সে সকল দেশ গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট: সপ্তাহজুড়ে ত্রাণের দুটি চালান গাজায় পৌঁছেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ শুরুর পর মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয় অঞ্চলটিতে।
অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। গাজা উপত্যকায় বসবাসরত ২.৩ মিলিয়ন মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইসরায়েল বোমা অভিযান শুরু করার আগে অঞ্চলটিতে খাদ্য, জ্বালানী এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সেখানে মানবিক সহায়তার তীব্র প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলায় ৪,৬০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। যাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু।
এমতাবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনে ত্রাণসহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।
যে সকল দেশ গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
কোন দেশ গাজায় সাহায্য পাঠিয়েছে?
তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্ডান এবং তিউনিসিয়ার অন্তত আটটি বিমান মিশরের সিনাই উপদ্বীপের এল আরিশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্রাণ নিয়ে অবতরণ করেছে।
রোববার এল আরিশে চিকিৎসা ও দুর্যোগ ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত।
রুয়ান্ডা গাজায় ১৬ টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বিমান ঘাটিঁ চালু করছে এবং ভূখণ্ডে তার সহায়তা তিনগুণ বাড়িয়েছে।
তবে, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং সুইডেনসহ কিছু ইইউ দেশ – হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গাজায় তাদের সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
এ পর্যন্ত কত ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে?
গত শনিবার ২০টি ট্রাকের প্রথম চালান মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করে। দ্বিতীয় চালান পরের দিন পৌঁছায়।
প্রায় ৩ হাজার টন ত্রাণ বহনকারী ২০০টিরও বেশি ট্রাক মিশরীয় পাশের সীমান্তে গাজায় যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মিশরে ইউনিসেফের প্রতিনিধি জেরেমি হপকিন্স বলেছেন, গাজার জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য এটি যথেষ্ট নয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০,২০০ ট্রাক যাওয়া উচিত।
এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, কয়েক হাজার আহত হয়েছে। খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয়তার প্রয়োজনের পাশাপাশি তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন বলে তি উল্লেখ করে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।