গাজার জ্বালানি সংকটকে মৃত্যুদণ্ড বলছেন চিকিৎসকরা
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন জ্বালানি সংকটের জন্য হাসপাতালে থাকা অনেক দুর্বল শিশু এবং আহত মানুষ শীঘ্রই মারা যাবে। চিকিৎসকরা বলেছেন এটা বেঁচে যাওয়া শিশু ও রোগীদের জন্য মৃত্যুদন্ড।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় অন্তত ২ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। এরপর জ্বালানি সংকটে এই মৃত্যুর হার আরও বাড়বে বলে উদবেগ প্রকাশ করেছেন গাজার চিকিৎসকরা।
এদিকে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা জোরদার করেছে। গত সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন তারা আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের বিরুদ্ধে বহুপাক্ষিক অভিযান করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে সোমবার হামাস দুই ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। উভয়ই ছিলেন বয়স্ক মহিলা। এছাড়া ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে অপহৃত এবং গাজায় নিয়ে যাওয়া বাকিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য করছে আন্তর্জাতিক নেতারা।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা পুরো বিশ্ব থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলে বিমান হামলায় গাজার আশেপাশের এলাকা, বাড়িঘর, স্কুল, মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার সিএনএন ড্রোন ফুটেজে গাজা শহরের আল-রিমাল এলাকার আশেপাশে পুরো রাস্তা এবং মধ্য গাজার আল-জাহরা টাওয়ার নামে পরিচিত ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর দেখানো হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন গত সোমবার বলেছে যে গাজায় ১০ লাখেরও বেশি শিশু আটকে আছে। যাদের যাওয়ার জন্য কোন নিরাপদ জায়গা নেই। এছাড়া সীমান্ত এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে ওষুধ এবং বিদ্যুৎ সংকটের বিধ্বংসী প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, গত ১৭ দিনে গাজায় কমপক্ষে ২ হাজার শিশু নিহত হয়েছে এবং পশ্চিম তীরে আরও ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, আমরা শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সকল পক্ষকে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।
গাজায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার ফলে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫,০৮৭ তে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২,০৫৫ টি শিশু রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।