যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ডেস্ক রিপোর্ট: থাই নাগরিক এবং ইসরায়েলিসহ গাজায় আটক প্রায় দুই ডজন জিম্মিকে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
মিশর সরকার বলেছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টার মধ্যে ওই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জিম্মিদের মিশরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসাবে চিকিৎসা সেবার জন্য তাদের ইসরায়েলে স্থানান্তরিত হবে বলে।
এদিকে, ইসরায়েলের হেফাজতে থাকা ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দী শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মুক্তি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
জিম্মিদশা থেকে প্রধম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলিরা ছিল মূলত নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে রেড ক্রস।
অন্যদিকে ইসরায়েল আগেই জানিয়েছিল যে, তারা জিম্মিদের গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে রয়টার্স জানিয়েছিল, জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার আগে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
জিম্মি মুক্তির আগে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী স্বাস্থ্যবিধি কিটগুলোর একটি ভিডিও পোস্ট করে।
আইডিএফের ওই ভিডিওতে তাদের প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি কিটগুলোর মধ্যে রয়েছে তোয়ালে, স্যানিটারি প্যাড, গরম খাবার, পানীয়, বেবি ওয়াইপস, শিশুদের জন্য খেলনা, জিম্মিদের বসার জন্য একটি বড় জায়গা এবং স্ট্যান্ডবাই একটি হেলিকপ্টার।
আইডিএফ এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরে আসার পর মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। সরকারি মন্ত্রণালয় এবং নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের দ্রুত গ্রহণ করতে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
আইডিএফ আরও জানিয়েছিল, ‘আমরা তাদের প্রাথমিক অভ্যর্থনার জন্য বেশ কয়েকটি স্থান প্রস্তুত করেছি, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাথমিক অভ্যর্থনা এবং চিকিৎসার পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে, যেখানে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হবে।’
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার মতে, সামরিক হেলিকপ্টারগুলো গাজার কাছে একটি মিশরীয় বিমানবন্দর থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবে।
হেলিকপ্টার ক্রুদের মধ্যে একটি কমান্ডো স্কোয়াড, ডাক্তার এবং যোগাযোগ ও কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিয়াজোন অফিসাররা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে সাবাথের দিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার সময় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া নারী ও শিশুদের মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ইসরায়েল।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।