ঝুঁকি সত্ত্বেও উত্তর গাজায় ফিরছে বাসিন্দারা
ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের দক্ষিণে ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে গাজার উত্তরে ফিরতে শুরু করেছে কিছু বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েল গত সপ্তাহে গাজা শহর এবং অন্যান্য উত্তরাঞ্চলের ১.১ মিলিয়ন বাসিন্দাকে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণে চলে যেতে বলে।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তারা দক্ষিণে আশ্রয়, খাবার ও পানীয় জলের সন্ধানে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা গাজা জুড়ে হামাসের শতাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ৭ অক্টোবর পর ইসরায়েলের বোমাবর্ষণৈ এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৫ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল বিদ্যুৎ এবং বেশিরভাগ পানির লাইন বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য ও ওষুধ আমদানি বন্ধ করেছে, যদিও এটি শনিবার থেকে মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে কয়েক ডজন ত্রাণবাহী ট্রাক যাওয়া অনুমতি পায়।
জাতিসংঘের ধারণা, গাজার জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ১.৪ মিলিয়ন মানুষ গত দুই সপ্তাহে ভয়ে বা তাদের বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
খান ইউনুসে বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, দক্ষিণের শহরটি ৬-৭ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ এসছে। তারা অনেকগুলো হাসপাতাল, ক্লাব এবং রেস্তোরাঁর ভিতরে আশ্রয় নেয়। এমনকি রাস্তায় ঘুমাতে বাধ্য হয়েছে।
ইউএন এজেন্সির পরিচালক টমাস হোয়াইট বিবিসিকে বলেন, বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ দিনে মাত্র ১ লিটার পানি এবং এক বা দুটি ছোট রাউন্ড আরবি রুটি খেয়ে জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, মানবিক সংকট, দক্ষিণে বেসামরিক এলাকায় ক্রমাগত হামলার কারণে কিছু লোক উত্তরে ফিরে যাচ্ছে।
খান ইউনুসে থাকা একজন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি রিয়াদ জাবাস রয়টার্সকে বলেছেন, আমাদের গাজা শহর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা বলেছিল খান ইউনুস একটি নিরাপদ এলাকা, এখন সমস্ত গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
শনিবার, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহরে লিফলেট দিয়ে সতর্ক করে, কেউ যদি গাজা দক্ষিণ থেকে সরে তাহলে সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগী হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।