আন্তর্জাতিক

১৭ বছর বয়সি হামিদ্রেজা আজারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

ডেস্ক রিপোর্ট: দুটি অধিকার গ্রুপ শনিবার (২৫ নভেম্বর) জানিয়েছে, হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ১৭ বছর বয়সি একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।

অধিকার গ্রুপ দুটি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, নানা সংঘটিত অপরাধের জন্য নাবালকদেরও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে চলেছে এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।

নরওয়েভিত্তিক হেনগাও এবং ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গ্রুপ পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) খোরাসান প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর রাজাভির এলাকার সাবজেভারের একটি কারাগারে হামিদ্রেজা আজারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, ফার্সি ভাষার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ইরান ইন্টারন্যাশনালও মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার খবর প্রচার করে জানিয়েছে, ‘আজারি তার পরিবারের একমাত্র সন্তান এবং তিনি কয়েক বছর আগে একজন স্ক্র্যাপ শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেন।’

তারা মামলার নথিগুলি দেখে হেনগাও এবং আইএইচআর উভয়েই জানিয়েছে, অপরাধের সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় ১৭ বছর। গত মে মাসে ঝগড়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, ‘ওই মৃত্যুদণ্ড ইরানের দ্বারা জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনের আরেকটি লঙ্ঘন চিহ্নিত করেছে।’

এদিকে আইএইচআর জানিয়েছে, ‘ইরান সেই কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যারা শিশু দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং অন্য সব দেশের তুলনায় বেশি কিশোরদের মৃত্যুদণ্ড দেয়।’

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ইরানে কমপক্ষে ৬৮ জন নাবালকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷

আইএইচআর পরিচালক মাহমুদ-আমিরি মোগাদ্দাম আরও বলেছেন, ‘ইরানে কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চায় তবে তার বয়স ১৮ বছর হতে হবে, তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য ১৫ বছর বয়সই যথেষ্ট।’

গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধতা এড়াতে ইরানি মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে হামিদ্রেজার বয়স ১৮ বছর বলে মিথ্যাচার করেছে।’

আইএইচআরের মতে, প্রধানত মাদক সংক্রান্ত এবং খুনের অভিযোগে ইরানে এ বছর অন্তত ৬৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *