১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ডেস্ক রিপোর্ট: কাতারের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় চারদিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি ও চার বিদেশি রয়েছে। বিনিময়ে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তাসংস্থা সিএনএন জানায়, জিম্মিদের নিতে শনিবার রাতে মিশরীয় অ্যাম্বুলেন্স ও রেড ক্রসের বাসের একটি বহর গাজার দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে। বহরটি রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিক থেকে গাজার দিকে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি আল-জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলি সরকার এ চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এতে অনেক দল ও কারণ জড়িত হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে হামাস বলেছে, ১৩ ইসরায়েলি এবং চার বিদেশী নাগরিককে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও কাতার ও আইডিএফ বলছে, চারজন বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগে এক ঘণ্টা বিলম্বের পর আবারও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উত্তরে সাহায্য সরবরাহ নিয়ে বিরোধ মিটে যাওয়ার পর শনিবার রাতে (স্থানীয় সময়) জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করে হামাস।
হামাস জানায়, চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ৩৯ ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে ১৩ ইসরায়েলি ও সাত বিদেশিকে মুক্তি দেবে। তবে ইসরায়েল বলছে ৪ বিদেশিকে মুক্তি দিযেছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শনিবার ১৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ থেকে ৪২ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের ১৩ জিম্মি এবং থাইল্যান্ডের ১২ শ্রমিককে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
চুক্তির শর্তে রয়েছে, প্রতি একজন জিম্মির পরিবর্তে তিন বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
এর আগে শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে দ্বিতীয় দফায় জিম্মি মুক্তির বিষয়টি স্থগিত করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামাসের সামরিক কাসেম ব্রিগেডস শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তর অংশে ত্রাণ সরবরাহ এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে যেসব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি দিতেও বিলম্ব করছে তারা।
তবে হামাসের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুক্তির শর্ত তারা লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।