সারাদেশ

চবিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বুধবার (২২ নভেম্বর)। ৪৪ বছরের পথচলা শেষে ৪৫তম বছরে পা দিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। একুশ শতকে বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষে এগিয়ে চলেছে এই বিদ্যাপীঠ।

বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার দেশে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এটাই ছিল স্বাধীন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম ঘোষণা।

১৯৭৭ সালের শুরুর দিকে মক্কায় অনুষ্ঠিত প্রথম মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেক মুসলিম দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। পরবর্তীতে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ বারীকে সভাপতি করে সাত সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়।

পরিকল্পনা কমিটি তিনটি অনুষদ, ১৮টি বিভাগ, তিনটি ইনস্টিটিউট ও একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরের মধ্যবর্তী শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠ। সেই থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করছে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এরপর ১৯৮৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের এক বিশেষ আদেশে নির্মাণাধীন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১৯৯২ সালের ২১ নভেম্বর আবারও বর্তমান ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। হলগুলোতে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করবেন প্রভোস্টেরা। পতাকা উত্তোলন শেষে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

আরও জানা গেছে, কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে বাংলা মঞ্চে এসে শেষ হবে। এরপর টিএসসিসিতে কেক কাটা ও আলোচনা সভা হবে। বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদ ও হল মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যকে ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *