আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের মানবিক বিরতিতে সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রয়টার্সকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানায় মস্কো। সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে।’

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানকে বাস্তবায়িত করার জন্য কাতারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছেন তিনি।

এর আগে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েল ও হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

কাতারের কূটনৈতিক সংস্থা বলেছে, যুদ্ধবিরতির কার্যকর তারিখ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে।

এদিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে চার দিনের বিরতির সময় গাজায় সাহায্য বিতরণ বাড়াবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধ বিরতির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ছিটমহলে আরও মানবিক বিতরণে নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করবে ব্লকটি।’

তিনি বুধবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউরোপীয় কমিশন গাজায় মানবিক বৃদ্ধির জন্য এই বিরতিটি ব্যবহার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। আমি আন্তরিকভাবে যুদ্ধ বিরতির ওই চুক্তিটিকে স্বাগত জানাই।’

দোহা ইনস্টিটিউটের পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক তামের কারমাউত আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘বিরতির সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া দরকার, তা হলো গাজার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি মূলত খাদ্য এবং আশ্রয় সম্পর্কিত। গাজায় শীতকাল চলছে আর মানুষ সেখানে খোলা আকাশের নীচে ঘুমাচ্ছে। তাদের নিজেদের ঢাকার মতো কিছু নেই। তাই এটি একটি বিপর্যয়। সেখানে সাহায্য বাড়ানো দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে চাপ দিতে হবে ইসরায়েলকে।’

ফিলিস্তিনিদের জন্য ইইউয়ের উন্নয়ন সহায়তার পর্যালোচনার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর উরসুলা ভন ডের লেইনের সাহায্য বাড়ানোর মন্তব্য আসলো।

এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস মঙ্গলবার বলেছেন, ‘পর্যালোচনায় ইইউর অর্থ সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাভবান হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনিদের উন্নয়ন সহায়তার সবচেয়ে বড় দাতা হলো এই ইইউ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *