আন্তর্জাতিক

দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি এই সফরে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াং ই ২৬-২৮ অক্টোবর ওয়াশিংটন সফর করবেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাষ্ট্রপতি জো বিডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সাথে দেখা করবেন।

ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে মতবিরোধ যাতে সংঘর্ষে না যায় এবং পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্লিঙ্কেনের সফরের পর থেকে অন্যান্য মার্কিন রাজনীতিবিদরা চীন সফর করছেন।  এছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে বর্তমানে সেদেশে রয়েছেন।

এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা  (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বার্তা সংস্থা রয়টার্স কে বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে সরাসরি মুখোমুখি কূটনীতি হল চ্যালেঞ্জিং সমস্যাগুলো উত্থাপন করার, ভুল ধারণা এবং ভুল যোগাযোগের ফলে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করার উপায়। একইসাথে চীনের সঙ্গে কাজ অনুসন্ধান করার সর্বোত্তম উপায় যেখানে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষিত আছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয় কভার করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দেশটির প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  

সফর সম্পর্কে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে উভয় বিষয়ে আরও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে চাপ দিবে।

এদিকে ওয়াং সোমবার ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ফোনালাপে সংঘর্ষের  ফলে বেসামরিক দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।  তিনি যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে সমাধানের জন্য সমর্থন জানিয়ে চীনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ইরানকে প্রভাবিত করায় চীনের ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। এদিকে ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে  ভ্রমণের সময় ওয়াংয়ের সাথে একটি ফোন কল করেছিলেন। সেখানে তিনি এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাব ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এতে করে সংঘর্ষ প্রসারিত হতে পারে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *