সারাদেশ

রাজধানীতে মাদকবিরোধেী অভিযানে গ্রেফতার ৩২

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে মাদকবিরোধেী অভিযানে গ্রেফতার ৩২

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৯৫২ ইয়াবা, ৩ কেজি গাঁজা, ৪৭ গ্রাম হেরোইন, ৮ লিটার দেশি মদ ও ১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় পোস্ট মাস্টার নিহত

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ভৈরব পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর (৫৫)।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভৈরব পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে অফিস শেষ করে সহকারী পোস্ট মাস্টার হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর ভৈরব স্টেশন হতে আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর গোধুলী ট্রেনে নরসিংদীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হন।

এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত এগারোসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারোসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় এগারোসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কনটেইনারবাহী ট্রেন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার রাসেল বলেন, আমরা বিকেল ৪টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। 

;

গোপালগঞ্জে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ২

ছবি: বার্তা২৪.কম

গোপালগঞ্জে মাছ ভর্তি পিকআপভ্যান ও জিএস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বিরামের কান্দি গ্রামের ফজল আলীর ছেলে পিকআপচালক শফিক (২৫) ও একই গ্রামের মৃত মোসলেম শেখের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী লায়েক শেখ (৪৫)।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতরা কোটালীপাড়া থেকে একটি পিকআপে মাছ ভর্তি করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এসময় পিকআপটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে পৌঁছালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী জিএস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও পিকআপের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই পিকআপের দুইজন নিহত ও ৮ জন আহত হন।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পিকআপের সামনের অংশ কেটে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ দুর্ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অল্প সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে।

;

ভৈরবে উদ্ধার অভিযান শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের পর স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এ উদ্ধার অভিযান শেষ হয়।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে দুর্ঘটনার পরপর শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। এতে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। সহযোগিতা করে স্থানীয় জনতা। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম উদ্ধার অভিযান সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনায় উল্টে যাওয়া এগারসিন্ধুর ট্রেনের তিনটি বগি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরই উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

রেলওয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানান, ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলওয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ আলাদাভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার লোকোমোটিভ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এবং বিভাগীয় সিগনাল ও টেলিকমিউনিকেশন প্রকৌশলী।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- রেলওয়ের সিওপিস মো. শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, আরমান হোসেন, সিএসপি তুষার ও চিফ মেডিকেল অফিসার আহাদ আলী সরকার।

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

;

বরিশালে সবজির দামে আগুন, বিপাকে ক্রেতারা

ছবি: বার্তা২৪.কম

নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি সবজির দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা। নিম্ন আয়ের মানুষ ও সাধারণ ক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণে মাছ-মাংস কেনা কমিয়ে দিলেও এখন সবজিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

বরিশালে সবজি সংকটের সময় দাম বাড়লে সেই দাম পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরা বাজারে আর কমানো হয় না। তাই পাইকারি কম দামে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বরিশালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল প্রতি কেজি পাইকারি ৪০ টাকা মূল্য হলেও খুচরা বাজারে ৮০ টাকা, পাইকারি ৪০-৫০ টাকার বেগুন খুচরা ১০০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৬০-৮০ টাকা, ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে কেনা মূলা ৬০ টাকা, ৫০-৫৫ টাকার করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ৮০ টাকা পাইকারি দরের কাঁচামরিচ ১৪০-১৬০ টাকা। লাউ প্রতি পিস পাইকারি ২৫-৩০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়, ৫০-৬০ টাকা পাইকারি মূল্যের ফুলকপি খুচরা বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায় । একটা সময় একটি পরিবারের ১০০ টাকার কাঁচাবাজার হলে চলে যেত সে খানে এখন সবজির ১ কেজি কিনতেই খরচা হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। সর্বনিম্ন এক কেজি পেপের মূল্য ৫০ টাকা ।

বরিশাল সদর নগরীর রিকশা চালক মোজাম্মেল হক বলেন, সারা দিন রাত রিকশা চালিয়ে ৫’শ টাকা পাই। এ থেকে গাড়ি ভাড়া ২’শ টাকা থাকে। ৩’শ টাকা নিয়ে এসে দেখি সবজির বাজেরে দামে আগুন। মাছ, মাংস কিনে খেতে পারিনা।সবজির দামও যদি এত বাড়ে তাহলে কি খাবো?  সরকারের কাছে আবেদন জানায় যে, সবজির বাজারে দাম যেন কম থাকে।

বরিশাল পোর্টরোড বাজারের সবজি বিক্রেতা মেহেদী হাচান বলেন, বাড়তি মূল্যে নয় যেমন দামে কিনি তেমন দামেই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করি। আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে তাদের কাছ থেকে সবজির চড়ামূল্য নিতে হয়। এজন্য বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হয় । এতে একমাত্র সাধারণ ক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বরিশালের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র বলেন, সবজির বাজার বেশ কিছু দিন মনিটরিংয়ে ছিল। সবজির দাম কমে যাওয়ায় তা বন্ধ করা হয়। হঠাৎ করে এক ধরনের অসাধু সিন্ডিকেট আড়তদের কারণে সবজির বাজারে আবারও দাম বেড়েছে। আমরা আজকে থেকে আবারও বাজার মনিটরিং করে সবজির দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *