খেলার খবর

রাবি ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারি, অস্ত্র প্রদর্শন

ডেস্ক রিপোর্ট: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে মারামারি ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে এ ঘটনার সূত্রপাতের পর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মতিহার হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে বসা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত এবং ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামদা নিয়ে জাহিদের ওপর আক্রমণ করেন শান্ত। এসময় দারোয়ান ও শিক্ষার্থীরা মিলে শান্তর কাছ থেকে দা কেড়ে নেয়। তখন উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এদের মধ্যে শান্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী এবং জাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী।

বিষয়টি নিয়ে বিকেলের দিকে পরিবহন মার্কেটে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকী। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের সঙ্গে দুই দফায় মতিহার হল এবং বঙ্গবন্ধু হলে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মতিহার হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বঙ্গবন্ধু হলের সামনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাঁড়িয়ে আছেন। হলের আশেপাশে নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প ও রডও দেখা গেছে।

বিকেলের মারধরের বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকী বলেন, আমার তিন ছোটভাইকে মেরে হল (মতিহার) থেকে বের করে দিচ্ছিল। এ খবর জেনে তাদের সঙ্গে পরিবহন মার্কেটে বসি। তখন ভাস্কর সাহার নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। ফলে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

এবিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি দেখছেন। এখন আমি এবিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ঘটনাটি সমাধানে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসেছি। উভয়ের বক্তব্য শুনে সমাধানের চেষ্টা করছি। অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে কিছু জানি না।

মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আংশিক শুনেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে হলে কোন শিক্ষার্থীর কাছে অস্ত্র আছে প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *