সারাদেশ

শীতে খাদ্যতালিকায় কোন শাক-সবজি বেশি রাখবেন

ডেস্ক রিপোর্ট: শীতে খাদ্যতালিকায় কোন শাক-সবজি বেশি রাখবেন

ছবি: সংগৃহীত

ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানে ভরপুর শাক-সবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এজন্য ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদরা সবসময় শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শীত মানেই নানারকম শাকসবজির সমাহার। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি। এসবের মধ্যে বেশ কিছু শাক-সবজিতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শীতের দিনে যে-সব শাক-সবজি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন:

সরিষা শাক: শীতকালীন শাকের মধ্যে একটি জনপ্রিয় শাক হলো সরিষা শাক। এতে আছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। কম ক্যালোরি যুক্ত এই শাকে আছে- ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, সি, ই, কে ইত্যাদি। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

মেথি শাক: শীতের আরেকটি শাক মেথি শাক, শীতের সময় এ শাক পাওয়া যায়। এই শাকে আছে- ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সি, ই। যা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়।

গাজর: গাজর মূলত শীতের ফসল। তবে আজকাল প্রায় সারাবছরই এটি বাজারে পাওয়া যায়। গাজরে শরীরে জন্য উপকারী ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে এবং ক্যারোটিন রয়েছে। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে গাজর অনেক বেশি উপকারী। 

বিট: শীতকালীন সবজি বিট খেতে পারেন বিভিন্ন ভাবে। তরকারি, সালাদ কিংবা রস করে বিট খাওয়া যায়। এতে আয়রন, ভিটামিন এ, বি৬, সি রয়েছে। যা লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।

মটরশুঁটি: মটরশুঁটিতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, মিনারেলস এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। যা সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কম ক্যালোরি এবং বেশি ফাইবার যুক্ত মটরশুঁটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, যা ওজন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে।

শীতে ত্বক আদ্র রাখতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

ছবি: সংগৃহীত

শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তবে এমন নয় যে শীতের পর ত্বকে আর ময়েশ্চারাইজ করার দরকার নেই। এর জন্য এখন বাজারে একাধিক নামী-দামী পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান আপনাকে যে উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য প্রদান করবে, তা বাজারের পণ্যগুলো দিতে পারবে না। উপরন্ত এই ময়েশ্চারাইজারগুলো ত্বকের ওপর একটা প্রভাব ফেলে যায়। এর বদলে আপনি এমন কিছু প্রাকৃতিক পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

আমাদের ঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যার মধ্যে ত্বককে অনেকক্ষণ কোমল রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এগুলো ত্বকে লাগানোর পরে সহজেই শোষিত হয়, যার কারণে ত্বকে আর্দ্রতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেই ঘরোয়া এই ময়েশ্চারাইজারগুলো কি কিঃ

অলিভ ওয়েল
অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই, পলিফেনল এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে। যা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং করবে আপনার ত্বক। অলিভ অয়েলকে সামান্য পানি দিয়ে পাতলা করে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।

মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে মশ্চারাইজিং করে। এছাড়াও মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিস্তেজ ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন ত্বকে সরাসরি মধু লাগাতে পারেন। ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে নিন।

গ্লিসারিন

গ্লিসারিন ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি আপনার ত্বকে বাতাস থেকে পানি টেনে এনে ময়শ্চারাইজ করে। এতে থাকা হিউমেক্টেন্ট আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। ত্বকে ব্রণ থাকলে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।

অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ওমেগা-৩ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহ এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এটি আপনার ত্বককে লুব্রিকেট করতে এবং এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য় করে। একটি পাকা অ্যাভোকাডো নিন। এটি ব্লেন্ড করে সরাসরি ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুধ
দুধ ত্বকের অন্যতম প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। ত্বকের হারানো তেল পূরণ করতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য় এটি অত্যন্ত উপকারি। দুধ ত্বকের গভীরে গিয়ে মশ্চারাইজ করে।

চিনি
চিনি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে এবং এর মধ্যে আর্দ্রতা আটকে রাখতে সাহায্য করে। চিনি একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট। এটি পরিবেশ থেকে ত্বকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এতে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকে প্রবেশ করে। চিনির সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। এবার মুখ স্ক্রাব করে নিন। ময়শ্চারাইজিং হয়ে যাবে।

শসার রস

শসা ত্বককে হাইড্রেট করতে ব্যবহার করুন। শসা রস মুখে সরাসরি লাগিয়ে নিন। যা আপনার ত্বককে পুষ্ট করবে। উজ্জ্বলতা বাড়াবে। ত্বকের জ্বালাপোড়াও প্রশমিত করবে।

পাকা কলা
অতিরিক্ত পাকা চটকে মুখে লাগিয়ে নিন। উজ্জ্বল ত্বক পাবেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ই রয়েছে। যা ত্বককে কোমল ও প্রাণবন্ত রাখে। কলা পটাসিয়ামে পূর্ণ। যা ত্বকের নতুন কোষ বৃদ্ধি করে। পাকা কলা মুখে সরাসরি ৩০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানি ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এটি ব্যবহার করুন।

নারকেল তেল
নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের জন্য দুর্দান্ত। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি দারুন কার্যকর। হালকা গরম নারকেল তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

শিশুর হাড় মজবুত করতে খাদ্য তালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার

ছবি: বার্তা ২৪

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সব বাবা-মায়েরাই চিন্তায় থাকেন। শিশুর বৃদ্ধি যাতে ভাল হয়, তার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার দিকে বিশেষ নজর দেন অভিভাবকেরা। হাড় ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য শৈশব থেকে যত্নবান হতে হয়। আর ছোট বয়সে বাচ্চা খেলাধুলো করবে এটাই স্বাভাবিক। আর এতে তার হাড় মজবুত ও শক্তিশালী হবে। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের হাড় শক্তিশালী হয় না।

অনেক ক্ষেত্রে এটা হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ার জন্যও হয়। ১৮ পেরিয়ে গেলে হাড়ের বৃদ্ধিও ধীর হয়ে যায়। তাই ছোট বয়স থেকেই শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। এজন্য আপনাকে বাচ্চার খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারই একমাত্র আপনার সন্তানের হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে। শিশুর হাড় মজবুত করতে যেসব খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখবেন চলুন জেনে নেই। 

১. নিয়মিত দই খাওয়ান
সন্তানের হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে তাকে নিয়মিত দই খাওয়াতে হবে। দইতে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। আর এই সকল উপাদান হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া দই হল প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার যা অন্ত্র সুস্থ রাখে। প্রতিদিন দই খাওয়ালে শিশুর গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও কম হবে।

২. সুষম খাদ্য দুধ খাওয়ান
দুধ একটি সুষম পানীয়। এই পানীয়তে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট। দুধে থাকা ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়াম হাড়ের জোর বাড়ায়।। তাই বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের দিনে ১ গ্লাস দুধ পান করানো উচিত।

ছবি: সুষম খাদ্য দুধ  ৩. সবুজ শাক খাওয়ানো শেখান

ছোটদের মধ্যে বেশিরভাগই শাক দেখলেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তারা কিছুতেই এই খাবার মুখে তুলতে চায় না। কিন্তু এই শাকপাতাতেই রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই দুই উপাদান সরাসরি হাড়ের জোর বাড়াতে পারে। এছাড়া শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বেশ কার্যকর। তাই শিশুর খাবারে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে শাকপাতা রাখুন।

৪. মাছ হোক নিত্যসঙ্গী
বাচ্চাকে ছোট-বড়, সমস্ত ধরনের মাছই খাওয়ান। কারণ মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এই দুই উপাদান ছোটদের হাড় গঠনের কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত রয়েছে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন। ফলে পেশি শক্তি বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ সন্তানকে অন্তত ১০০ গ্রাম মাছ খাওয়াতেই হবে। আর তাতেই মিলবে উপকার।

ছবি: মাছ হোক নিত্যসঙ্গী ৫. প্রতিদিন ডিম খাওয়ান

ডিমের মতো উপকারী এক খাদ্যকে রোজই সন্তানের ডায়েটে রাখতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। আর এই সকল ভিটামিন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হাড়ের জোর বাড়ায়। তবে ছোটদের দিনে একটির বেশি গোটা ডিম খাওয়াবেন না। এতে উপকারের বদলে নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র- এইসময়

;

কেন ফুসফুস ক্যান্সার হয়?

ছবি: সংগৃহীত

ফুসফুসের ক্যান্সার একটি ভয়ংকর রোগ। এই রোগ বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। প্রতি বছর বিভিন্ন বয়সের মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তবে ধুমপায়ী ব্যক্তিরাই ফুসফুসের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। ব্যক্তিবিশেষে বয়স ও ধুমপানের মাত্রার উপর ঝুঁকির মাত্রাও নির্ভর করে। তাই সময় থাকতেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

কি কি সমস্যার কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে তার একটি ব্যাখা দিয়েছেন ভারতীয় ডাক্তার প্রশান্ত কারাজগি। নিম্নে কারণগুলো তুলে ধরা হল-

# দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: কোনো কারণে শ্বাসকার্যে সমস্যা হলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফুসফুসে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টিকারী রোগ এজন্য দায়ী থাকে। ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ বা সিওডিজি’র মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এর ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
# বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কারণ তখন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এক্ষেত্রে ৫০-৮০ বছর বয়সীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
# সার্বিক স্বাস্থ্য: আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থা সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, শরীরে অস্ত্রপাচার হয়েছে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
# দূষিত বায়ু: শুধু তামাকজাত বস্তুর ধোঁয়াই নয়, দূষিত বায়ুও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দূষিত বায়ুযুক্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। দুর্গন্ধযুক্ত বা ধূলাবালি সম্মিলিত এলাকায় বষবাসকারীরা বেশি আক্রান্ত হয়। বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন দূষিত উপাদান কোষকে আক্রান্ত করে দুর্বল করে ফেলে। ফলে, ফুসফুস কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।
# বংশগত: অনেক সময় বংশগত কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। পূর্বপুরুষদের যদি এই রোগ হয়ে থাকে তবে পরবর্তী প্রজন্মেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যায়। ধুমপানকারীদের পরিবার ও নিকট আত্মীয় স্বজন, যেমন: বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়েরাও এর ঝুঁকিতে থাকেন।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় বরবটি!

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ নানা রোগের মধ্যে ক্যান্সার সারা বিশ্বেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগ নিয়ে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। রোগটি সারাতে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজ চলছে নিয়মিত।

তবে একটি সবজি নিয়মিত খেলে এই রোগের থেকে রেহাই মিলতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের মত। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সবজি যারা খান, তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কম।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি বরবটি। বরবটি এটি একটি বর্ষজীবী লতানো জাতীয় উদ্ভিদ। বরবটিকে ইংরেজিতে ইয়ার্ডলং বিন বলা হয়। বরবটির বৈজ্ঞানিক নাম ভিগনা সিনেনসিস। বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। 

ক্যাম্পফেরল ও কুয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান সমৃদ্ধ সবজি বরবটি কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। উপকারী এ উপাদান দুইটি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধে চমৎকার কাজ করে। সেরোলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা অনুসারে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে এবং দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। জেনে নিন বরবটির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-

আয়রনের ঘাটতি মেটায়
বরবটিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন। যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, অ্যানিমিয়াতে ভোগে তারা বরবটি খেলে উপকার পাবে। এছাড়াও বরবটিতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হার্টের সুরক্ষা দেয়
বরবটিতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে হার্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ, বুক জ্বালাপোড়া প্রভৃতি সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
বরবটিতে থাকা সিলিকন হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। বরবটির বীজে থাকা ক্যালিসিয়াম হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। নারীদের স্বাস্থ্য উপকারেও ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
বরবটি ভিটামিন-এ এবং ডি ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহয়তা করে। বরবটি থায়ামিন (বি-১) সামৃদ্ধ হওয়ায় এসিটাইলোকোমাইন উৎপাদন বাড়ায় যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। বরবটিতে ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান ক্যাম্পফেরল ও কুয়ারসেটিন থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

বাড়ির আঙ্গিনায়, বাড়ির আশেপাশে উচুঁ জমিতে বরবটির চাষ করা যায়। বিশেষ করে নগর কৃষির অংশ হিসেবে সবুজ ছাদ, সবুজ বারান্দা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বরবটি একটি উপযুক্ত ফসল হতে পারে।

তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *