গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়ালো, অর্ধেকই নারী ও শিশু
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রায় দেড় মাস সম্পন্ন হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ১৪ হাজার ১২৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
নিহতের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০ জন শিশু আর ৩ হাজার ৯২০ জন নারী। আহত হয়েছে ৩৩ হাজারেরও বেশি। এছাড়া এখনো পর্যন্ত ৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিনিয়তই এই সংখ্যা আরও বাড়ছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, দেড় মাস ধরে চলমান সংঘাতে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজারে। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিনিয়তই নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় সর্বশেষ কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
তবে বন্দী বিনিময় চুক্তি মানেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়া নয় বলে মন্তব্য করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতির পরপরই আবারও হামাস নির্মূলে গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু হবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইসরায়েল। এরপর পালটা হামলায় একের পর এক স্থাপনা মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির সব কিছুই ধ্বংস করে আসছে ইসরায়েলি সেনা বাহিনী। আন্তর্জাতিক মহল দেড় মাস ধরে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে দুই পক্ষকে।
অবশেষে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েল ও হামাস একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর আওতায় হামাসের হাতে থাকা কিছু বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েল গাজায় হামলা কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখবে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।