সারাদেশ

প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

প্রকল্পের আওতায় ১২ লাখ ২৮ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ৩০ শতাংশ আবাসিক গ্রাহকের জন্য ১১ লাখ মিটার এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির আবাসিক গ্রাহকের জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার প্রিপেইড মিটার গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার হবে জ্বালানি খাত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ানো হবে।

জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

ছবি: বার্তা২৪.কম

জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের গঠন, ব্যবস্থাপনা এবং সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কার্যক্রম নিয়ে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে নির্দেশনা আকারে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক সিএসআর বাজেটে পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ করতে হয়। এই খাতের অর্ধেকই এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলে ব্যয় করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ব্যয়ের নির্ধারিত ক্ষেত্রসমূহে অনুদান প্রদান এখন থেকে জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এ খাতে সুদে অর্থায়ন করলে ‘সুদ ভর্তুকি ব্যয়ও’ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে সচেতনতা প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজন করলে সেটি ইভেন্ট হিসেবে হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এসব ইভেন্টের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবসম্পন্ন কার্যক্রমসমূহে অনুদান এবং হ্রাসকৃত সুদে অর্থায়ন প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতসহ এসআরএফ’র আওতাধীন জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহে হ্রাসকৃত সুদ হারে অর্থায়ন করলে হ্রাসকৃত অংশ ভর্তুকি হিসেবে জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যবহার করা যাবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

;

দেশের গ্রস রিজার্ভ ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ১৬ বিলয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক৷

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। বাফেদা ও এবিবির ডলারের দাম কমানোর প্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মেসবাউল হক বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ হয় চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে। যোগান ও চাহিদার ভিত্তিতে বাফেদা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।

রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন গ্রস রিজার্ভ হিসাব করি। গতকাল পর্যন্ত আমাদের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

মুখপাত্র বলেন, সরকার যদি আইএমএফ, এডিবি বা কোনো ইস্যুতে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে তখন আমাদের রিজার্ভে সেটি যুক্ত হয়৷ সরকার অনেক ক্ষেত্র থেকে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে থাকে।

মেজবাউল হক বলেন, আমাদের লক্ষ্য কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা৷ এজন্য আমরা পলিসি রেটেও বড় পরিবর্তন করেছি৷ ইতিমধ্যে মার্কেটে আমরা এর প্রভাব দেখতে পেয়েছি।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তারা ১২৫ টাকা মূল্যেও এলসি করতে পারছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মার্কেট আর ইনডিভিজুয়াল দুইটা আলাদা জিনিস। ইনডিভিজুয়ালটা কিন্তু মার্কেট নয়। গতকালও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে তারা ১১৩ টাকা থেকে ১১৭ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে।

;

শাখা পর্যায়ে রেমিট্যান্স লাউঞ্জ চালু করল ইসলামী ব্যাংক

শাখা পর্যায়ে রেমিট্যান্স লাউঞ্জ চালু করল ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখায় রেমিট্যান্স লাউঞ্জ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আরও উন্নত ও দ্রুত রেমিট্যান্স সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের সকল শাখায় রেমিট্যান্স লাউঞ্জ চালু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে এ লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন।

এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মো. রেজাউল করিম ও মিফতাহ উদ্দীন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব-এ-আলম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম আবু সিদ্দিকী, মো. নাসিম আহমেদ, মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম এবং ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ খালেদসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

সপ্তাহ শেষে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার

ছবি: বার্তা২৪

সপ্তাহ শেষে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। টানা চার দিনের পতন শেষে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার পর আজ শেয়ারবাজারের সব সূচকই ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। তবে দিন শেষে লেনদেন কিছুটা কমে আবারও ৩০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেন শেষে ‘ডিএসই এক্স’ স্থির হয়েছে ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে।

প্রধান সূচকের সঙ্গে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও ঊর্ধ্বমুখী ছিল। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ‘ডিএসই এস’ সূচকে যোগ হয়েছে ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এদিন ৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর এক্সচেঞ্জটিতে ২৯৭ প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৯৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে (বুধবার) ৪০৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। এ হিসেবে একদিনে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭১টির শেয়ারদরই অপরিবর্তিত ছিল। দর বেড়েছে ৭১ কোম্পানির শেয়ারের। বিপরীতে ৫৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম এদিন কমেছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। একদিনে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১ কোটি ১৮ লাখ ১৩ হাজার ১৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। ফলে কোম্পানিটি আজ ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। গতকালও ২২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার হাতবদল হওয়ায় লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিরামিক খাতের কোম্পানিটি।

কয়েক বছর ধরে লোকসানে থাকা জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গতকাল বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছে। গতকালের তুলনায় আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় থাকা ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের শেয়ারদর কমেছে ৫০ পয়সা বা ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।

এদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ‘সিএএসপিআই’ আজ ২২ দশমিক ০২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনভর এক্সচেঞ্জটিতে ১৪৩ প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭০টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দর বেড়েছে ৪২ কোম্পানির, বিপরীতে ৩১ প্রতিষ্ঠান বুধবার সিএসইতে শেয়ারদর হারিয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *