যুদ্ধবিরতি মানবে হিজবুল্লাহও
ডেস্ক রিপোর্ট: ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি আছে হিজবুল্লাহরও।
বুধবার(২২ নভেম্বর) আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। হামাস এবং ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তারা চুক্তির বাস্তবায়ন শুরুর সময় নিশ্চিত করেছেন বলে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার নিশ্চিত করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসা হিজবুল্লাহ সরাসরি এই চুক্তির অংশ না হলেও যুদ্ধবিরতি চলাকালে তারা কী করবে সেই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এক সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে অংশ নেবে লেবাননের এই সশস্ত্রগোষ্ঠী। যদিও ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হিজবুল্লাহর বিষয়ে কোনো শর্ত নেই।
ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর একাধিক সূত্র বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চললে দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ করবে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে হিজবুল্লাহ তার শক্ত জবাব দেবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে হিজবুল্লাহ। তখন থেকে প্রত্যেক দিনই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সামরিক বাহিনীর চৌকি, সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক স্থাপনা এবং বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠী।
সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত গত কয়েক দিনে তীব্র আকার ধারণ করেছে। উভয়পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭৯ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।