ কমিয়েছে কোম্পানিটি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ২০২২ সালে তুলনায় তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের আয় বেড়েছে। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল জানিয়েছে, ২০২৩ সালে শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ পাবে। ঘোষিত লভ্যাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ফলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বমোট দুই কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৩৪২ টাকার লভ্যাংশ পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

ঘোষিত লভ্যাংশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। অর্থাৎ লভ্যাংশ পেতে হলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল।

আয়ের পাশাপাশি সম্পদের মূল্যও বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৮৭ টাকা ০২ পয়সা। সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকা ৭৭ পয়সায়।

এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারের দামে আজ সার্কিট ব্রেকার কার্যকর থাকবে না বলে জানিয়েছে ডিএসই। ফলে বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছেমতো দামে শেয়ারটি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। তবে ফ্লোর প্রাইসের (শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম) নিচে নামতে পারবে না কোম্পানিটির শেয়ারদর।

বিদেশে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে স্কয়ার ফার্মা

ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি দেশের বাইরে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) কোম্পানির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ফিলিপাইনে ‘স্যামসন ফার্মা ইনক, ফিলিপিন্স’ নামের একটি সহযোগী কোম্পানি গড়ে তুলবে স্কয়ার ফার্মা। এই কোম্পানিতে স্কয়ার ফার্মার বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি টাকার বেশি।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে স্যামসন ফার্মায় স্কয়ার ফার্মা ২৫ লাখ ডলার (২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করবে। এতে ঋণ ও মূলধনের অনুপাত হবে ৬০:৪০। অর্থাৎ মোট বিনিয়োগের ১৫ লাখ ডলার বা ৬০ ভাগ ঋণের মাধ্যমে যোগান দেবে কোম্পানিটি।

স্কয়ার ফার্মা জানিয়েছে, স্যামসন ফার্মা ইনকের মাধ্যমে কোম্পানিটি ওষুধ বিতরণ ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে স্কয়ার ফার্মা।

প্রসঙ্গত, সমাপ্ত হিসাব বছরে (৩০ জুন, ২০২৩) স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। এ বছর কোম্পানিটির মোট আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৯৭ কোটি ৮৯ লাখ ১৬ হাজার ১২৪ টাকা।

১৯৯৫ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে কোম্পানির ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ১৫ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে। এছাড়াও ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ারে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

;

পতনের বাজারে লেনদেনে ধীরগতি

ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও দেশের শেয়ারবাজারে সব মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার। একইসঙ্গে শেয়ার লেনদেনেও ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ‘ডিএসই এক্স’ সূচক ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট হারিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান এই সূচকটি নিম্নমূখী রয়েছে। সোমবারও ‘ডিএসই এক্স’ হারিয়েছিল ১৪ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ কমেছে ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ একই সময়ে দশমিক ৮১ পয়েন্ট।

সূচকের নিম্নমূখী প্রবণতার সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনেও ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় এক্সচেঞ্জটিতে ২২০ প্রতিষ্ঠানের তিন কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৯টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ৯৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গতকাল এক ঘণ্টায় ১৫২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৭টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে। দর কমেছে ৭৫টির, বিপরীতে মাত্র ৪৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

দিনের শুরুতে লেনদেনে দাপট দেখাচ্ছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এক ঘণ্টায় ফু-ওয়াং সিরামিকের ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা মূল্যের ৭১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। একই সময়ে খুলনা প্রিন্টিংয়ের লেনদেনকৃত শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

;

গ্রাহক বাড়লেও আমানত কমেছে স্কুল ব্যাংকিংয়ে

ছবি: বার্তা২৪.কম

শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১০ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম নীতিমালা গ্রহণ করে। এরপর থেকেই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কুল ব্যাংকিং। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছে। তবে একই সময়ে এ খাতে কমেছে আমানত।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ২১০টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেখানে স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব ছিল ৩১ লাখ ৮১ হাজার ১৬০টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব বেড়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০টি।

হিসাব বাড়লেও স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আমানত ছিল দুই হাজার ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ কমে দুই হাজার ২৩২ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় স্থির হয়েছে। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিয়ে হিসাব খোলায় এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছেলেদের ব্যাংক হিসাব ছিল ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭২৬টি। বিপরীতে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৪টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে জমা হওয়া আমানতের মধ্যে ৭১ দশমিক ৮৩ শতাংশই ছিল শহরে। শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এ সময়ে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার আমানত জমা করেছে। বিপরীতে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৬২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

;

নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যাংকে সতর্কতা জারি

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক স্থাপনা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সতর্কতা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংগুলোকে একাধিক নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

সোমবার (২০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক স্থাপনা ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক কতিপয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক স্থাপনার (শাখা, উপশাখা, নিজস্ব অথবা ভাড়াকৃত ভবন ইত্যাদি) প্রবেশ পথে, অভ্যন্তরে, বাহিরে চতুর্দিকে স্থাপিত/স্থাপিতব্য সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা/স্পাই ক্যামেরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ যাতে প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা অথবা পুলিশ পেতে পারে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ব্যাংক। 

এছাড়া ২০১৫ সালের ৫ জুলাই জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৭ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ওই সার্কুলারে ব্যাংক স্থাপনার অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুত্রোক্ত সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংক শাখার প্রবেশ পথে, শাখার অভ্যন্তরে, শাখার বাহিরে চতুর্দিকে এবং সকল ধরনের আইটি রুমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা/স্পাই ক্যামেরা স্থাপন ও ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ন্যূনতম এক বছর সংরক্ষণ করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনাটি দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এসব নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *