বখাটেদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিল বাবা
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর কদমতলী থানার মেরাজনগর এলাকায় ছেলেকে বখাটেদের মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে বৃদ্ধ বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম আব্দুর রহিম খান (৭০)। তিনি রায়েরবাগ মেরাজনগর এলাকার সি ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
এদিন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী জাহানারা বেগম। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি প্রলয় বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই মামলার আসামি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সিয়াম, রিফাত ও শিউলি।
ঘটনার বিষয়ে নিহত আব্দুর রহিমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, রায়েরবাগ মেরাজনগর সি ব্লকে আমাদের নিজস্ব বাড়ি। প্রতিদিন বাসার সামনের ফাঁকা মাঠে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা আড্ডা দেয়, নিয়মিত মাদক সেবন করে। আজকে কিছু ছেলে বাসার সামনে আড্ডা দিচ্ছিল ও চিৎকার-চেঁচামেচি করছিল। একপর্যায়ে তাদের ক্রিকেট খেলার একটি বল আমাদের ঘরের জানালায় এসে লাগে। তখন আমি তাদের বাড়ির সামনে থেকে সরি গিয়ে অন্য কোথাও খেলতে বলি ও চেঁচামেচি করতে নিষেধ করি। আর এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে। এটা দেখে আমার বাবা এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করতে থাকে বখাটেরা।
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, মারধরের হাত থেকে আমাকে বাঁচাতে আসলে এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত আব্দুল্লাহ, ইলিয়াছ, সিয়াম নামের তিনজন আমার বাবার বুকে কিলঘুষি মারে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার বাবা অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে রায়েরবাগ ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আব্দুর রহিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।