আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে কারা মুক্তি পাবে?

ডেস্ক রিপোর্ট: অবশেষে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর)  থেকে গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টার দিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ১৩ জন বেসামরিক জিম্মি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে হামাস প্রশাসন। ৪ দিনে মোট ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েল ফেরত দিবে ১৫০ জিম্মি।

শুক্রবার বিকেল চারটায় প্রথম ধাপে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। মুক্তি পেতে যাওয়া ১৩ জিম্মির নাম-পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করলেও তারা শিশু ও নারী বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নামের একটি প্রাথমিক তালিকা তারা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতিকালে মোট ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার এই চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার। 

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ যে জিম্মিদের হামাস মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেই দলে ১৩ শিশু ও নারী থাকবেন। নারীদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক আছেন। মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের মধ্যে একই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিরা বেসামরিক নাগরিক।
মুখপাত্র আরও বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে মুক্তি পেতে যাওয়া প্রথম দলের জিম্মিদের নামের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের শর্তে চার দিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি হয়েছে। চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক সাড়ে ৫০০ এর অধিক শিশু রয়েছে।

দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পর স্থানীয় সময় আজ সকাল সাতটায় গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু কার্যকর হয়েছে।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *